|
ভাংচুর আতঙ্কে খিলগাঁও বাজার ব্যবসায়ীরা- নেপথ্য ধান্ধাবাজ চক্রটি এখনো বেপরোয়া |
|
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক- উচ্ছেদ পুঁজি করে ধান্ধাবাজিতে মরিয়া কতিপয় ধান্ধাবাজের কবলে পড়ে খিলগাঁও বাজারের হাজারেরও বেশী দোকান মালিক পথে বসার ঝুঁকিতে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে এর প্রতিকার ও প্রতিবাদে এলাকায় ছড়াচ্ছে এক ধরনের উত্তাপ। আর এ নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের এ পর্বটি। উচ্ছেদ ও ভাংচুর আতঙ্কে নাকাল খিলগাঁও বাজার ব্যবসায়ীরা। আর এর নেপথ্য কুশিলব ওই বাজারেরই বরাবরের একটি ধান্ধাবাজ চক্র ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে বেপরোয়াভাবে তৎপর রয়েছেন বলে ওই আতঙ্কের তোপে পড়া ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে। সূত্রটি আরো জানায়, যেদিক বৃষ্টি,সেদিক ছাতা ধরা রেলওয়ে দোকান মালিক সমিতির বর্তমান সাধারন সম্পাদক মোকছেদ আলী সরদার চক্র বেশ আগেই নানা তকমায়,নানা কায়দায় খিলগাঁও বাজারে শক্তপোক্ত ঘাটি বানিয়ে বসেছেন। সেখানে বসেই নানা অনিয়ম-অপরাধের মাধ্যমে হয়েছেন বিত্তশালী। আর এর মধ্য দিয়ে বিগত প্রায় বছর তিনেক ধরে রেলওয়ে বাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব লুফেও নিয়েছেন। পেতে বসেছেন-ব্যবসায়ীদের আটকে চাঁদাবাজি আর ধান্ধাবাজির গেঁড়াকল। কাঁচা টাকার মোহে হয়ে উঠেছেন আরো বেপরোয়া। বরাবরের মত সর্বশেষ খোদ দ.সিটির মেয়রকে ভুল বুঝিয়ে ও নাম ভাঙ্গিয়ে বাজার উন্নয়নের নামে ওই ব্যবসায়ীদেরকে সর্বশান্ত করে মোটা টাকা হাতানোর নীল নক্সা বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আর এ সর্বনাশের আশঙ্কায় দিশাহারা দোকান মালিকরা গত দু সপ্তাহ ধরে এর প্রতিকারেও নানা কায়দায় রয়েছেন তৎপর। দোকান মালিকরা আরো জানায়,মোকছেদ সরদার ও তার দুই ভাই আজগর ও নওসাদসহ একটি চক্র এযাবৎ খিলগাঁও বাজারের তিনটি মার্কেটের (সিটি কর্পোরেশন,উত্তরা ও পূবালী) ব্যবসায়ীদের পানি,বিদ্যুৎ বিলের ফাঁদ ও ভৌতিক খরচের নানা খাতসহ বিভিন্ন কায়দায় জিম্মি করে ও সরকারি জায়গায় দোকান দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে যেমন-লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখনো রয়েছেন সক্রিয়। তেমনি-রেলওয়ের উচ্ছেদকৃত বাজারের আশ-পাশের সব জায়গা নিয়েছেন বরাবরের মত অবৈধভাবে দখলে। গড়েছেন ১৫টির অধিক দোকান। আদায় করছেন ভাড়া। সেই সাথে রয়েছে মার্কেটের ব্যবসায়ীদের ওপর নানা ফতোয়ার (টাকা আদায়ের অজুহাত) ধান্ধাবাজি ও সরকারি জায়গা দখল ও তা বিক্রি ও পূর্নবাসনের নামে লোকজনের কাছ থেকে হাতানো লাখ লাখ টাকার গরম। সব মিলিয়ে বছর দশেক আগে ধারদেনা করে চলা মোকছেদ সরদার কোটি টাকার মালিক বনে বাজারে রীতিমত এক ধরনের রামরাজত্ব কায়েম করে রেখেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি প্রায় ৫৭ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী মার্কেট উচ্ছেদ করে সেখানে বহুতল ভবন নির্মানের নামে নগ্ন ধান্ধাবাজিতে ফের মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এ ব্যাপারে খিলগাঁও সিটি কর্পোরেশন মার্কেট ব্যবসায়ী মোঃ কাঞ্চন ও খোকা মিয়া জানান,বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোকছেদ সরদার এতদিন অবৈধভাবে ও বাজারের ব্যবসায়ীদের চুষে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন অখেরি খাওয়ায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আর এজন্য তার (মোকছেদ সরদার চক্র) দোকানাদারদের রাস্তায় বসানোর শেষ চেস্টায় বাজার উচ্ছেদের ইজারাটিও হস্তগত করে ধান্ধাবাজির পায়তারা করছেন। অর্থাৎ খোদ মেয়রের বরাত দিয়ে বাজার উন্নয়নের জন্য উচ্ছেদের সব ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন দু সপ্তাহ আগেই। শুধু দোকান