বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * নিজেরা বিভক্ত হলে আমরা জাতি হিসেবে ব্যর্থ হয়ে যাব: প্রধান উপদেষ্টা   * পরানগঞ্জ বাজার বালু ব্যবসায়ী আজহারুল ইসলাম আজাদ এর গাড়ী ছিনতাই ও প্রতারনা মুলক অর্থ দাবীর অভিযোগ।   * এনবিআরে ১৮২ কর্মকর্তার দপ্তর বদল   * নাকোলে শতবর্ষী বিদ্যালয়ে হামলা, প্রধান শিক্ষক আহত   * ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ   * বীমা গ্রাহকরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা পাবেনঃ সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স   * এক সালমানেই শেষ নজরুলের সারাজীবনের অর্জন   * এসবিএসি ব্যাংকের হাইব্রিড এজিএম, বিএসইসি ও বি.বি’র বিপরীত অবস্থান   * একীভূত হতে চায় না গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি   * "তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন এখন সময়ের দাবি"  

   বিশেষ সংবাদ
বিআরটিএর জোয়ারসাহারায় মধু থৈথৈ-সরদার মৌয়ালের চেলাপেলারা গেল কই
  Date : 28-11-2023
Share Button

সমালোচনা,আপত্তি ঠেলে কিসের বলে নরসিংদী থেকে অল্প সময়ের মধ্যেই ফের মিরপুরে ঢুকে পড়েন , হস্তগত করেন জোয়ারসাহারার লোভনীয় সেই গেড়াঁকলের চাবি। হয়ে উঠেন আরো বেপরোয়া। আর এতে গত সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই পরীক্ষার বোর্ড ঘিরে হঠাৎ সমালোচনাসহ নানা গুঞ্জন বেড়ে ওঠায় কর্তৃপক্ষ চড়াও হয়। তাতেই জোয়ারসাহারার ইন্সপেক্টর জিয়াউর রহমান জিয়ার নেতৃত্বাধীন ওই পাশ-ফেলে গেড়াঁকলের ঘুষ বাণিজ্যে অনেকটা ভাটা লাগে। কিন্তু তা আর কয়দিন, ওই দু-চার দিন পরে আবার সরদারের পাশে চেলা মৌয়ালরা ফের হুমড়ি খেয়ে ওই মধু নামের রক্তচোষায় লিপ্ত হয়েছে।
বিশেষ প্রতিবেদক
বিআরটিএর খিলক্ষেতে (জোয়ারসাহারা) মধু থৈথৈ, সরদার মৌয়ালের চেলাপেলারা কই? শুধু সরদারের হাত গুটিয়ে সাধুর বেশ,আর চেলাদের আশ-পাশের নিরাপদে ঘুরঘুর করা। আসলে হঠাৎ সংশ্লিস্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরদারি,তাও পরীক্ষার বোর্ডে। যা সরদারসহ মৌয়ালের চেলাপেলাদের জন্য আতঙ্কের দুসংবাদ। আসল সোজাসাপটা কথা হলো-সেই সর্বাঙ্গে ব্যথায় ভরা বিআরটিএর ঢাকা মেট্রো,সার্কেল-১ এর শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষার বোর্ড নামধারী পাশ-ফেলের গেড়াকল যেন মৌচাক। সরদার মৌয়াল (মূল চালক)-ইন্সপেক্টর (মোটরযান পরিদর্শক), আর এখানে মধু হলো অসংখ্য ড্রাইভিং লাইসেন্সের গ্রাহকের রক্ত,ঘামের টাকা। যেখানে প্রতিদিন মোট ৪৫০-৫০০ জন গ্রাহকের ২৫০-৩০০ জনকে পাশ-ফেলের গেড়াকল আটকে দেড়-দুই হাজার টাকা আদায়ের সম্পূর্ন অবৈধ ব্যাপারটা যেন মামুলি বিষয়। যা সপ্তাহ ও মাসের হিসেবে কোটি টাকার বেশী বৈ কম তো নয়ই। যার অংশ পদপদবি বিবেচনায় ছোট,মাঝারি ও বড় ধরনের সুবিধাভোগী রক্ষাকবজরাও সময় মত পেয়ে যান। আর ওই ইন্সপেক্টর একচ্ছত্র কতৃত্বে তা চলে আসছে বছরের পর বছর। ওই ইন্সপেক্টরের পালিত প্রায় শত খানেক দালাল দ্বারা পরিচালিত হাট-বাজারের আদলে অবাধ ঘুষের বাজার।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,সেখানে (খিলক্ষেতের জোয়ারসাহারায়) একটানা বছর চারেকের ফাকে চার-পাঁচ মাস কম সময় ধরে অনেকটা নির্বিঘ্নে চলে আসছে ওই মধু থৈথৈ আর বেপরোয়া সরদার মৌয়ালের হিসাব ছাড়া টাকার পাশ-ফেলের গেড়াঁকল বালিজ্য। ঠিক যেমন মধুর নেশায় পাগল বর্বর মৌয়াল, তেমনি শত আপত্তি-বিপত্তিসহ সমালোচনা ঠেলে জিয়া নামের ওই কর্মকর্তা (মোটরযান পরিদর্শক) দীর্ঘ সময় ধরে মধুর বাগানগুলো,মানে ধান্ধার খোলা বাজার ইকুরিয়া ও মিরপুর (মেট্রো সার্কেল-২ ও (মেট্রো সার্কেল-১) দিয়ে বাউলি খেয়ে সর্বশেষ বছর চারেক আগে মিরপুর ঘাটি গেড়েছেন। কব্জায় রেখেনে জোয়ারসাহারার ওই মধু থৈথৈ টাকার কারখানাটি। যা ঘিরে বরাবরই