খুলনা ডেস্ক:
২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার নেমে এসেছে ৬৮.৪৫ শতাংশে, যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৩.০৪ শতাংশ। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এবার প্রায় ১৯ লাখ ৪ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলেও পাস করেছে ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন। পরীক্ষার সর্বোচ্চ গ্রেড জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ জন শিক্ষার্থী, যার মধ্যে ৭৩ হাজার ৬১৬ জন ছাত্রী এবং ৬৫ হাজার ৪১৬ জন ছাত্র।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. খোন্দকার এহসানুল কবির জানান, এ বছর উত্তরপত্র মূল্যায়নে ছিল কঠোরতা, এবং কাউকে অতিরিক্ত নম্বর বা গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছিল, পরীক্ষার্থীর প্রকৃত পারফরম্যান্স অনুযায়ী ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
দেশের নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১৯ লাখ। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬৮.০৪ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ১৮ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে পাস করেছে ৬৮.০৯ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৩.৬৩ শতাংশ, যেখানে জিপিএ ৫ পেয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৬৬ ও ৪ হাজার ৯৪৮ জন শিক্ষার্থী।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড ছিল সবচেয়ে সফল—পাসের হার ৭৭.৬৩ শতাংশ, যেখানে বরিশাল বোর্ডে এই হার ছিল সবচেয়ে কম, মাত্র ৫৬.৩৮ শতাংশ। অন্যান্য বোর্ডের ফলাফলের মধ্যে যশোর বোর্ডে পাসের হার ৭৩.৬৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭২.০৭, সিলেট ৬৮.৫৭, ঢাকা ৬৭.৫১, দিনাজপুর ৬৭.০৩, কুমিল্লা ৬৩.৬০ এবং ময়মনসিংহে ৫৮.২২ শতাংশ।
ফলাফল নিয়ে কেউ অসন্তুষ্ট হলে, আজ ১১ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত ফল পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারবে। আবেদন করতে হবে শুধুমাত্র টেলিটক নম্বর ব্যবহার করে। আবেদন করতে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখতে হবে: RSC <স্পেস> বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর <স্পেস> রোল নম্বর <স্পেস> বিষয় কোড এবং পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। একাধিক বিষয়ের কোড লিখতে হলে কমা দিয়ে আলাদা করতে হবে।
এই বছরের ফলাফলে শিক্ষাব্যবস্থায় মূল্যায়নের নতুন বাস্তবতা উঠে এসেছে। নম্বরের কড়াকড়ি ও গ্রেস নম্বর না দেওয়ার সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, তবে অনেকে প্রকৃত মূল্যায়নকেই স্বাগত জানিয়েছেন।