বুধবার, জুন ৭, ২০২৩
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * বিআরটিএ’র সর্বাঙ্গের ক্ষত,মলম দিবে কত ? সদরের হোঁতার আস্কারায় সার্কেলও এখন বেপরোয়া,হোঁতাসহ সদরের জালিয়াতি সিন্ডিকেটের   * কয়লা সংকটে বন্ধ হলো পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র   * (ফলোআপ): -মহত্য বটে-সেই অন্তঃসত্ত্বার লাশ ছিনিয়ে নদীর চরে দাফন,এটাও একটা “গণকবর”   * রাজধানীতে প্রতারণার সাজাপ্রাপ্ত ৪ আসামি গ্রেপ্তার   * অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন, গুজবে নষ্ট করা যাবে না   * লোডশেডিংয়ে দেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী   * বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয় : ড. আহসান এইচ মনসুর   * ভারতে ভয়াবহ প্রানঘাতী ট্রেন দুর্ঘটনা, নিহত বেড়ে ২৮৮   * মিতু খুনে ৭ বছর পর গ্রেফতার কালু   * ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ  

   বিশেষ সংবাদ
বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ
  Date : 25-03-2023
Share Button



বাংলাদেশস্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লড়াই যেদিন শুরু হয়েছিলÑ আজ ওই স্মৃতিময় ২৬ মার্চ, আমাদের গৌরবময় স্বাধীনতা দিবস। এদিনেই বাঙালি জাতি তাদের চিরকালীন দাসত্ব ঘুচিয়ে স্বাধীনতার অগ্নিমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়েছিল এবং লাখো প্রাণের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার লাল সূর্যটাকে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙালির প্রাণপ্রিয় নেতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানিরা সেদিন সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত উপেক্ষা করেছিল। ক্ষমতার বদলে দিয়েছিল বুলেট আর কামানের গোলা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশের মানুষের মুক্তির আকাক্সক্ষাকে শেষ করে দিতে বর্বর হত্যাকা-ে মেতে ওঠে। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগমুহূর্তে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এর পর তার অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার। দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। আজ আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদকে, সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের; স্মরণ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও চার জাতীয় নেতাকে এবং ১৫ আগস্টের কালরাতের সেই শহীদদেরÑ যাদের প্রায় সবাই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা।
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি ধারাবাহিক ইতিহাস রয়েছে। মূলত তা রাষ্ট্রভাষা বাংলা ও ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু। পাকিস্তান সরকার কর্তৃক উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ১৯৫২ সালে যুব সম্প্রদায়, বিশেষত ছাত্ররা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তরুণ ও উদীয়মান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। বাঙালি জনগণ এ সিদ্ধান্তকে তাদের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে একটি ধ্বংসাত্মক ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররা মিছিল নিয়ে রাস্তায় বের হলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায়। এতে কয়েক ছাত্র ও সাধারণ মানুষ নিহত হয়। আবুল বরকত, আবদুস সালাম, আবদুল জববার, রফিক উদ্দিন আহমদসহ অনেক নাম না জানা ব্যক্তি শহীদ হন। পরে গণঅভ্যুত্থান এমন ব্যাপক রূপ নিয়েছিল যে, সরকার নতি স্বীকার করে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষারূপে স্বীকৃতিদানে বাধ্য হয়। পাকিস্তানি শাসকচক্র কর্তৃক সাংস্কৃতিক অন্তর্ঘাতের বিরুদ্ধে এটি ছিল বাঙালিদের প্রথম উল্লেখযোগ্য বিজয়। এর পর থেকেই এ ঘটনাটি স্বায়ত্তশাসনের দাবির আন্দোলন এবং পরবর্তীকালে স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালিদের অনুপ্রাণিত করেছে।
ভাষা আন্দোলনের পর বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার অন্যতম ভিত্তি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোর সম্মেলনে ৬ দফা দাবি উত্থাপনের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে তা করতে বাধা দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফিরে আসেন এবং বিমানবন্দরেই সাংবাদিকদের কাছে সংক্ষেপে ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। ৬ দফা দাবিতে পাকিস্তানের প্রতিটি প্রদেশকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়। আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি ও দলের জাতীয় সম্মেলনে ৬ দফা গৃহীত হয়েছিল। পরে