রবিবার, নভেম্বর ২, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * নভেম্বরে গণভোটের প্রস্তাব জামায়াতের   * ভাঙ্গায় মাদ্রাসা কর্মচারীকে জড়িয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেল   * আবদুল আউয়াল মিন্টু পেলেন ‘টপ অ্যাগ্রি-ফুড পাইওনিয়ার–২০২৫’ সম্মাননা   * ট্রাম্পের উপস্থিতিতে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার ‘শান্তিচুক্তি’ সই   * বাংলাদেশ রেজোনেয়ারের সাইবার বুলিং বিষয়ে সচেতনতামূলক সেমিনার   * নড়িয়ায় বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রিপন পেদার আগমন উপলক্ষে গণসংযোগ   * ১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায়ের দিন ঘোষণা   * ওষুধ উৎপাদনের ক্ষতি ছাড়াতে পারে ৪ হাজার কোটি টাকা   * ফরিদপুর ৪ আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান মোল্লার ব্যাপক জনসমর্থন   * সুপার এনামেল ওয়্যার-এ শতশত কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি !  

   বিশেষ সংবাদ
ঢাবিতে সবচেয়ে কম ক্লাস নেন সহকারী অধ্যাপকেরা
  Date : 15-05-2024
Share Button

অনলাইন ডেস্ক

শিক্ষকদের ক্লাসে পর্যাপ্ত সময় না দেওয়া এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্লাস না নেওয়া যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একধরনের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা দৈনন্দিন রুটিন মেনে চলতে হিমশিম খাচ্ছেন। আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন ক্লাসের প্রতি। শিক্ষার্থীদের দাবি, শিডিউল ক্লাস বাতিল করে হলেও শিক্ষকেরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত ক্লাস নেন। আর ক্লাস কম নেওয়ার প্রবণতা সহকারী অধ্যাপকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের একদল গবেষকের গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৮টি বিভাগের ৫২২ জন শিক্ষার্থীর ওপর এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়। গবেষণায় অংশ নেওয়া ৪৯ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী বলেছেন, শিক্ষকেরা দৈনিক অন্তত একটি ক্লাস ক্যানসেল করেন। গবেষণাপত্রটি ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি জার্নাল অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সে’ প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষণায় দেখা যায়, সেমিস্টার/বর্ষে একটি কোর্সের সিলেবাস শেষ করতে যে পরিমাণ ক্লাস নেওয়ার প্রয়োজন, তা নেন না অনেক শিক্ষক। এর মধ্যে সহকারী অধ্যাপকেরা ৩৪.১০ শতাংশ, অধ্যাপক ৩৩.৯১ শতাংশ, প্রভাষক ১৭.৮১ শতাংশ ও সহযোগী অধ্যাপকেরা ১৪.১৮ শতাংশ ক্লাস কম নেন। এছাড়া সহকারী অধ্যাপকেরা ৩৫.৪৪ শতাংশ ক্লাস বাতিল করেন, অধ্যাপকেরা ২৮.৩৫ শতাংশ, প্রভাষকেরা ১৮.৩৯ শতাংশ আর সবচেয়ে কম ক্লাস বাতিল করেন সহযোগী অধ্যাপকেরা—১৭.৮২ শতাংশ। ক্লাসের সময় নিজের মতো করে পুনর্নির্ধারণ করেন বেশি সহকারী অধ্যাপকেরা—৩৫.০৬ শতাংশ। পুনর্নির্ধারিত ক্লাসের মধ্যে ২০.৯ শতাংশ ক্লাস পরীক্ষার আগমুহূর্তে নিয়ে থাকেন শিক্ষকেরা। এতে করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে ব্যাঘাত ঘটে শিক্ষার্থীদের।

গবেষণাটি পরিচালনা করেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘এই সমস্যাগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য প্রকট আকার ধারণ করেছে। গবেষণাটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরতে চেয়েছি।’

এ বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘শিক্ষকেরা তো শুধু ক্লাস করেন না। তাদের অনেক কাজ থাকতে পারে। ফলে শিডিউল ক্লাস ক্যানসেল হতেই পারে। তবে শিক্ষকদের উচিত সময়মতো শিক্ষার্থীদের ক্লাস ক্যানসেল করার বিষয়টি জানানো।’

সার্বিক বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, ‘ক্লাস ক্যানসেল মাঝেমধ্যে হতে পারে, তবে প্রতিনিয়ত হওয়া কখনো কাম্য নয়। শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকতে পারে, তবে তা শিক্ষার্থীদের আগে থেকেই জানিয়ে রাখা শিক্ষকদের নৈতিক দায়িত্ব।’



  
  সর্বশেষ
১৩ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায়ের দিন ঘোষণা
প্রাণ-আরএফএল’র ভিশন এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪, ব্যবহারকারীরা আতঙ্কে
অপরাধের অভয়ারণ্য গুলশান-বনানী-বারিধারা
শেরপুর সদর ভূমি অফিসে দালাল সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য

প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান , সম্পাদক: জাকির হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক এসএম আবুল হাসান। সম্পাদক কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২০১৯ ফকিরাপুল , ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: জামান টাওয়ার (৪র্থ তলা) ৩৭/২ পুরাণা পল্টন, ঢাকা ১০০০
ফোন: ০১৫৫৮০১১২৭৫, ০১৭১১১৪৫৮৯৮, ০১৭২৭২০৮১৩৮। ই-মেইল: bortomandin@gmail.com, ওয়েবসাইট: bortomandin.com