খুলনা ডেস্ক:
সরকার ৪৪তম বিসিএসে পুনরায় একই ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ৪০০ জন প্রার্থীকে (রিপিট ক্যাডার) বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, এই রিপিট ক্যাডার ইস্যুতে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কিছু সুপারিশ পাঠিয়েছে, যার আলোকে সরকার এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এর ফলে যেসব প্রার্থী ইতিমধ্যে আগের বিসিএসে একটি নির্দিষ্ট ক্যাডারে সুপারিশ পেয়েছিলেন এবং আবার একই ক্যাডারে নির্বাচিত হয়েছেন, তারা নতুন করে নিয়োগ পাবেন না।
এ বিষয়ে পিএসসিকে মতামত দিতে বলা হয়েছে। মতামত পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রিপিট ক্যাডার প্রক্রিয়া স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে বিধি সংশোধনের কাজও শুরু হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি ১৭–তে একটি নতুন শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই শর্ত অনুযায়ী, যদি কোনো প্রার্থী একই ক্যাডারে পুনরায় মনোনীত হন এবং পূর্বে সেই পদে যোগদান করে থাকেন বা আগ্রহ না দেখান, তবে পিএসসি সেই প্রার্থীকে সরকারের কাছে সুপারিশ করা থেকে বিরত থাকতে পারবে। এর পাশাপাশি ওই শূন্য পদে অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রম অনুযায়ী নতুন প্রার্থী নির্বাচন করে সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ করা যাবে। তবে এটি পূর্বঘোষিত ফলাফলের কারো ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয় ৩০ জুন, যেখানে ১,৬৯০ জন প্রার্থী বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সাময়িকভাবে মনোনীত হন। বিশ্লেষণে দেখা যায়, এর মধ্যে প্রায় ৪০০ জন আগেও একই ক্যাডারে নির্বাচিত হয়েছেন এবং এবার পুনরায় সেই একই ক্যাডারে সুপারিশ পেয়েছেন। পিএসসি বলেছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে নতুন, মেধাবী এবং অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে, যা জনসম্পদের যথাযথ ব্যবহার এবং প্রশাসনিক ভারসাম্যের জন্য ক্ষতিকর।
এই পরিস্থিতির সমাধানে সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনায় রয়েছে এবং নতুন নীতিমালার আলোকে আগামী বিসিএসগুলোতে রিপিট ক্যাডার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।