খুলনা ডেস্ক:
খুলনায় মেলা আয়োজকের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা মহানগর কমিটির সদস্য সচিব জহুরুল ইসলাম তানভীর ও মুখ্য সংগঠক সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদকে শোকজ করেছে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি। সম্প্রতি একটি ১ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যেখানে মেলার আয়োজক মন্টু ইভেন ম্যানেজমেন্টের স্বত্বাধিকারী মন্টু মিয়ার সঙ্গে চাঁদা লেনদেন নিয়ে কথোপকথন শোনা যায়। অডিওতে আজাদকে বলতে শোনা যায়—চাঁদা না দিলে নানা গ্রুপ এসে বিরক্ত করবে, আর চাঁদা দিলে সব শান্ত থাকবে।
অভিযোগের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুঈনুল ইসলামের স্বাক্ষর করা শোকজ নোটিশে জানানো হয়, সংগঠনের নীতিমালা ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ায় তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে, অন্যথায় একতরফাভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অডিওতে মন্টু মিয়াকে বলতে শোনা যায়, তিনি নিজে ২ লাখ টাকা দিতে প্রস্তুত, কিন্তু এত বড় অঙ্কের দাবি মানা সম্ভব নয়। উত্তরে আজাদ বলেন, ১০ লাখ টাকা দিলে সব ‘ঠান্ডা’ থাকবে, কেউ সমস্যার সৃষ্টি করবে না। তিনি আরও উল্লেখ করেন, যদি টাকা না দেওয়া হয়, তবে একের পর এক গ্রুপ এসে সমস্যা তৈরি করবে।
এ নিয়ে আয়োজক মন্টু মিয়া গণমাধ্যমে বলেন, এটি পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি-পুনাকের মেলা ছিল। পুলিশি আয়োজনে থাকার পরও তার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ৩ লাখ টাকা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তবে মেলায় অংশ নিয়ে তিনি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলেও জানান।
অন্যদিকে অভিযুক্ত আজাদ ও তানভীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি সম্পূর্ণ একটি ষড়যন্ত্র। মেলাকে ঘিরে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এবং অডিওটি সম্পাদনা করে ছড়ানো হয়েছে। তারা দাবি করেন, মন্টু নিজেই একজন প্রতারক এবং এই বিতর্কিত রেকর্ডের মাধ্যমে তাদের সম্মানহানি ঘটানোর চেষ্টা চলছে।