অনলাইন ডেস্ক:
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির শেষ দুই টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন ১৯ বছর বয়সী ক্রিকেটার স্যাম কনস্টাস। ডানহাতি এই ব্যাটারকে নিয়ে ক্রিকেটপাড়ায় দারুণ হইচই।
স্যামকে নিয়ে আগ্রহের যথেষ্ট যুক্তি আছে। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে একাদশে জায়গা পেলেই অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের রেকর্ড ভেঙে ফেলবেন তিনি। আগের বাক্যের অনুকূল ঘটনা ঘটলে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হবে তার।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ টেস্টে ভারতের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। ওইদিন স্যামের বয়স হবে ১৯ বছর ৮৪ দিন। এর আগে ১৯ বছর ১৯৩ দিনে অসি টেস্ট দলে অভিষেক হয়েছিল কামিন্সের। ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচ খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান অধিনায়ক। স্যামের অভিষেক হওয়ার আগ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া দলে টেস্ট অভিষেক পাওয়া সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার থাকবেন কামিন্সই।
ওপেনার নাথান ম্যাকসুইনির খারাপ খেলাই স্কোয়াডে জায়গা করে দেয় স্যামকে। ভারতের বিপক্ষে পার্থে প্রথম টেস্টে অভিষেক হওয়া ম্যাকসুইনির ৬ ইনিংসে রান যথাক্রমে ১০, ০, ৩৯, ১০*, ৯ ও ৪।
কিন্তু কে এই স্যাম, যাকে ২৫ বছর বয়সী ম্যাকুসইনির পরিবর্তে দলে নিলো অস্ট্রেলিয়া?
অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতা শেফিল্ড শিল্ডে নিউ সাউথ ওয়েলস ও সিডনি থান্ডার্সের হয়ে খেলেছেন স্যাম। অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও খেলার অভিজ্ঞতা আছে ডানহাতি ব্যাটারের। মূলত, নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে দুটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটকর্তাদের নজরে আসেন স্যাম।
এছাড়া বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি শুরু হওয়ার আগে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভারতীয় এ-দলের বিপক্ষে ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এরপর ভারতের বিপক্ষেই অস্ট্রেলিয়ার প্রাইম মিনিস্টার একাদশে গোলাপী বলের টেস্টে খেলেন ১০৭ রানের অনবদ্য ইনিংস।
ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও স্যামের পরিসংখ্যান তাক লাগানো। ১১ ম্যাচে ৪২.২৩ গড়ে করেছেন ৭১৮ রান। দুই সেঞ্চুরির সঙ্গে তিনটি হাফসেঞ্চুরির মালিকও তিনি।
স্যামকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন স্যাম। তার ব্যাটিংয়ে নতুনত্ব আছে। আমরা তার খেলার উন্নতি দেখার জন্য মুখিয়ে আছি।’