খুলনা ডেস্ক:
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন যশোর-ঢাকা রুটে একটি নতুন ট্রেন চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যশোর রেলওয়ে জংশন পরিদর্শন শেষে বৃহত্তর যশোর জেলা রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই ঘোষণা দেন। কমিটির পক্ষ থেকে মহাপরিচালকের কাছে ছয় দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়।
মহাপরিচালক জানান, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে পর্যায়ক্রমে রেলওয়ের জন্য ২০০টি নতুন কোচ সংযোজিত হবে। নতুন কোচ আসা শুরু হলে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে। যশোর-ঢাকা রুটেও এমন একটি ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে, যা পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করবে। আগামী মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যেই এ ট্রেনটি যাত্রী পরিবহন শুরু করতে পারে।
এই নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু হলে যশোর থেকে ঢাকায় গিয়ে দিনে কাজ সেরে রাতেই ফিরে আসা সম্ভব হবে। এতে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সংযোগ আরও সহজ হবে, যা যাত্রীদের সময় ও খরচ বাঁচাবে। বিশেষ করে চাকরি, চিকিৎসা ও শিক্ষাসহ জরুরি প্রয়োজনে ঢাকায় যাওয়া যাত্রীদের জন্য এটি বড় সুবিধা হিসেবে কাজ করবে।
এদিন মহাপরিচালক রূপসী বাংলা এক্সপ্রেসে চড়ে বেনাপোল হয়ে যশোর রেলওয়ে জংশনে পৌঁছান। যশোরে পৌঁছেই তিনি রেল স্টেশন ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। যশোর জেলা রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির নেতারা ঢাকাগামী একটি নতুন ট্রেন সার্ভিসের দাবিতে স্লোগান দেন এবং যাত্রীদের ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় হকি দলের ম্যানেজার ও সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক কাওসার আলী, সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন, অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান হিরু, প্রেস ক্লাব যশোরের সাবেক সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌলা, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, যশোর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোস্তাক হোসেন শিম্বা এবং আরও অনেকে। সবাই মিলে রেল যোগাযোগ উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং যশোরবাসীর দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণের জন্য ধন্যবাদ জানান মহাপরিচালককে।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে ঢাকার রেল যোগাযোগে নতুন মাত্রা যোগ হবে। যশোর-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন চলাচল শুরুর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন এবং জনসাধারণের যাতায়াতে গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।