দেশব্যাপী ৬ দফা দাবি প্রচারের পদক্ষেপ নেন এবং একের পর এক জনসভা করতে থাকেন’ (শেখ হাসিনা, ২৬ আগস্ট ২০২০)। আসলে ৬ দফা প্রস্তাবের ফলে পাকিস্তানি শাসকের ভীত কেঁপে ওঠে। ১৯৬৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় ৬ দফা প্রস্তাব ও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনের কর্মসূচি গৃহীত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দীন আহমদের ভূমিকা সংবলিত ৬ দফা কর্মসূচির একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পকিস্তান থেকে ঢাকায় ফিরে ১৯৬৬ সালের ১৩ মার্চ ৬ দফা এবং এ ব্যাপারে দলের অন্য বিস্তারিত কর্মসূচি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে পাস করিয়ে নেন। ওই অধিবেশনে তিনি দলের সভাপতি নির্বাচিত হন।অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর দলকে জনগণ বিজয়ী করলেও স্বৈরাচারী পাকিস্তানি শাসকরা বিজয়ী দলকে সরকার গঠন করতে না দিলে আবারও বঙ্গবন্ধু জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের। ৬ দফাই এনে দিয়েছে আমাদের তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টি, অন্তর্দৃষ্টি ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতা এতই প্রখর ছিল যে, তিনি ৬ দফাকে এক দফার দাবিতে পরিণত করে বাংলার স্বাধীনতার আন্দোলনের ডাক দেন। ৬ দফার সময়ে এটি কেবল স্বায়ত্তশাসনের দাবি, অর্থনৈতিক মুক্তির দাবি নয়Ñ এমন বিতর্ক ছিল। তিনি বলেন, ’৭০-এর নির্বাচন ছিল ৬ দফার প্রশ্নে ম্যান্ডেট। বাংলার স্বাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এবং পরে মুক্তির সংগ্রাম।
১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলন ও ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক বিজয়ের সাক্ষী এ দেশের জনগণ। এর পর পশ্চিম পাকিস্তানিদের ক্ষমতার মসনদে আসীন হওয়ার লিপ্সার প্রতিবাদে বাংলার মানুষকে করে তুলেছিল অদম্য সাহসী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংঘটিত হয় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ। ভাষা আন্দোলনের প্রথম কারাবন্দিদের একজন বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে গগনবিদারী কণ্ঠে ১৮ মিনিট বক্তব্য প্রদান ও স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। ওইদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জনসভাতেও বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেনÑ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর এই স্পষ্ট উচ্চারণ পুরো বাঙালি জাতির মধ্যে ঐক্যতান গড়ে তুলেছিল। আমি বিশ^াস করি, বায়ান্নর রক্তদানের ফলে মাতৃভাষা স্বীকৃত হয়েছে। কিন্তু মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একাত্তরের রক্তদানে।
দীর্ঘ ৯ মাস ধরে চলে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। দুঃখের বিষয়Ñ তখন এ দেশেরই কতিপয় কুসন্তান হাত মিলিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে, গড়ে তুলেছিল রাজাকার-আলবদর-আলশামসসহ বিভিন্ন নামের বাহিনী; যারা পাকিস্তান আর্মির সঙ্গে একত্র হয়ে যে অত্যাচার-নির্যাতন করেছিল, তা পৃথিবীর ইতিহাসের সব বর্বরতাকে হার মানিয়ে দিয়েছিল। তা সত্ত্বেও ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও আরও বহু ত্যাগের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্ব^র আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। আসলে মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল এক অভূতপূর্ব জাতীয় ঐক্য। দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে বহু মানুষ সম্মুখযুদ্ধে লড়াই করে শহীদ হয়েছেন। অস্ত্র হাতে লড়াই করেননি কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছেনÑ এমন মানুষের সংখ্যাও প্রচুর। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মানুষের পাশে ছিল পুরো জাতি। এ কারণেই মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ ও স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছিল। আমি নিজে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রণাঙ্গনে ছিলাম। চোখের সামনে দেখেছি পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা।
