শনিবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * রাঙ্গামাটিতে পিকআপভ্যান-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ৫   * মধ্যপ্রদেশে বিমানবাহিনীর প্লেন থেকে বাড়ির ওপর পড়লো ভারী বস্তু   * তাপমাত্রা কবে কমবে, জানালো আবহাওয়া অফিস   * ডিএমপির সাবেক ডিসি তানভীর সাময়িক বরখাস্ত   * একসঙ্গে বিষপান, স্ত্রীর মৃত্যু হাসপাতালে স্বামী   * হত্যার ১৭ বছর পর দুই আসামির যাবজ্জীবন   * পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় শোক   * দুই নতুন ডিএমডি নিয়োগ দিলো সিটি ব্যাংক   * অহেতুক সড়ক অবরোধ না করতে ডিএমপির অনুরোধ   * কাশ্মীরে দোকানপাট-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ  

   জাতীয়
আওয়ামী ছত্রছায়ায় মেঘনা গ্রুপের মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে মেঘনা নদী দখল
  Date : 01-01-2025
Share Button

আনিসউর রহমান আনিস:

নদী দখল-দূষণ ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং সরকারি খাসজমি দখলের এ যাবৎ সব রেকর্ডের ইতিহাস ভঙ্গ করেছে মেঘনা গ্রুপ। নারায়ণগঞ্জ জেলাধীন সোনারগাঁও উপজেলার অবস্থিত মেঘনা নদীর ১৬০০ বিঘা জমি অবৈধভাবে দখল করে নিয়ে পঁচিশটি শিল্প কারখানা গড়ে তুলেছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
এই শিল্প কলকারখানা গড়তে যেয়ে বছরের পর বছর মেঘনা গ্রুপ মেঘনা নদীকে গ্রাস করেছে। সেই সঙ্গে মেঘনা নদীর প্রবাহধারাকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্থ করেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মেঘনা নদীর শাখা নদী মারীখালী নদীর অংশে উত্তর দক্ষিণ অংশে পাড় থেকে নদীর ভেতর দুই কিলোমিটার দখল করে এক অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছে মেঘনা গ্রুপ।

মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের নির্দেশে ২০ অক্টোবর ২০১৯ সালে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব), নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান ঢাকা, পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা অঞ্চল, নির্বাহী প্রকৌশলী বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নিয়ে ১২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি দুই মাসব্যাপী তদন্ত শেষে ৩৪ পৃষ্ঠার একটি তদন্ত রিপোর্ট তৎকালীন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগকে প্রদান করা হয়। এই প্রতিবেদনের আলোকে তৎকালীন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ হতে এক পত্রের আলোকে জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ ও পুলিশ সুপারকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে নদীর জায়গা ও সরকারি জমি উদ্ধার করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হয়। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

মেঘনা গ্রুপ অবৈধভাবে দখল কৃত মেঘনা নদীর ও সরকারি খাস জমিতে ৮৪দশমিক ৭০ একর স্থায়ীভাবে পাক্কা বহু তলা ভবন নির্মাণ এবং ৫.৫একর জমিতে রাস্তা নির্মাণ করেছে। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অন্যায় ও অবৈধভাবে মেঘনা গ্রুপ তাদের কার্যক্রম এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। কোন এক অজানা কালো হাতের ইশারায় বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি।

হাইকোর্টের এক রায়ে বলা হয়েছে নদী দখল হচ্ছে একটি ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটি সদ্য ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের মদদে অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে অদৃশ্য হাতের কারসাজিতে পার পেয়ে যাচ্ছে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল।
উল্লেখ্য, নদী দখলে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস এবং দূষণ হওয়ার পাশাপাশি নদীর গতিপথ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। অপরদিকে অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে নদী সংলগ্ন কিছু আবাসিক নিচু এলাকা। আনন্দবাজার এলাকার মেঘনা নদীর বিস্তীর্ণ জায়গা দখল করে মাটি ভরাট করে এবং স্থানীয় জনগণের ৫০একর জমি গ্রাস করে নিয়েছে এই গ্রুপটি। সোনারগাঁ এলাকার পিরোজপুরে বালু ভরাট করে বহু জায়গা দখলে নিয়ে সীমানা প্রাচীর দেওয়া হয়েছে। যা অন্যায় এবং অবৈধ। এদিকে মেঘনা গ্রুপের দীর্ঘদিনের অবৈধ কর্মকান্ড থেকে নদীর জমি উদ্ধারে নারায়ণগঞ্জ ডিসি অফিস মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনায় কি কি পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে ঐঘউঈ নামে একটি কনসোর্টিয়াম গ্রুপ।

গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক এবং ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পরিবেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজিকে একটি পত্র প্রেরণ করেন মোহাম্মদ সেলিম রেজা, মহাসচিব,  Human and Nature Development Consortium (HNDC) জেলা প্রশাসকের কাছে জানতে চেয়েছে মেঘনা গ্রুপ কর্তৃক মেঘনা নদী দখল সংক্রান্ত সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী গৃহীত পদক্ষেপ এবং তা কতটা কার্যকর করা হয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য প্রদান প্রসঙ্গে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উক্ত ঐঘউঈ এর চিঠির জবাব প্রদান থেকে বিরত রয়েছেন।

এখানেই উল্লেখ HNDC এর অন্তর্ভুক্ত সংগঠনগুলো হচ্ছে:-১. HNDC এর অন্তর্ভুক্ত সংগঠনগুলো হচ্ছে: -1. Save the Rivers Bangladesh Society (SRBS) 2. Humanist society 3. Bangladesh Human Rights and Environment Foundation 4. Environment Safeguard and Development Society 5. World Peace and Human Right Society 6. Development and Research Organisation for the Peoples, (Drop).

এ বিষয়ে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করে, ম্যাসেজ দিয়ে, ভয়েস দিয়ে মতামত জানতে চাইলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি বা মতামত প্রকাশ করেননি।

আগামী দ্বিতীয় পর্বে থাকবে জেলা প্রশাসন ও ঐঘউঈ`র কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন। এছাড়া তদন্ত কমিটির বিস্তারিত রিপোর্ট ও মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের দুর্নীতিসহ নানা অপকর্ম নিয়ে থাকবে ১০ পর্বের সংবাদ



  
  সর্বশেষ
বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ হলো
ট্রান্সশিপমেন্টের বাইরে: ভারতের মাধ্যমে রপ্তানি কার্গোর প্রকৃত কারণগুলো খতিয়ে দেখা
কেওয়াটখালী সেতু প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে ভয়ানক অনিয়ম
সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন চান পণ্য পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা

প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান , সম্পাদক: জাকির হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক এসএম আবুল হাসান। সম্পাদক কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২০১৯ ফকিরাপুল , ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: জামান টাওয়ার (৪র্থ তলা) ৩৭/২ পুরাণা পল্টন, ঢাকা ১০০০
ফোন: ০১৫৫৮০১১২৭৫, ০১৭১১১৪৫৮৯৮, ০১৭২৭২০৮১৩৮। ই-মেইল: bortomandin@gmail.com, ওয়েবসাইট: bortomandin.com