খুলনা ডেস্ক:
রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আনিছুর রহমান (লিটন) যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় ভারতের উদ্দেশে যাত্রার সময় পাসপোর্ট যাচাইয়ের সময়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তিনি টানা তিনবার উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আনিছুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে মেরুদণ্ডের জটিল সমস্যায় ভুগছিলেন। তার বড় ভাই আনারুল হক হৃদ্রোগে আক্রান্ত। উভয়েই ভারতে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছিলেন। ঈদুল আজহার পরপরই গ্রামের মানুষের কাছে দোয়া চেয়ে চিকিৎসার জন্য ভারত যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ভারতীয় ভিসা হাতে পেয়ে রোববার আনিছুর রহমান, তার বড় ভাই আনারুল হক, ভাবি আনোয়ারা বেগম এবং ভাতিজি আরশি আক্তার প্রাইভেট কারযোগে বেনাপোলে পৌঁছান।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ডেটাবেজে পাসপোর্ট চেক করার সময় দেখা যায়, আনিছুর রহমান রংপুর মহানগরের কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। মামলাটি ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর করা হয় এবং সেখানে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। এরপর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল মিয়া নিশ্চিত করেছেন, আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং তাকে রংপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
গ্রেপ্তারের পর সন্ধ্যায় ফোনে আনিছুর রহমান বলেন, তিনি এবং তার ভাই শুধুমাত্র চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ভারতে যাচ্ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে মামলা থাকার বিষয়টি তিনি জানতেন না।
এই ঘটনায় স্থানীয়ভাবে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে এবং তার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।