খুলনা ডেস্ক:
এনসিপির ‘জুলাই পথযাত্রার’ নবম দিনে এই পথসভায় হাজারো মানুষ অংশ নেয়। আখতার হোসেন জানান, উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো পেরিয়ে এখন দক্ষিণাঞ্চলেও জনগণের ব্যাপক সাড়া মিলছে। তিনি বলেন, এনসিপি এমন এক রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চায়, যা ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অধিকারের ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠন করবে, যেখানে প্রতিটি মানুষ সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকতে পারবে।
তিনি বর্তমান সংবিধান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, সেখানে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকারগুলোর বাস্তবায়ন নেই। এনসিপি চায়, আগামী সংবিধানে এই মৌলিক চাহিদাগুলোর আইনি প্রতিফলন থাকুক। আখতার হোসেন আরও বলেন, বাংলাদেশে সংগঠিত গণহত্যার বিচার হবেই। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশিত অভিযোগের ভিত্তিতে বলেন, হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে তার বিচার হওয়া উচিত এবং ভারত সরকারকে একদিন ইতিহাসের মুখোমুখি হতে হবে তাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য।
এদিনের পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা এবং যুগ্ম সদস্য সচিব মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহসান।
এনসিপি নেতারা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জনগণের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় চালিয়ে যাবে দলটি। আগামীর রাষ্ট্র কেমন হওয়া উচিত সেই রূপরেখা নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা ও বাস্তবতা তুলে ধরাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।