খুলনা ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকার পরও নির্বাচন কমিশনের তালিকায় ‘নৌকা’ প্রতীক অন্তর্ভুক্ত থাকায় প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মঙ্গলবার রাতে এক পোস্টে তিনি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন।
তিনি লেখেন, অভিশপ্ত ‘নৌকা’ মার্কাটিকে আবার শিডিউলভুক্ত করতে নির্বাচন কমিশন কোন বিবেচনায় আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালো? তার প্রশ্ন, একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হয়ে ইসি কি গণঅভ্যুত্থানকে উপেক্ষা করছে? তিনি আরো বলেন, কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এই মার্কা এখনো তালিকায় রাখা হয়েছে?
পোস্টটিতে আসিফ মাহমুদ মন্তব্য করেন, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে তিনি এই প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকেই জানতে চেয়েছেন, সরকারের অংশ হয়ে তিনি কিভাবে ইসিকে প্রশ্ন করছেন। উত্তরে তিনি ব্যাখ্যা করেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, এটি কোনো সরকারি সংস্থা নয়। তাই রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে প্রশ্ন তোলার অধিকার তার রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন ভোট পরিচালনা বিধিমালায় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে। এই সংশোধিত বিধিমালার আওতায় ১১৫টি নির্বাচন প্রতীক সংরক্ষণের খসড়া তৈরি করে ভেটিংয়ের জন্য তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
তালিকায় থাকা প্রতীকগুলোর মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক ‘নৌকা’। যদিও দলটির নিবন্ধন বর্তমানে স্থগিত রয়েছে এবং রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ। তবুও প্রতীকটি রাখা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক এবং প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে।
আসিফ মাহমুদের এই পোস্ট ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হলে নির্বাচন কমিশনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত আরও স্পষ্ট ও জনস্বার্থভিত্তিক হওয়া জরুরি।