অনলাইন ডেস্ক
ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা নৌ-থানায় নিজের পিস্তল থেকে বের হওয়া গুলিতে আহত পুলিশের এএসআই মো. মোক্তার হোসেন মিঞার (৪৫) অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তবে তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
অস্ত্রোপচার শেষে চিকিৎসক জানিয়েছেন, শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে টানা পাঁচ ঘণ্টা তার অস্ত্রোপচার হয়। তার পেটের সামনে দিয়ে ঢুকে পেছন দিয়ে বের হয় যায় গুলি। তবে এখনও তিনি শঙ্কামুক্ত নন।
সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌ-পুলিশের বরিশাল অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. কফিল উদ্দিন।
তিনি জানান, মোক্তার হোসেন মিঞা রোববার গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রথমে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাৎক্ষণিক তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৯টার দিকে গুলিবিদ্ধ স্থানে অস্ত্রোপচার শুরু হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অস্ত্রোপচার শেষে রাত ১টা ৪৫ মিনিটে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করা হয়। এরপর তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) রাখা হয়।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) রেজওয়ানুর আলম বলেন, মোক্তার হোসেন মিঞা এখনও শঙ্কামুক্ত নন। সকালে তাকে আরও পাঁচটি টেস্ট দেওয়া হয়েছে। সেগুলো করানো হচ্ছে।
নৌ পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন জানান, মোক্তার হোসেন মিঞাসহ আরও দুই পুলিশ কনস্টেবলের ডিউটি পড়েছে চট্টগ্রামের কাপ্তাই লেকে। এটি নিয়মিত ডিউটি। নৌ-পুলিশকে মাঝেমধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে ডিউটি করতে হয়। কয়েকদিন ডিউটি করে তিনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পুনরায় ইলিশা নৌ-থানায় আসেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার বিকেলে তিনিসহ তার সঙ্গীয় ফোর্স কাপ্তাইয়ের উদ্দেশে বের হওয়ার সময় নিজেদের নামে ইস্যুকৃত অস্ত্র বুঝে নেয়। মোক্তার হোসেন মিঞার অস্ত্রটি ছিল পিস্তল ৯ এম এম। টেবিল থেকে অস্ত্রটি নেওয়ার সময় ট্রিগারে হাত লেগে একটি মিস ফায়ার হয়ে যায়।
উল্লেখ, রোববার বিকেল ৪টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা নৌ-থানার মধ্যে নিজের নামে ইস্যু করা পিস্তল থেকে গুলিবিদ্ধ হন ওই থানায় কর্মরত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোক্তার হোসেন মিঞা। তিনি গত দু’বছর ধরে ওই থানায় কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই।