|
বিআরটিএ’র সর্বাঙ্গের ব্যথায়,মলম দিবে কোথায় ? ইকুরিয়ায় পরীক্ষার বোর্ডের নামে কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য |
|
|
|
|
|
.এসব বিষয়ে যথাসম্ভব বিস্তারিত তুলে ধরা সমেত সংশ্লিস্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ও অবগত করা হয়েছে .যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পড়েছে একধিক অভিযোগ .থামেনি ওই সব ঘুষবাজি। বরং আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে
.তার দৃস্টান্ত গত সপ্তাহে ছুটির দিনগুলোতে চলেছে বরাবরের ওই প্রসহনমূলক পরীক্ষার বোর্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক- হ্যা,এ যেন সেই কথাই-যা বিআরটিএ’র জনৈক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা আক্ষেপের স্বরে বলেছিলেন।“সর্বাঙ্গের ব্যথায়,মলম দিবেন কোথায়”? ইকুরিয়ার দিকে দৃষ্টি দিতেই গোচরে আসে-ঘাটে ঘাটে অনিয়ম-দুর্নীতির অবাধ চত্ত্বর বিআরটিএ’র নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র ও সদর’র দুর্নীতি তদন্তের তোপে থাকা প্রায় ওই এক যুগের পুরানো হোঁতা সহকারী পরিচালক প্রশাসন (এডি এডমিন) রিয়াজুর ওরফে রেজাউর রহমান শাহিন চক্রের দেখভালে গড়া ওই সানাউল্ল্যা,মুসা ও জমির সিন্ডিকেটটি। এডি এডমিন পদটিতে একজন বিসিএস ক্যাডার থাকার কথা থাকলেও অলৌকিক ক্ষমতাবলে তা দখলে রেখেছেন। করছেন সার্কেলের হোঁতা গিরি। আর এভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েও নিরাপদে বহাল রয়েছেন। তারই দেখভালে সার্কেলের দায়িত্বরতরা সম্পূর্ন নির্বিঘ্নে সিন্ডিকেটাকারে গ্রাহক ভোগান্তিকে পুঁজি করে সার্কেল সংশ্লিস্ট বড় বাবু (পর্যায়ক্রমিক কর্মকর্তা-কর্মচারি) থেকে কার খালু (গ্যাটিজ বলে পরিচিত বহিরাগত সহকারি) পর্যন্ত স্বস্ব দায়িত্বের সুযোগে পেতে বসে আছেন অবৈধ টাকা হাতানোর নানা কেসেমের গেড়াকল। আর তা যেন বাজারের আদলে পুরোটাই খোলামেলা। তবে ইকরিয়ার অবাধ ঘুষবাজির সব গেড়াকলের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্সের (নতুন-পুরনো) পরীক্ষার বোর্ডের নামে প্রহসনের গেড়াকল অন্যতম একটি। যেখানে রয়েছে-ঢাকা জেলা ও মেট্রো-২’র মোটরযান পরিদর্শক জমির উদ্দিনকে “সদস্য সচিব” করে গঠিত নিয়ম মাফিক রেগুলেশন বোর্ড সমেত নজরকাড়া নানা আয়োজন। আসলে সবই সবার চোখে ধোকা দেয়ার কৌশল ছাড়া আর কিছু নয়। বেশ লম্বা সময় ধরে এ নিয়ে খোজ-খবর চলাকালে মেলেনি একজন ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রার্থী মেলেনি,যিনি ঘুষ ছাড়া পাশ করেছেন। অধিকন্ত খোজ মিলেছে-ঘুষ না দেয়ায় ভোগান্তিময় ফেলের গেড়াকলে অটকে থাকা অসংখ্য পরিক্ষার্থীর। অর্থাৎ-ঘুষের টাকা না দিলে, সেখানে পাশের কোন সুযোগ নাই। আছে দিনের পর দিন ওই মনির,মাসুদের পিছে ঘুরে জুতা ক্ষয়সহ ভোগান্তির সময় ক্ষেপনের সুযোগ। আর সপ্তাহে চার-পাঁচ দিন চলা পরীক্ষার বোর্ডটা নিতান্তই লোক দেখানো এবং ওই সব প্রার্থীদের গেড়াকলে আটকের কৌশল মাত্র। যা নতুনও নয়, চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে আগে টাকার পরিমান কম ছিল। তবে বছর দেড়েক আগে ডিডি সানা উল্যাহ যোগদান করার পর নানা অজুহাত ঘুষের টাকাও বাড়ানো হয়েছে কয়েকগুন,পরীক্ষার্থী প্রতি পাশের ঘুষ ১৫’শ থেকে দুই হাজার টাকায় দাড়িয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে শুধু লার্নার পাশ করতে আড়াই-তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয় ওই গেড়াকলের পরিচালকদের। আর এ টাকা আদায়ের গুরুদায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে মনির হোসেন নামের ২০-২২বছরের যুবক। তারই ভাগিনা কম্পিউটার অপারেটর মাসুদ (স্টাফ) ওই ঘুষের টাকার