খুলনা ডেস্ক:
ঈদুল আজহা সামনে রেখে খুলনার বাজারে মসলার চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি স্বস্তির খবর হলো—দাম বেশিরভাগই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্থানীয় বড় বাজার, গল্লামারি, খালিশপুর ও ময়লাপোতা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে বেশিরভাগ মসলার দাম আগের মতোই রয়েছে, যদিও খুচরা বাজারে কিছুটা তারতম্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
এলাচ প্রতিকেজি ৪৩০০ থেকে ৪৭০০ টাকা, জিরা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, দারুচিনি ৪৮০ থেকে ৫৫০ টাকা, কিশমিশ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, রসুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পাইকারি পর্যায়ে। খুচরা বাজারে এ দামে কেজিপ্রতি ৫০-৬০ টাকা পর্যন্ত পার্থক্য দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানির পরিমাণ কিছুটা বাড়ায় এবার দাম তুলনামূলক কম। তবে পরিবহন, প্যাকেজিং এবং সংরক্ষণ ব্যয়ের কারণে খুচরা দামে কিছুটা বৃদ্ধি থাকতেই পারে। তাদের দাবি, অতিরিক্ত লাভের চিন্তা না করে সীমিত লাভেই মসলা বিক্রি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ভোক্তারা বলছেন, দাম স্থিতিশীল থাকলেও খুচরা পর্যায়ে দাম আরও কম হলে ভালো হতো। বিশেষ করে ছোট পরিবারগুলো খুচরা বাজারের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় সামান্য পার্থক্যও তাদের ওপর প্রভাব ফেলে। অনেকে মনে করেন, সরকারিভাবে মসলা আমদানিতে শুল্ক বা ব্যয় কমানো হলে বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
বাজার মনিটরিংয়ের বিষয়েও রয়েছে সচেতনতা। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা জেলার সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব জানিয়েছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং চলছে এবং কেউ বাড়তি দাম নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্রেতা ও বিক্রেতা—দু’পক্ষের মতামত থেকেই বোঝা যায়, খুলনার বাজারে মসলার চাহিদা থাকলেও সরবরাহ ও প্রশাসনিক নজরদারির কারণে এবারের ঈদে মূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকছে। তবে খুচরা দামে সামান্য তারতম্য অনেকের নজরে এসেছে, যা আরও নিয়ন্ত্রণে আনলে ভোক্তাদের স্বস্তি বাড়বে।