অনলাইন ডেস্ক:
সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সম্পর্ক জোরদার হয়েছে। পিয়ংইয়ং সোমবার (২ জুন) রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সামরিক সহযোগিতার বিষয়টি সমর্থন করে বলেছে, এই সম্পর্ক ইউরোপ এবং এশিয়ায় ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার’ লক্ষ্যেই জোরদার করা হয়েছে। খবর এএফপির।
গত কয়েক বছরে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদার হয়েছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আক্রমণকে সমর্থন করে অস্ত্র ও সৈন্য সরবরাহ করছে পিয়ংইয়ং, এমন অভিযোগও উঠেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতা লি সিওং-কুয়েন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে বলেছেন, রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৬০০ সৈন্য নিহত এবং হাজার হাজার সেনা আহত হয়েছেন।
শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং আরও আটটি দেশ সমন্বিত একটি বহুপাক্ষিক পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠী এই সম্পর্কগুলোকে ‘বেআইনি’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।
এর জবাবে পিয়ংইয়ং বলেছে যে, বিভিন্ন রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে এবং ইউরেশিয়ান অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই মস্কোর সঙ্গে তাদের সামরিক সহযোগিতা জোরদার হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বিবৃতিতে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ককে ‘আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের মূল ভিত্তি’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, পিয়ংইয়ং এবং মস্কো সার্বভৌমত্ব, সমতা এবং ন্যায়বিচারের প্রতি প্রকৃত সম্মানের ওপর ভিত্তি করে একটি বহু-মেরু বিশ্বব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
গত অক্টোবরে চালু হওয়া বহুপাক্ষিক নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণ দলটি উত্তর কোরিয়ার উপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের উপর নজরদারি এবং প্রতিবেদন করে, যদিও এটি জাতিসংঘের বাইরে স্বাধীনভাবে কাজ করে।
উত্তর কোরিয়া গত এপ্রিলে প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করেছে যে, তারা ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধকে সমর্থন করার জন্য রাশিয়ায় সেনা মোতায়েন করেছে।