* কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন।
* অনেক পরিবার হয়েছে সর্বশান্ত।
* সাথে রয়েছে সহযোগী সিন্ডিকেট।
জাকির এইচ. তালুকদার: নাম তার আলমগীর হোসেন। পেশায় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। বিচারপতির পিয়ন হিসেবে চাকরি করার সুবাধে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের গোপন জিনিস থাকে তার হাতে। আর এগুলো দিয়েই কারসাজি করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ফাঁসিয়েছেন তিনি। ব্লাকমেইলিংয়ের জালে জড়িয়ে টাকা কামানোর নতুন কারসাজি করে চলেছেন আলমগীর হোসেন। তার সাথে রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন সহযোগী। প্রত্যেকেই এখন কোটিপতি।
এমন এক ব্ল্যাক মেইলিং মামলায় ফাঁসিয়েছেন মোঃ সুলাইমান হিরু নামক ব্যবসায়ীকে। ভুক্তভোগী এই ব্যাক্তির কাছ থেকে হাতিয়েছেন ৫০ লাখ টাকারও অধিক। ওই ব্যবসায়ী এখন পথের ফকির।
জানা যায়, ব্যবসায়ী হিরুর নামে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। মামলা নাম্বার ৫৬১/২০১৬, সাভার। এই মামলার আসামি হিসেবে হিরু যাতে গ্রেফতার না হন সেই তদবির করতে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন আলমগীর গং চক্র। কিন্তু পরবর্তীতে আদালতে তল্লাশি দিলে দেখা যায়, এই মামলার আসামি নন হিরু। এরই মধ্যেই সর্বশান্ত হয়ে গেছেন হীরু ও তার পরিবার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই গ্রেফতারি পরোয়ানাটি জাল/নকল করা হয়েছে এবং তাদের সহযোগিতা করেছেন বিচারপতির পিয়ন আলমগীর নিজে। অভিযোগ রয়েছে, এমন আরো বহু মানুষকে সর্বশান্ত করেছেন তিনি।
দামি গাড়িতে চড়ে বেড়ানো, বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ানো আলমগীর হোসেনের নেশা। রয়েছে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগও। ইতিমধ্যে কেরানীগঞ্জের মীরের বাজারে কিনেছেন কোটি টাকার প্লট। তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলা পেয়ারপুর ইউনিয়নে কোটি টাকার জমি ও বিলাসবহুল বাসভবন করছেন।
বিভিন্নভাবে হয়রানি করা ভুক্তভোগীরা ইতিমধ্যে আলমগীর হোসেন গংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে জানতে আলমগীর হোসেনকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেন নি।
আলমগীর হোসেনকে নিয়ে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয় এর অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অধিকতর তথ্য সংবলিত সংবাদ বিস্তারিত আসছে পরবর্তী পর্বে।