নানা অভিযোগ ও আপত্তি থাকা সত্বেও তিনি অদৃশ্য শক্তির বলে শত মৌয়ালের সরদার সেজে মধুর লোভে ও বলে (কাড়িকাড়ি টাকা) থোড়াইকেয়ার ভাবে তৎপর রয়েছেন। আর এতে ভুক্তভোগীসহ সুবিধা বঞ্চিতদের ক্ষোভের জেরে সদ্য বেড়ে উঠেছে সংশ্লিস্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের র্দশ্যমান এ তৎপরতা। তবে তা গতানুগতিক ও লোক দেখানো বলেও অনেকে জানিয়েছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিআরটিএর জনৈক কর্মকর্তা ও একাধিক সুবিধাবঞ্চিত গ্যাটিজ (বহিরাগত) জানায়, বিআরটিএর ইন্সপেক্টর (মোটরযান পরিদর্শক) জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই অস্বাভাবিক ম্যানেজ শক্তির বলে পাশ-ফেলের গেড়াঁকলের হোতাগিরিতে নির্বিঘ্নে বহাল রয়েছেন। ইকুরিয়ার পর প্রায় বছর চারেক ধরে মিরপুর বিআরটিএর পাশ-ফেলে গেড়াঁকলের চালকের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। শত খানেকেরও বেশী দালাল রেখে খিলক্ষেতস্থ (জোয়ারসাহারা) লাইসেন্সের বোর্ডে গ্রাহকদের পাশ-ফেলে গেড়াঁকলে আটকে ঘুষ আদায়ে যেন বিস্তার করেছেন রামরাজত্ব। আর এভাবে অনেক আগে গুছিয়ে নিয়েছেন আখের,মালিক হয়েছেন অভাবনীয় সম্পদের। সেই সাথে জোয়ারসাহারার অবৈধ টাকার কারখানারুপি পাশ-ফেল গেড়াঁকলের সরদারি ধরে রাখতে বেধে রেখেছেন আটঘাট। যাতে তার বিরুদ্ধে শতাধিক দালাল রেখে প্রকাশ্যে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ যেন স্বীকৃতি পেয়ে বসেছে। বরাবরই এসব অনিয়মের অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি-বদলি থামাতেও বেশ পটু তিনি। যার ফলে নরসিংদী থেকে অল্প সময়ের মধ্যেই ফের মিরপুরে ঢুকে পড়েছেন। হয়ে উঠেছেন আরো বেপরোয়া। আর এতে গত সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই পরীক্ষার বোর্ড ঘিরে হঠাৎ সমালোচনাসহ নানা গুঞ্জন বেড়ে ওঠায় কর্তৃপক্ষ চড়াও হয়। চলে মোবাইল কোর্ট। তাতেই জোয়ারসাহারার ইন্সপেক্টর জিয়ার নেতৃত্বাধীন ওই পাশ-ফেলে গেড়াঁকলের ঘুষ বাণিজ্যে অনেকটা ভাটা লাগে। সেই সাথে ধরপাকড়ের তোপে তার পোষা বিপুল সংখ্যক গ্যাটিজ (দালাল) ও ঢুকতে পারছে না। মোট কথায় সদ্য কয়েক দিন ধরে ওই সরদারসহ মৌয়ালরা এক ধরনের বিপাকেই আছেন। তবে ওই সরদারের মোটাদাগের এক-দুই সহযোগী কৌশলে এখনো সক্রিয় রয়েছেন। আর বিআরটিএর জোয়ারসাহারার চলতি অনিয়ম রোধে তৎরতার বিষয়টিও নিশ্চিত করছেন সংশ্লিস্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র। এ পর্বটি লেখা পর্যন্ত জোয়ারসাহারায় তা বিরাজও করছিল বলে জানা গেছে।
আর ধারাবাহিক প্রতিবেদনের এপর্বটি লেখার শুরুতে গত মঙ্গলবার ইন্সপেক্টর জিয়ার বক্তব্য জানার জন্য তার মোবাইলে ফোন করার পর না ধরায় ক্ষুদে বার্তা পাঠান এ প্রতিবেদক। তাতে তিনি সরাসরি কোন প্রতিক্রিয় না জানিয়ে লিপ্ত হন চক্রান্তে। চলে পোষা দালাল লাগিয়ে বিষয়টি দমানোসহ প্রতিবেদককে হয়রানিতে ফেলতে চালানো হীনতৎপরতা। আরো আছে



  
  সর্বশেষ
পরানগঞ্জ বাজার বালু ব্যবসায়ী আজহারুল ইসলাম আজাদ এর গাড়ী ছিনতাই ও প্রতারনা মুলক অর্থ দাবীর অভিযোগ।
এনবিআরে ১৮২ কর্মকর্তার দপ্তর বদল
নাকোলে শতবর্ষী বিদ্যালয়ে হামলা, প্রধান শিক্ষক আহত
ভাঙ্গা থানা-উপজেলা পরিষদে হামলা-ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ

প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান , সম্পাদক: জাকির হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক এসএম আবুল হাসান। সম্পাদক কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২০১৯ ফকিরাপুল , ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: জামান টাওয়ার (৪র্থ তলা) ৩৭/২ পুরাণা পল্টন, ঢাকা ১০০০
ফোন: ০১৫৫৮০১১২৭৫, ০১৭১১১৪৫৮৯৮, ০১৭২৭২০৮১৩৮। ই-মেইল: bortomandin@gmail.com, ওয়েবসাইট: bortomandin.com