অনলাইন ডেস্ক:
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে যে, তারা গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে ‘অবিলম্বে’ আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত আছে। এদিকে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলের চলমান হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। খবর এএফপির।
সোমবার ওয়াশিংটনে সফরে যাবেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তার এই সফরের আগে অন্যান্য ফিলিস্তিনি দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করার পর এই ঘোষণা এলো। ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধের অবসানের জন্য জোর দিচ্ছেন। সেখানে প্রায় ২১ মাস ধরে সংঘাত চলছে।
হামাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত মার্কিন-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের খসড়ার শর্তাবলী কার্যকর করার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা অবিলম্বে এবং গুরুত্ব সহকারে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত তারা।
এদিকে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ জানিয়েছে যে, তারা যুদ্ধবিরতি আলোচনাকে সমর্থন করে, তবে গাজায় বন্দী জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া পর ইসরায়েল পুনরায় আগ্রাসন শুরু করবে না এই নিশ্চয়তা চেয়েছে তারা।
শুক্রবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে হামাসের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, এটা ভালো। তারা আমাকে এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানায়নি। আমাদের বিষয়টি শেষ করতে হবে। গাজা সম্পর্কে আমাদের কিছু করতে হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি গাজার জনগণের নিরাপত্তা চান। তারা নরকের মধ্যে বাস করছেন।
গাজায় সংঘাত শুরু হয় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। সে সময় ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস যা ছিল নজিরবিহীন। এরপরেই হামাসকে ধ্বংস করা এবং হামাসের হাতে আটক সব জিম্মিকে দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বড় ধরনের অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় পূর্ববর্তী দুটি যুদ্ধবিরতিতে নির্দিষ্ট সংখক ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি জিম্মিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো হামাসের কাছে বেশ কয়েকজন জিম্মি আটক রয়েছে।