খুলনা ডেস্ক:
ঝিনাইদহের আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম।
২০১১ সালের ২৩ আগস্ট রাতে বাস মালিক সমিতি অফিসের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার পর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম। পরদিন সকালে ভেটেরিনারি কলেজের পাশের একটি ডোবা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় পরদিনই সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার তদন্তে উঠে আসে, সন্ত্রাসীরা এসআই মিরাজুলের কাছে থাকা পিস্তল, গুলি ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করে থাকতে পারে। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে পুলিশ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজন হলেন রাজবাড়ীর আমজাদ হোসেন, লিয়াকত হোসেন, দক্ষিণ দৌলতদিয়ার আক্কাস আলী এবং ফরিদপুরের আলম শেখ। এদের মধ্যে আমজাদ হোসেন বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ফরিদপুরের শাহীন, মোহাম্মদ সাগর, নুরু খা এবং যশোরের মনির হোসেন। এদের সবাই বর্তমানে পলাতক বলে জানা গেছে।
ঝিনাইদহ কোর্ট ইন্সপেক্টর মোক্তার হোসেন জানান, রায়ের পর গ্রেপ্তার আমজাদ হোসেনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।