খুলনা ডেস্ক:
ইসরায়েলের চালানো সামরিক হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের অন্তত পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন। রয়টার্স ইরানি সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে, শনিবার (২১ জুন) ভোরে ইরানের লরেস্তান প্রদেশের খোরামাবাদ শহরে এই হামলা চালানো হয়। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ওই শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটায় এবং একাধিক স্থাপনা ধ্বংস করে দেয় বলে দাবি করেছে আইআরজিসি (ইরান ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস)।
এ হামলার ফলে নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ড্রোন ইউনিটের শীর্ষ কর্মকর্তা আমিন পুর জোদখি, যিনি ইউএভি (মানববিহীন বিমানবাহী যান) ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। প্রধান কমান্ডারের নিহত হওয়ার পর তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ইসরায়েলের দিকে পরিচালিত ড্রোন হামলাগুলোর তত্ত্বাবধানে ছিলেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি অনুযায়ী, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো একটি নির্দিষ্ট টার্গেটে আঘাত হানে, যেখানে এই কমান্ডার অবস্থান করছিলেন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক বিবৃতিতে জানান, ইরানের কুদস ফোর্সের ফিলিস্তিনি শাখার কমান্ডার সাইদ ইজাদি ইরানের কোম শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। ইজাদির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি হামাসকে অস্ত্র এবং অর্থায়ন দিয়ে সহায়তা করেছেন, বিশেষ করে ৭ অক্টোবরের হামলার পেছনে তার বড় ভূমিকা ছিল বলে দাবি করেন কাটজ। তার মতে, এই হত্যাকাণ্ড ইসরায়েলি গোয়েন্দা ও সামরিক বাহিনীর জন্য একটি কৌশলগত সাফল্য এবং নিরীহ নিহত ও অপহৃতদের জন্য ন্যায়বিচারের প্রতীক।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সামাজিক মাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছে, যারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হুমকি তৈরি করবে, তাদের যেকোনো জায়গা থেকেই প্রতিহত করা হবে। তাদের ভাষায়, শত্রুদের মোকাবেলায় ইসরায়েলের দীর্ঘ হাত সব সময় প্রস্তুত।
এই ঘটনার ফলে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।