খুলনা ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ওভাল অফিসে এক অনুষ্ঠানে সরকারি দক্ষতা বিভাগের সদ্য সাবেক প্রধান ইলন মাস্ককে একটি বড় সোনার চাবি উপহার দিয়েছেন। একটি চকচকে কাঠের বাক্সে রাখা এই উপহার তুলে দিয়ে ট্রাম্প বলেন, এমন কিছু তিনি কেবল বিশেষ মানুষদেরই দেন। দেশের হয়ে মাস্কের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই উপহার দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এই বিদায় অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, সরকারি দক্ষতা বিভাগের কাজ শেষ হয়ে যাচ্ছে না বরং এটি নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা। ইলন মাস্ক গত চার মাসে এই বিভাগের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় ব্যাপক খরচ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। তাঁর সময়ে কয়েক হাজার চাকরি কমেছে, কিছু সংস্থা বন্ধ হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সহায়তায় কাঁটছাঁট হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, এইসব উদ্যোগে প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার সাশ্রয় হয়েছে, যদিও বিভিন্ন বিশ্লেষণ বলছে এর কেবল এক-চতুর্থাংশের প্রকৃত প্রমাণ মেলে।
মাস্ক তাঁর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও প্রেসিডেন্টের পরামর্শদাতা হিসেবে পাশে থাকবেন বলে জানান। প্রেসিডেন্টও এতে সম্মতি জানান, বলেন, মাস্ক একেবারেই চলে যাচ্ছেন না। তাঁকে ভবিষ্যতেও প্রশাসনের পাশে দেখা যাবে।
বিদায় অনুষ্ঠানে মাস্ক পরেছিলেন কালো রঙের একটি টি-শার্ট, যেখানে সাদা অক্ষরে লেখা ছিল “ডিওজিই ফাদার”। তাঁর মাথায় ছিল কালো ক্যাপ। এক পর্যায়ে বলেন, তাঁর ঘোষিত এক ট্রিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের পরিকল্পনার পুরো সুফল পেতে আরও সময় লাগবে। প্রেসিডেন্টকে বন্ধু ও উপদেষ্টা হিসেবে সহায়তা করে যেতে চান বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে উপস্থিত অনেকের নজর যায় মাস্কের ডান চোখের নিচে থাকা কালো দাগের দিকে। নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন সেই দাগকে ঘিরে গুঞ্জন আরও বাড়িয়ে তোলে। সেখানে দাবি করা হয়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় কেটামিন নামের এক ধরনের মাদকের অতিরিক্ত ব্যবহার মাস্কের শরীরকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিলেও মাস্ক বলেন, তাঁর ছোট ছেলে ‘এক্স’-এর সঙ্গে খেলার সময় এই আঘাত পান। ছেলেকে মজা করে বলেন, মুখে ঘুষি মারতে—আর সে সত্যিই মেরে বসে। কিছুটা থেমে তিনি বলেন, পাঁচ বছর বয়সী একটি বাচ্চার ঘুষিও যে এত শক্তিশালী হতে পারে, তা বুঝতে পারেননি।