নিশ্চয়তা না পেয়ে ডাটা এন্ট্রিসহ অন্যান্য কাজ আটকে রাখেন। মনির হোসেন বহিরাগত হলেও ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষার বোর্ডের ‘ক্যাশিয়ার’ বলে উপর থেকে নীচ (্ডিডি থেকে গ্যাটিজ) পর্যন্ত সবার কাছে সমাদৃত। তিনিই ঢাকা জেলা ও মেট্রা-২’র ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় প্রতি বোর্ডে প্রায় ৩০০-৪০০জন প্রার্থীর পরিক্ষা নেয়া হয়। পাশ করানো হয় ঘুষের বদলে। গড়ে সপ্তাহে চার-পাঁচটি বোর্ডে প্রায় ১৫০০-১৬০০ জন ও মাসে ১৬-২০টি বোর্ডের প্রায় ৪৫০০জন-৫০০০জনের অধিক প্রার্থীর পরীক্ষা নেয়া হয়। এরপর ফেলের গেড়াকলে আটকে সুযোগমত নাটাই সুতার টান টেনে আদায় করা হয় ওই ঘুষের টাকা। যা বোর্ড প্রতি গড়ে চার-পাঁচ লাখ হিসাবে সপ্তাহে ১৬-২০ লাখ ও মাসে গিয়ে দাড়ায় ৮০ লাখ- এক কোটি টাকায়। আর বছরের হিসাব বাদই থাক। এসব টাকা দৈনিক,সাপ্তাহিক ও মাসিক হিসেবে উপর থেকে নীচ পর্যন্ত আনুপাতিক হারে হয় ভাগাভাগি। আর পরীক্ষার্থী প্রতি ঘুষ আদায়ের এসব নিরব,অধাব কৌশলটি হস্তগত করার জন্য ইকুরিয়ার প্রায় ৩০জন পরীক্ষার্থীর সাথে কৌশলে যোগাযোগ রেখে যথা সম্ভব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রাহ করা হয়। এতে ওই ঘুষ ছাড়া পাশ নাই, এ বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে অন্তত ১০-১৫জনের কাছ থেকে ওই ঘুষ সংক্রান্ত বিষয়ে সাক্ষী দেয়ার সম্মতিসহ প্রয়োজনীয় কাগজ সংরক্ষন করা হয়। আর তাদের মধ্যে রয়েছেন-জাহাঙ্গীর আলম,রোল-৩০৮,সোলেমান সেখ,রোল-৩১৯,রফিকুল আলম,রোল-৭০,শাহিন মিয়া,রোল-২০২,মোঃ তৌফিকুর রহমান,রোল-২৫২। আরো রয়েছে-মোখলেছুর রহমান, হারুনুর রশিদ,আলমগীর হোসেনসহ কয়েকজন পাশ করলেও ফেল আবার ফেলের আটকে এধরনের ঘুষবাজি সম্পর্কে তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান এবং এসবের প্রতিকার দাবি করেন। ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রহসনমূলক পরীক্ষার বোর্ডের নেপথ্যে ঘুষবাজি। যার সর্বসের্বা উপ-পরিচালক (ডিডি) সানাউল্লা ও সহকারী পরিচালক (এডি) মুসা। তারা রক্ষাকবজের ভুমিকায় থেকে বসান রাজভাগ। মাসান্তে বিভিন্ন খচরবাবদ মোট টাকার অংশ বিশেষ নিয়োমিত পৌছে সদরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) শাহিনের কাছে। এদের প্রত্যেকেই বেশ ওই ঘুষের টাকায় আলিশান জীবন-যাপনসহ তাদের দিকের বাকা দৃষ্টি ফেরানোর আটঘাট বেধে রেখেছেন। যাতে এসব সমালোচনাকে থোড়াই কেয়ার করে বহাল তবিয়্যতে থাকছেন। এর আগে এসব বিষয়ে যথাসম্ভব বিস্তারিত তুলে ধরা সমেত সংশ্লিস্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ও অবগত করা হয়েছে। এছাড়াও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে পড়েছে একধিক অভিযোগ। কিন্তু এতে শুধু এসব অনিয়মের সাথে সংশ্লিস্টরা নড়েচড়ে বসেছে। থামেনি ওই সব ঘুষবাজি। বরং আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার দৃস্টান্ত স্বরুপ গত সপ্তাহে ছুটির দিনগুলোতে চলেছে বরাবরের ওই প্রসহনমূলক পরীক্ষার বোর্ড ও ফেলের গেড়াকলের রমরমা ঘুষবাণিজ্য। - একাধিক প্রতিবেদনের পর
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক: এনায়েত ফেরদৌস
, অনলাইন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত ) কামরুজ্জামান মিল্টন
|
নির্বাহী সম্পাদক: এস এম আবুল হাসান
সম্পাদক জাকির হোসেন কর্তৃক ২ আরকে
মিশন রোড ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত ও বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ২/২, ইডেন কমপ্লেক্স (৪র্থ তলা) সার্কুলার রোড, ঢাকা ১০০০।
ফোন: ০১৭২৭২০৮১৩৮,
০১৪০২০৩৮১৮৭
,
০১৫৫৮০১১২৭৫, ই-মেইল:bortomandin@gmail.com
|
|
|
|