- এ প্রতিবেদনের প্রথম খণ্ড’র পর তা দমাতে দালাল চক্রের নানা অপতৎপরতা শেষে মিথ্যা মামলা।
- স্থানীয় প্রশাসনসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর ধরাশায়ী হয়ে প্রভাবশালী কতিপয় ভুক্তভোগীর আতাতে সচল
- পুরণো দালাল চক্র’র ধাপ্পাবাজির-ধান্ধাবাজিতে স্থলাভিসিক্ত প্রভাবশালী নয়া চক্র।
কামরুজ্জামান মিল্টন:
এ মূল প্রতিবেদনের প্রথম খণ্ড’র পর তা দমাতে দালাল চক্রের নানা অপতৎপরতা শেষে মিথ্যা মামলা। অতপর ধরাশায়ী ও ভুক্তভোগীর সমঝোতায় ফের কৌশলে সক্রিয় সেই “আল-মুজাহিদ বহুমুখি সমবায় সমিতি”নামের সেই ধাপ্পাবাজ-মামলাবাজ খ্যাত প্রতিষ্ঠানটি। আর তাই পরের খণ্ডের আগে এরই মধ্যের কিছু বিষয়াদি দেখাতেই এ খণ্ডটি।
আসল ঘটনাটি হলো- দীর্ঘ সময় ধরে রাজধানীর কেরানিগঞ্জে সাধুতার বেশে চক্রটি প্রতিবাদ-প্রতিরোধের আটঘাট দখলে রেখে গ্রাহকদের (সদস্য) জুলুম-নির্যাতনের ভীতির জালে আটকে নির্বিঘ্নে ধান্ধাবাজি, চান্দাবাজিসহ নানা অনিয়ম চালিয়ে আসছিল। তবে দেশের পট পাল্টানোর পর ভুক্তভোগীদের তোপের মুখে পড়ে যায় প্রতিষ্ঠানটি। আর এ নিয়ে মাস কয়েক আগে কতিপয় ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তৈরী খণ্ড প্রতিবেদনের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। যা কপিপেস্ট হয়ে ছোট-খাট বেশ কিছু পত্রিকায়ও পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে। আর নড়েচেড়ে ওঠে-প্রতিষ্ঠানটির হোতারা। আর এতে শুরু হয়-তাাদের পোষা দালাল চক্রের দমানোর গতানুগতিক হুমক-ধমকি। যা গড়ায় হুমকি-ধামকি থেকে মামলা পর্যন্ত। আর তাতেও উৎরে উঠতে পারেনি । হয়েছে- অনেকটা ধরাশায়ী। শেষমেষ দাপটি কতিপয় ভুক্তভোগীকে বাগে নিয়ে আপাতত ঝামেলা সামাল দিয়েছে বলে সংশ্লিস্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।
সূত্রটি আরো জানায়, সেই সাথে এ ঘটনায় পুরনো দালাল শহীদুল ইসলাম কবির চক্র’র ধাপ্পাবাজির ধান্ধাবাজিতে স্থলাভিসিক্ত প্রভাবশালী নয়া চক্র। এ যাবৎ পুরনো দালাল শহীদুল ইসলাম কবির নামের এক ছদ্মবেশীর নেতৃত্বে একটি চক্র’ওই প্রতিষ্ঠানের অপতকালীন হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এবারের ঘটনায় সেখানে নতুন চক্র যুক্ত করে ফের বরারবরের কায়দায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
আর মূল প্রতিবেদনটি হলো-স্থানীয় প্রশাসন ও কতিপয় সুবিধাভোগী দুস্কৃতকারীর আস্কারায় প্রায় দুই যুগের বেশী সময় ধরে নিছক-একটি সমবায় সমিতির সাইনবোর্ডর আড়লেই ছদ্মবেশী একটি চক্র চালিয়ে আসছিল-উচ্ছেদ, জবরদখল, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। তাদের ফাঁদে পা দিলেই যেন সেই “মগের মুল্লুকী” কায়দায় হুমকি-ধমকি ও আটক রেখে মারধর, এমন কি-অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে উদ্দেশ্য হাসিল করতো। বলয়ভুক্ত যে কাউকে, যে কোন সময়ে চক্রান্তের জালে আটকে নিরবচ্ছিন্ন হেনস্তা করে ধান্ধাবাজি, চাদাবাজিটা যেন তাদের ব্যবসায় পরিণত হয়েছিল। এ সব অভিযোগ-ওই এলাকারই স্থায়ী বাসিন্দা শাহজাহান মুন্সীসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর। তা নিয়েই ছিলো প্রতিবেদনে র্ঐ খন্ডটি। আর ওই প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম ঘাটি দক্ষিন কেরানিগঞ্জের ঘোষকান্দা এলাকা। চক্রটির মূল হোতা-সাবেক ও বর্তমান সভাপতি মোতাহার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন।
ওই মোতাহার ও আনোয়ার চক্রের একটা লম্বা সময় ধরে চালিয়ে যাওয়া ধর্মীয় মোড়কের আড়ালের জুলুমবাজির ধান্ধাবাজির বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়নি। কারণ- তাদের লালিত নানা কেসেমের দালাল সন্ত্রাসী চক্র’র কবলে খোদ স্থানীয় অনেককে ভয়ানক খেশারত দিয়ে হয়েছে। আর সেটাই ছিল- চক্রটির এ যাবতের ধান্ধাবাজি-চাদাবাজির অন্যতম পুঁজি। তবে সাম্প্রতিক সময় বিবেচনায় ও এ প্রতিবেদনের জেরে সে আতঙ্ক অনেকটা সটকে পড়েছে। আর সুযোগে ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতে শুরু করেছে। সে সবের কিছুটা নিয়ে এর পরের খন্ড।