খুলনা ডেস্ক:
ঘটনার সূত্রপাত হয় গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় দুপুর দেড়টার দিকে, যেখানে এনসিপির সমাবেশ চলছিল। সমাবেশ শেষে হঠাৎ করে চারদিক থেকে সশস্ত্র হামলা শুরু হয়। এনসিপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত ছাত্রলীগের সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। তারা সাউন্ড সিস্টেম, মাইক ও চেয়ার ভাঙচুর করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনী সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এনসিপির নেতাকর্মীরা গাড়ি ঘুরিয়ে বিকল্প পথে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে বহু নেতাকর্মী একটি স্থানে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন বলে জানিয়েছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, "আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে আশ্বস্ত হয়েছিলাম যে পরিস্থিতি শান্ত থাকবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়। গ্রাম ও শহর থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের লোকজন এসে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।"
এছাড়া সকালে এনসিপির `মার্চ টু গোপালগঞ্জ` কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ইউএনও’র গাড়িবহরে হামলা, পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির মো. সাজেদুর রহমান হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে।
এই ঘটনার ফলে গোটা গোপালগঞ্জ শহরে আতঙ্ক বিরাজ করছে, বন্ধ হয়ে গেছে স্বাভাবিক জনজীবন। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।