স্টাফ রিপোর্টার,
সম্প্রতি সময়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হলুদ সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম বিগত আওয়ামী লীগের আমলে আওয়ামী লীগের দোসর হয়ে কাজী জাফরউল্লাহ নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনসাধারণের কাছ থেকে প্রতারণা করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বর্তমানেও অবিকল সেই পথ অবলম্বন করে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন ফেক আইডি, এআই ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বিভিন্ন মানুষের নামে সংবাদ করে তাদেরকে বিভিন্ন পন্থায় ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায় যে, উক্ত শহিদুল ইসলাম ও তার পরিবার ভাঙ্গাতে মামলাবাজ হিসেবে খুবই পরিচিত মুখ। সে কৌশলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যে ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে মানুষকে প্রতারণা করে আসছে। বিষয়টি জনসাধারণ ও প্রশাসন জানলেও সে ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। সে দৈনিক প্রলয় পত্রিকার কথিত নির্বাহী সম্পাদক ও দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার সহ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
সাইবার অপরাধী হিসেবে খ্যাত শহিদুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক আইডি ও ভুয়া অনলাইন পোর্টাল খুলে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে চারটি মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে সাইবার অপরাধের কারণে আরও ১৩ টি জিডি হয়েছে তার নামে। এছাড়াও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার মহসিন ফকিরের মামলায় শহীদুল ইসলাম দীর্ঘদিন জেল খেটে জামিনে বের হয়। এছাড়াও সাপ্তাহিক ভাঙ্গার আলো পত্রিকার বার্তা সম্পাদক রফিকুজ্জামান উক্ত শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধের ফরিদপুরে মামলা দেন।
স্থানীয় জনগণের দাবি সে বিভিন্ন সময়ে মানুষের ক্ষতি করে গেলেও সুকৌশলে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা বর্তমান ছাত্র বৈষম্য সমাজ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে হলুদ সাংবাদিকশহিদুল ইসলামকে আইনের আওতায় এনে বিচারের জোর দাবি জানান।