অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর বংশাল থানাধীন আগামাসি লেনের একটি বাসায় মো. হাসান বেপারী (১৩) নামে এক কিশোর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে বংশালের একটি গ্যারেজে মেকানিক হিসেবে কাজ করতো।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল মিয়া বলেন, আমরা খবর পেয়ে রাতে বংশাল আগামাসি লেন এর কাছে নাজিম উদ্দিন রোডের ৭৭/৩ নাম্বার বাসার একটি রুম থেকে লোহার অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরো জানান, নিহত কিশোর মোটরসাইকেলের গ্যারেজে কাজ করতো। কী কারনে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
নিহতের মামা রিপন জানান, গ্যারেজ থেকে আমার ভাগিনাকে পাঁচ হাজার টাকা দিতো গ্যারেজ মালিক। ওই টাকা জোরপূর্বক নিহতের চাচা নিয়ে নেয়। একারণে হাসান অভিমানে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে নিহতের চাচা জুয়েল তার গ্রামের বাড়িতে ফোন দিয়ে জানান যে হাসান অ্যাক্সিডেন্টে মারা গেছে। পরে তার বাসা থেকেই হাসানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, নিহতের চাচা জুয়েল মাদকাসক্ত ছিলেন। আমাদের ধারণা মাদকের টাকার জন্যই আমার ভাগিনাকে হত্যা করেছে।
নিহত হাসান বেপারীর গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে। সে জেলা সদরের পূর্ব আদিত্যপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী ফজল বেপারীর সন্তান। হাসান বংশালের আগামাসি লেনের ৭৭/৩ নম্বর বাসার চারতলায় চাচা জুয়েলের সাথে থাকতো। দুই বোন ও এক ভাই এর মধ্যে সে ছিল সবার বড়।