খুলনা ডেস্ক:
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) সংলগ্ন সড়কে আবারও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে নিরিবিলি রেস্তোরাঁর সামনে এই হামলার শিকার হন দুই শিক্ষার্থী। আহতদের মধ্যে একজন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাফওয়ান আহমেদ ইফাজ (২২) এবং অপরজন এনার্জি সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ আলসাত রাজিম।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইফাজ ও রাজিম নিরিবিলি রেস্তোরাঁর সামনে অবস্থান করছিলেন, এমন সময় হঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে তাঁদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইফাজের হাতে গুরুতর আঘাত করা হয় এবং রাজিমকে মারধর করা হয়। আশপাশের লোকজন দ্রুত আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান, বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন।
খানজাহান আলী থানার ওসি কবির হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। তবে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।
এই হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, ছাত্রদল শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করার চেষ্টা করছে, তবে কেউ যদি এই সহনশীলতাকে দুর্বলতা ভাবে, তাহলে প্রয়োজন হলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা যথাযথ জবাব দিতে প্রস্তুত থাকবে।
এর আগেও কুয়েটে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ১৮ ফেব্রুয়ারির সংঘর্ষের জেরে ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং চলতে থাকে অচলাবস্থা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও অনশনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক পরিবর্তন আনা হলেও, শিক্ষকরা এখনও ক্লাসে ফেরেননি। শিক্ষক লাঞ্ছনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না বলে জানিয়ে দেন। এরই মাঝে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মো. হযরত আলী ২১ মে পদত্যাগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অস্থিরতা এবং নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।