খুলনা ডেস্ক:
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শেখপাড়া খানপুর গ্রামের লিতুন জিরা জন্ম থেকেই হাত-পা বিহীন। কিন্তু এই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাকে থামিয়ে রাখতে পারেনি। মুখের থুতনির সাহায্যে লিখেই সে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে। এর আগেও, ২০১৯ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় সে জিপিএ ৫ অর্জন করে সকলকে চমকে দিয়েছিল।
এই অনন্য অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে লিতুন জিরার বাড়িতে যান মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না। যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামের পক্ষ থেকে তিনি লিতুনকে ফুল ও মিষ্টি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তিনি জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিগগিরই লিতুন জিরাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
লিতুন জিরা কলেজ শিক্ষক হাবিবুর রহমান ও জাহানারা বেগম দম্পতির একমাত্র সন্তান। ছোটবেলা থেকেই সে শিক্ষার প্রতি প্রবল আগ্রহ দেখিয়ে এসেছে। মুখ দিয়ে লেখা চালিয়ে গেলেও কখনও হতাশ হয়নি। বরং তার স্বপ্ন আরও বড়—চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করা। লিতুন বলে, “আমি সমাজের বোঝা হতে চাই না। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্যই মন দিয়ে লেখাপড়া করছি।”
তার বাবা-মা বলেন, লিতুন সবসময় বিনয়ী ও অধ্যবসায়ী। সে যেমন পরিশ্রমী, তেমনই আত্মপ্রত্যয়ী। জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে আমাদের গর্বিত করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না বলেন, লিতুন জিরা প্রমাণ করেছে যে অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকলে শারীরিক সীমাবদ্ধতা কখনোই জীবনের লক্ষ্য অর্জনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। সে দেশের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে।