শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * সুন্দরবনে চোরা শিকারের অভিযান ভেস্তে গেল, ৪২ কেজি হরিণের মাংসসহ নৌকা জব্দ   * এক রাতেই দুই খামারে ভয়াবহ ধ্বংস: লাখো টাকার মাছ ও মুরগির বাচ্চা নিধন   * কলাবাগান থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার   * বাবাকে কুপিয়ে হত্যার পর ৯৯৯-এ ফোন করলেন মেয়ে   * ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে দিল্লি সফরে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী   * ভারত-পাকিস্তানের যত যুদ্ধ   * যশোরে আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার ওসিসহ সাত পুলিশ সদস্য   * দিনের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে   * চট্টগ্রামে সাড়ে তিন হাজার ইয়াবাসহ কারবারি গ্রেফতার   * আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার হওয়ার দৌড়ে মিরাজ  

   অপরাধ-দূর্নীতি
বিআরটিএর আরেক পাশ-ফেলের ভয়ঙ্কর গেড়াকল-ঘুষের টাকায় অভাবনীয় পরিমান সম্পদ
  Date : 03-12-2023
Share Button


বিগত কয়েক বছরে  ঘুষের টাকায় রেষ্টহাউজসহ অভাবনীয় পরিমান সম্পদ অর্জনের পরও লোভের টানে জোয়ারসাহারার লোভনীয় সেই গেড়াঁকলের চাবি হাতিয়ে নেন। হয়ে উঠেন আরো বেপরোয়া। আর এতে গত সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই পরীক্ষার বোর্ড ঘিরে হঠাৎ সমালোচনাসহ নানা গুঞ্জন বেড়ে ওঠায় কর্তৃপক্ষ চড়াও হয়। তাতেই জোয়ারসাহারার ইন্সপেক্টও মোটরযান পরিদর্শক) জিয়ার নেতৃত্বাধীন ওই পাশ-ফেলে গেড়াঁকলের ঘুষ বাণিজ্যে কিছুটা ভাটা লাগে। কিন্তু তা আর কয়দিন ? ওই দু-চার দিন পরে আবার সরদারের পাশে চেলা মৌয়ালরা ফের হুমড়ি খেয়ে ওই মধু নামের রক্তচোষায় লিপ্ত হয়।
বিশেষ প্রতিবেদক
বিআরটিএর আরেক পাশ-ফেলের ভয়ঙ্কর গেড়াকল চলছে হরদম। প্রতিমাসে দুই কোটি টাকার বেশী হাতাতে ছদ্মবেশী শতাধিক দালাল নিযুক্ত রেখেছেন জোয়ারসাহারার ওই পরীক্ষার বোর্ড নামধারী পাশ-ফেলের গেড়াকলের অন্যতম হোতা  ইন্সপেক্টর জিয়াউর রহমান জিয়া। মেট্রো-১ অগোচর দুরত্বের জোয়ারসাহারারস্থ ওই পরিক্ষার বোর্ডে প্রতিদিন মোট ৪৫০-৫০০ জন গ্রাহকের ২৫০-৩০০ জনকে পাশ-ফেলের গেড়াকলে জিম্মি করা সেখানকার নিত্যাকার ব্যাপার। আর দেড়-দুই হাজার টাকা হারে আদায়ের সম্পূর্ন অবৈধ ব্যাপারটা যেন মামুলি বিষয়। যা সপ্তাহ ও মাসের হিসেবে দুই কোটি টাকার বেশী বৈ,কম নয়। যার অংশ পদ-পদবি বিবেচনায় মেট্রো-১ও হেড অফিসের ছোট,মাঝারি ও বড় ধরনের সুবিধাভোগী রক্ষাকবজরাও পেয়ে যান সময় মত। আর ওই ইন্সপেক্টর জিয়ার একচ্ছত্র কতৃত্বে তা চলে আসছে বছরের পর বছর। তার পালিত প্রায় শত খানেক দালাল দ্বারা পরিচালিত হাট-বাজারের আদলে অবাধ ঘুষের বাজার। আর এভাবেই ওই পাশ-ফেলের গেড়াকলের কাড়িকাড়ি ঘুষের টাকায় ইন্সপেক্টর জিয়া নামেবেনামে ঢাকাসহ বিভিন্নহ জায়গায় অডঢল সম্পদ। তার পদমর্যদা যাই হোক না কেন কক্সবাজারের মত জায়াগায় একক মালিকনায় আধুনিক মানের একাধিক আবাসিক হোটেলও পর্যন্ত রয়েছে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,সেখানে (খিলক্ষেতের জোয়ারসাহারায়) একটানা বছর চারেকের ফাকে চার-পাঁচ মাস কম সময় ধরে অনেকটা নির্বিঘ্নে চলে আসছে বরারের ঘুষ আদায়। ঠিক যেমন মধুর নেশায় পাগল বর্বর মৌয়াল, তেমনি শত আপত্তি-বিপত্তিসহ সমালোচনা ঠেলে জিয়া নামের ওই কর্মকর্তা (মোটরযান পরিদর্শক) দীর্ঘ সময় ধরে মধুর বাগানগুলো,মানে ধান্ধার খোলা বাজার ইকুরিয়া ও মিরপুর (মেট্রো সার্কেল-২ ও (মেট্রো সার্কেল-১) দিয়ে বাউলি খেয়ে সর্বশেষ বছর চারেক আগে মিরপুর ঘাটি গেড়েছেন। কব্জায় রেখেনে জোয়ারসাহারার ওই মধু থৈথৈ টাকার কারখানাটি। যা ঘিরে বরাবরই নানা অভিযোগ ও আপত্তি থাকা সত্বেও তিনি অদৃশ্য শক্তির বলে শত মৌয়ালের সরদার সেজে মধুর লোভে ও বলে (কাড়িকাড়ি টাকা) থোড়াইকেয়ার ভাবে তৎপর রয়েছেন। আর এতে ভুক্তভোগীসহ সুবিধা বঞ্চিতদের ক্ষোভের জেরে সদ্য বেড়ে উঠেছে সংশ্লিস্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের র্দশ্যমান এ তৎপরতা। তবে তা গতানুগতিক ও লোক দেখানো বলেও অনেকে জানিয়েছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিআরটিএর জনৈক কর্মকর্তা ও একাধিক সুবিধাবঞ্চিত গ্যাটিজ (বহিরাগত) জানায়, বিআরটিএর ইন্সপেক্টর (মোটরযান পরিদর্শক) জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই অস্বাভাবিক ম্যানেজ শক্তির বলে পাশ-ফেলের গেড়াঁকলের হোতাগিরিতে নির্বিঘ্নে বহাল রয়েছেন। ইকুরিয়ার পর প্রায় বছর চারেক ধরে মিরপুর বিআরটিএর পাশ-ফেলে গেড়াঁকলের চালকের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। শত খানেকেরও বেশী দালাল রেখে খিলক্ষেতস্থ (জোয়ারসাহারা) লাইসেন্সের বোর্ডে গ্রাহকদের পাশ-ফেলে গেড়াঁকলে আটকে ঘুষ আদায়ে যেন বিস্তার করেছেন রামরাজত্ব। আর এভাবে অনেক আগে গুছিয়ে নিয়েছেন আখের,মালিক হয়েছেন অভাবনীয় সম্পদের। সেই সাথে জোয়ারসাহারার অবৈধ টাকার কারখানারুপি পাশ-ফেল গেড়াঁকলের সরদারি ধরে রাখতে বেধে রেখেছেন আটঘাট। যাতে তার বিরুদ্ধে শতাধিক দালাল রেখে প্রকাশ্যে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ যেন স্বীকৃতি পেয়ে বসেছে। বরাবরই এসব অনিয়মের অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি-বদলি থামাতেও বেশ পটু তিনি। যার ফলে নরসিংদী থেকে অল্প সময়ের মধ্যেই ফের মিরপুরে ঢুকে পড়েছেন। হয়ে উঠেছেন আরো বেপরোয়া। আর এতে গত সপ্তাহ দুয়েক আগে ওই পরীক্ষার বোর্ড ঘিরে হঠাৎ সমালোচনাসহ নানা গুঞ্জন বেড়ে ওঠায় কর্তৃপক্ষ চড়াও হয়। চলে মোবাইল কোর্ট। তাতেই জোয়ারসাহারার ইন্সপেক্টর জিয়ার নেতৃত্বাধীন ওই পাশ-ফেলে গেড়াঁকলের ঘুষ বাণিজ্যে অনেকটা ভাটা লাগে। কয়েক দিন ধরে ওই সরদারসহ মৌয়ালরা সামান্য থমকে দাড়ায়। আর বিআরটিএর জোয়ারসাহারার চলতি অনিয়ম রোধে তৎরতার বিষয়টিও নিশ্চিত করছেন সংশ্লিস্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র। এ পর্বটি লেখা পর্যন্ত জোয়ারসাহারায় তা বিরাজও করছিল বলে জানা গেছে।
আর ধারাবাহিক প্রতিবেদনের এপর্বটি লেখার শুরুতে গত মঙ্গলবার ইন্সপেক্টর জিয়ার বক্তব্য জানার জন্য তার মোবাইলে ফোন করার পর না ধরায় ক্ষুদে বার্তা পাঠান এ প্রতিবেদক। তাতে তিনি সরাসরি কোন প্রতিক্রিয় না জানিয়ে লিপ্ত হন চক্রান্তে। চলে পোষা দালাল লাগিয়ে বিষয়টি দমানোসহ প্রতিবেদককে হয়রানিতে ফেলতে চালানো হীনতৎপরতা। আরো আছে



  
  সর্বশেষ
বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ হলো
ট্রান্সশিপমেন্টের বাইরে: ভারতের মাধ্যমে রপ্তানি কার্গোর প্রকৃত কারণগুলো খতিয়ে দেখা
কেওয়াটখালী সেতু প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে ভয়ানক অনিয়ম
সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন চান পণ্য পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা

প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান , সম্পাদক: জাকির হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক এসএম আবুল হাসান। সম্পাদক কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২০১৯ ফকিরাপুল , ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: জামান টাওয়ার (৪র্থ তলা) ৩৭/২ পুরাণা পল্টন, ঢাকা ১০০০
ফোন: ০১৫৫৮০১১২৭৫, ০১৭১১১৪৫৮৯৮, ০১৭২৭২০৮১৩৮। ই-মেইল: bortomandin@gmail.com, ওয়েবসাইট: bortomandin.com