স্বাধীনতার প্রথম লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসনের শৃঙ্খলমুক্তি। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্ব^র পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে সেটি অর্জিত হয়। দ্বিতীয় লক্ষ্য ছিল একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনÑ যেখানে দেশের প্রত্যেকে মৌলিক চাহিদা এবং নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হবে। স্বাধীনতার পাঁচ দশক পর আত্মজিজ্ঞাসা করলে দেখবÑ স্বাধীনতার অনেক লক্ষ্য ও আকাক্সক্ষা পূরণে নিবেদিতভাবে কাজ করছেন মানবতাবাদী দার্শনিক মাতৃসমা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতার সার্থক উত্তরসূরি হিসেবে স্বাধীনতার মহান স্থপতির স্বপ্নপূরণে তিনি দেশের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য নিরলস পরিশ্রম করছেন। অস্বীকার করার উপায় নেইÑ খাদ্য উৎপাদন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবাসহ অনেক ক্ষেত্রে দেশ অনেক এগিয়েছে। আর্থসামাজিক কাঠামো ও যোগাযোগব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হয়েছে। বহুমুখী যমুনা সেতুর পর আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। মেট্রোরেল চালু হয়েছে। দেশে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের জীবনমানের উন্নতি হয়েছে। প্রত্যেকে মৌলিক চাহিদা তথা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের সুযোগ লাভ করেছে। স্বাস্থ্য পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। অর্থনৈতিক কর্মকা-ে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, মানবসম্পদ উন্নয়নের অনেক সূচকে আমাদের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটেছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে।
দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার পরও স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয় এবং দেশ চলে যায় স্বাধীনতাবিরোধীদের কব্জায়। রাজাকার-আলবদরসহ ঘাতকরা ফিরে আসে রাষ্ট্রক্ষমতায়। চলতে থাকে দেশকে পুনরায় পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা। আশার কথা, স্বাধীনতার এতদিন পরে হলেও এ দেশে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধকারীদের বিচার হয়েছে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইতোমধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুদ- কার্যকরও করা হয়েছে। চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় আছে আরও কয়েকজনের বিচারকাজ। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচারও শুরু হয়েছে। এ বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই জাতি হিসেবে আমরা কিছুটা হলেও কলঙ্কমুক্ত হব।মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র ও সামগ্রিক ন্যায়। আমাদের স্বপ্ন ছিল স্বাধীন বাংলাদেশে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সব ধরনের অন্যায়-অবিচার এবং বৈষম্য থেকে মানুষের মুক্তি ঘটবে। প্রধানমন্ত্রী জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য প্রশংসনীয় সব উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা, বয়স্কভাতা, মুক্তিযোদ্ধাদের ফ্রি চিকিৎসা, গৃহহীনদের বাড়ি প্রদান, ভূমিহীনদের ভূমিসহ গৃহ প্রদান ইত্যাদি। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য তিনি কৃষি জমিতে অধিক ফসল উৎপাদনে জোর দিয়েছেন। কোনো অনাবাদী জমি যেন পতিত না থাকে, এ বিষয়ে বারবার তাগিদ দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় একের পর এক মাইলফলক অর্জন এবারের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকে মহিমান্বিত করবে। জাতি আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে, জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের অগণিত শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাবে। একই সঙ্গে জাতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে মুক্তিযুদ্ধের যেসব স্বপ্ন এখনো অপূর্ণ রয়েছে, তা বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। এ ছাড়া আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী সব অপশক্তিকে নির্মূল করার ব্যাপারেও। আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত : সংসদ সদস্য ও সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়

 



  
  সর্বশেষ
জজ কোর্টে আইনজীবীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫
কয়লা সংকটে বন্ধ হলো পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র
রাজধানীতে প্রতারণার সাজাপ্রাপ্ত ৪ আসামি গ্রেপ্তার
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন, গুজবে নষ্ট করা যাবে না

প্রধান সম্পাদক: এনায়েত ফেরদৌস , অনলাইন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত ) কামরুজ্জামান মিল্টন |
নির্বাহী সম্পাদক: এস এম আবুল হাসান
সম্পাদক জাকির হোসেন কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত ও বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ২/২, ইডেন কমপ্লেক্স (৪র্থ তলা) সার্কুলার রোড, ঢাকা ১০০০। ফোন: ০১৭২৭২০৮১৩৮, ০১৪০২০৩৮১৮৭ , ০১৫৫৮০১১২৭৫, ই-মেইল:bortomandin@gmail.com