মালিকদের আইনি তৎপরতার কারণে এখনো বাজার অক্ষুন্ন রয়েছে ঠিকই,তবে চক্রটি ওই উচ্ছেদ ধান্ধার সর্বনাশা তৎপরতায় আরো বেশামাল ভাবে সক্রিয় রয়েছেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের পক্ষে বাবুল হোসেন ও মোক্তার হোসেন ঢালি (সেক্রেটারি ও সভাপতি,১১ নস্বর ওয়ার্ড জাতীয় পার্টি) বলেন, দীর্ঘ ২০-২৫ বছর যাবৎ মোকছেদ সরদার চক্রটি বাজারের ব্যবসায়ীদের কাধে চেপে বসে নানা অনিয়েম অপরাধের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এরপর রেলওয়ে বাজার কমিটির গত নির্বাচনে সাধারন সম্পাদক হয়ে ওই সব অনিয়মের ধান্ধাবাজিতে হয়ে উঠেছেন আরো বেপরোয়া। সুবিধাবাদী চক্রটি সরকার দলীয় তকমায় মোটা দাগের ধান্ধার চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে বরাবরের মত আবার সম্প্রতি ঢাকা দ.সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ওই বাজারে বহুতল ভবন নির্মানের নামে ওই বিপুল সংখ্যক দোকান মালিককে পথে নামানোর পায়তারা করছেন। অথচ বাজারের তিনটি মার্কেটের মূল মালিকানা নিয়ে রয়েছে-নানা মত ও মত বিরোধ। যা নিয়ে চলছে আইনি প্রকৃয়াও। উত্তরা,পূবালী ও সিটি কর্পোরেশন বাজার নামের তিনটি মার্কেটের (বাজার) -দুটিই ব্যাক্তি মালিকানা দাবিদার ও অন্য একটি রেলওয়ের। এ সব কিছুর তোয়াক্কা না করে উক্ত মোকছেদ চক্র ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে নেমেছেন। আরো জানান,আসলে দ.সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের কিছু লোকের সাথে আতাত করে উন্নয়নের জন্য উচ্ছেদের পায়তারা করছেনে। দোকান মালিকদের প্রায় পাঁচ-সাত কোটি টাকার স্থাপনা (দোকান ঘর) মাত্র ৬০ লাখ টাকায় টেন্ডার পেয়ে সব গিলতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি রীতিমত একধিক বার উচ্ছেদের চুড়ান্ত নোটিশও দেয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের জোর তৎপরতার আইনি প্রকৃয়ার তাতে আপাতত বাগড়ায় ওই উচ্ছেদ তৎপরতা থমকে দাড়িয়েছে। তবে এর মধ্যেও যেমন-থেমে নেই মোকছেদ চক্রের উচ্ছেদ প্রকৃয়া সম্পন্নের সর্বাত্বক চেস্টা,তেমনি থেমে নেই-ওই উচ্ছেদ আতঙ্কে পড়া ভুক্তভোগীদের টিকে থাকার আইনি পদক্ষেসহ নানা তৎপরতা । এ বিষয়ে রেলওয়ে বাজার কমিটির ওই সাধারন সম্পাদক মোকছেদ আলী সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,উচ্ছেদের ব্যাপারে তার কিছু জানা নাই। এসব বিষয় সিটি কর্পোরেশনের। আর বাজারটি উচ্ছেদের বিষয়ে দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন সম্পত্তি বিভাগের একটি সূত্র দাবি করেছেন বাজারটি উন্নয়ন ও উচ্ছেদের চলমান আড়ম্বরতার অভিযোগ-আপত্তি পুরাটা সত্য নয়। তবে ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি দ.সিটি কর্পোরেশনের তৎকালিন সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের যুগান্তর পত্রিকাকে দেয়া একটি বক্তব্য থেকে ধারনা করা যায়,ওই মার্কেট উন্নয়ন পরিকল্পনা বেশ আগে থেকে জটলায় জড়িয়ে আছে। অর্থাৎ ত্রিপক্ষিয় মতবিরোধ ও তদসংক্রান্ত মামলা আদালতে বিচারধীন থাকায় সেই সময়েই ওই মার্কেট উন্নয়ন সম্পর্কিত ফাইল মেয়রের কাছে আটকা পড়ে। আর সাম্প্রতিক ব্যাপারটিও ঠিক একই হতে পারে বলেও বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানিয়েছে।
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক: এনায়েত ফেরদৌস
, অনলাইন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত ) কামরুজ্জামান মিল্টন
|
নির্বাহী সম্পাদক: এস এম আবুল হাসান
সম্পাদক জাকির হোসেন কর্তৃক ২ আরকে
মিশন রোড ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত ও বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ২/২, ইডেন কমপ্লেক্স (৪র্থ তলা) সার্কুলার রোড, ঢাকা ১০০০।
ফোন: ০১৭২৭২০৮১৩৮,
০১৪০২০৩৮১৮৭
,
০১৫৫৮০১১২৭৫, ই-মেইল:bortomandin@gmail.com
|
|
|
|