- তারও আছে-“শান্তির নীড় সুলতানা মহল; “নকশী কাঁথার মাঠ’র ফ্ল্যাট ।
- সাভারের ভাদাইলে বিঘা বিঘা জমি ।
- সেই প্লট খেকো গোল্ডেন মনিরের সাথেও সখ্যতার খবর তো পুরনো ।
- আর গাড্ডা ছুটাতে আছে-সংবাদকর্মী নামধারী দালালসহ গুন্ডা বাহিনী ।
কামরুজ্জামানমিল্টন:
সম্প্রতি দুর্নীতির রাঘব বোয়ালদের দাপাদাপির ঘোলা পানিতে সর্বত্রই সোল, গজাল, টাকি শ্রেণীর দুর্নীতিবাজরাও ভেসে উঠতে শুরু করেছে। এ যাবৎ সুযোগমত ডুবে ডুবে নিশ্চিন্তে দুর্নীতি আর লুটপাটকারী রাঘব বোয়ালদের তালে তাল মিলিয়ে ফুলেফেপে বেশামাল তারাও যেন ওই ঘোলা পানির নিচে টিকতে পারছে না। পড়ছে-চুনো পুঠি ধরনের বাকা চোখাদের নজরে, খাচ্ছে-টুকটাক ঠোকর, দৌড়াচ্ছে-এদিক ওদিক। আর সেই ধরনেরই পদমর্যাদায় সোল-গজাল নয়, বরং টাকি তুল্য এক দুর্নীতিবাজের বেপরোয়া দুর্নীতি ও লুটপাটের লোমহর্ষক গম্বুজাকৃতির দেহ নয়, সম্পদের বাহাদুরিটা খোঁজ-খবরের এ ক্ষুদ্র প্রয়াসটি।
আসল কথা-দুর্নীতি ও লুটপাটের টাকায় অন্যদের সাথে হৃষ্টপুষ্ঠ ওই টাকি তো নয়, মানুষরূপী ওই তুখোড় ধান্ধাবাজের নাম-মোঃ আব্দুল মোমিন। তিনি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)এর ছোট মাইনের কর্মচারী অর্থাৎ একজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। কিন্তু তাতে কি হবে ? তারও রয়েছে-গায়েবি সম্পদের ঢিবি-টিলা। তার মানে-তিনিও শত কোটির টাকার মালিক। আর তা যদি গায়েবি না বলি, তাহলে নিশ্চয়ই দুর্নীতির মাধ্যমে জুগিয়েছেন।
তবে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মোমিনের নামে-বেনামের অভাবনীয় ওই সম্পদের উৎসের খোঁজে মেলে-রাজউক এর কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজস। ওই সব ছদ্মবেশী লুটেরা অসাধু কর্মকর্তাদের ভাগাভাগির লোলুভ আস্কারায় এই একজন অপারেটরের পক্ষেও সম্ভব হয়ছে-অবৈধ সম্পদের টিলা গড়া।
আসলে অপারেটর মোমিন একদিনে নয়, একাও নয়, একটা লম্বা সময় ধরে ডাটা এন্ট্রির ছলচাতুরি ও কারসাজিসহ নানা অনিয়মের চৌকশ কামলা হয়ে ওই ভাগিদার সহযোগীদের নিয়ে ঘুষবাজির মাধ্যমে এ অবৈধ আখেরের টিলাতুল্য সম্পদ বানিয়েছেন। তার ক্ষমতার বলয়ে তা অবিশ্বাস্য মনে হলেও তার রয়েছে-“শান্তির নীড় সুলতানা মহল" নামে সাত তলা দৃষ্টিনন্দন ভবন। যা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭১ নং ওয়ার্ডে ৫ কাঠা জমির উপর তৈরি। বাজার মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকার বেশি বৈ, কম নয়। কমলাপুর জসিম উদ্দিন রোডে ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ নামের দামি এ্যাপার্টমেন্টের বি-৬’তে রয়েছে-১৭২৫ বর্গফুটের ফ্ল্যাট। ফ্ল্যাটটির বাজার মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। ফ্ল্যাটের ভিতরে রয়েছে-কোটি টাকার উপরে আসবাপত্র। আর সাভারের ভাদাইল পুরানো ইপিজেড সংলগ্ন হোসেন প্লাজা ঘেষা দুই বিঘা জমিতে টিনশেড ঘর। দাম ১০ কোটি টাকার উপরে। আর তার স্ত্রীর নামে আছে-রাজউক পূর্বাচলে কয়েক কোটি টাকার প্লট। এছাড়া নামে-বেনামে রয়েছে-বিভিন্ন ব্যাংকে কোটি কোটি টাকার এফডিআর।
পদমর্যাদার আকার-আয়তন যাই হোক না কেন, ওই ঘোলা পানিতে ভেসে ওঠা মানে-আলোচিত ওই টাকি দুর্নীতিবাজ মোমিনের বহুল আলোচিত-সমালোচিত রাজউক এর সেই প্লট খেকো গোল্ডেন মনিরের সাথেও গভীর সখ্যতা যে খবর তো পুরনোই। সোজা কথায়-পিয়ন বা তার একটু উপরের পে চাকরি ওয়ালা ওই মোমিন রাজউক এর ওই টাকি শ্রেণীর দুর্নীতিবাজদের হোতা তো বটেই, সেই সাথে আশ-পাশের সোল-গজার শ্রেণীর আস্থাভাজন হওয়ায় দুর্বৃত্তায়নের ওই হতবাক করার মত সম্পদের মালিক হতে সক্ষম হয়েছেন।
আর তার এসব দুর্নীতি নামের ঘুষবাজি, ধান্ধাবাজির বিভিন্ন রকমের গাড্ডা বা বাগড়া ছুটাতে বরাবরই নিযুক্ত রেখেছেন-কিছু সংবাদকর্মী নামধারী দালাল ও একাধিক গুন্ডা বাহিনী। এমনকি ওই ডাটা অপারেটর মোমিনের সৌজন্যেই ওই শ্রেণীর একাধিক টাউট চক্রের আস্তানাও রাজউক এর একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কক্ষে কক্ষে। উদ্দেশ্য মোমিন গ্রুপের রক্ষাকবজ গিরির বিনিময়ে কিছু খরচা বা দালালির সুযোগ নেয়া।
তবে এ নিয়ে কথা বলার জন্য ডাটা এট্রি অপারেটর আব্দুল মেমিনের সাথে মোবাইলে অনেকবার ফোন করে ও এসএমএস দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। আর দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক’এব্যাপারে অভিমত নেয়ার জন্য যোগাযোগ করা হয়। তাতে দুদকের একটি সূত্র থেকে বিষয়টি সত্ত্বর প্রাথমিক সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।
অন্যদিকে রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সিদ্দিকুর রহমান সকারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বেশিদিন হয়নি দায়িত্ব পেয়েছি। দায়িত্ব পেয়ে আমি এসব বিষয়ে খুবই সজাগ রয়েছি।তিনি বলেন, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পর্যায়ে এখনো আমি অনেককে চিনে উঠতে পারিনি।তবে অনিয়োম দুনীতির প্রমাণ পেলে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।
এরপর আরো তথ্য নিয়ে আস্কারাদাতাদের বিস্তারিত আসছে....... ।