বিশেষ প্রতিনিধি:
সদ্য লাইনে ক্লোজ হওয়া খুলনার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সাউথ) তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতি নারী কেলেঙ্কারি এবং সোনা চোরা চালানের মাধ্যমে চোরাচালানিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে দায়েরকৃত অন্তত তিনটি ভিন্ন ভিন্ন দরখাস্তে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। যদিও ইতোমধ্যে একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে তাকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে রাখা হয়েছে। তবুও তার দৌরাত্ম থেমে নেই। নিজ স্টেশনে বসে পুরাতন লাইন ঝালাই করে এখনো কামিয়ে নিচ্ছেন বিপুল অংকের টাকা। তার বিভিন্ন সোর্স এবং সাপ্লাইয়াররা তার সাথে রীতিমতো জোক সাজোসে তার পকেট ভর্তি করে দিচ্ছেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, তাজুল ইসলাম এক ড্যাম কেয়ার পুলিশ অফিসার এর নাম।তিনি ছিলেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবের একান্ত অনুগত ও ঘনিষ্ঠজন।কেএমপি কমিশনার মোজাম্মেল হকের দক্ষিণ হস্ত।বিশেষ আদায়কারী। তিনি সাবেক এমপি শেখ জুয়েল এর আস্হাভাজন এবং তার কেয়ার আপে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থেকে প্রতি মাসে ২৫ লাখ টাকা আাদায়,নারী ভোগ ও সাপ্লাই, মাদক বেচাকেনা সিন্ডিকেট থেকে মাসে ৩০ লাখ টাকা আদায় করতেন।সোনাডাঙা থানার সাবেক হোসেন মমতাজুল হক, খুলনা সদর থানার এসি গোপীনাথ, দারোগা সুকান্ত সহ তার একান্ত অনুগত কতিপায় কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সে প্রতি মাসে অর্ধ কোটি টাকা আয় করত। এছাড়া সাতক্ষীরায় সে সহকারী পুলিশ সুপার থাকার সুবাদে সেখানকার সোনা চোরাকারবারিদের সাথে তার পুরাতন সম্পর্ক থাকার দরুন তাদের মাধ্যমে খুলনা শহরকে রুট হিসেবে ব্যবহার করায় তাদের কাছ থেকে প্রতি সপ্তাহে ২০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা আদায় করতেন। স্বর্ন চোরাকারবারিরা মাসোহারার টাকা দিতে দেরী হলেই তাদের কে বিভিন্ন ভাবে নাজেহাল করতো।এমনকি তাদের স্বর্ন সে নানাভাবে নাটক করে আটকও করে।
তার নারী কেলেংকারীর বেশ কিছু তথ্য-উপাত্ত উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছেছে। তার মধ্যে তিনটি ভিডিও ক্লিপ এবং বেশ কিছু ছবি রয়েছে। অপরদিকে সম্প্রতি নগরীর আহসান আহমেদ রোডে এক নারীকে দিয়ে উক্ত বাড়ির এতিম সহজ সরল মালিক কে ব্লাক মেইল এর মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় ঐ ফ্লাট সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ ফ্লাটের অন্যান্য মালিকগণ তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সূত্রগুলো জানায় বিতর্কিত ওই মহিলার এবং তার মাধ্যমে সে বহু অপকর্ম করে আসছিল। এ ছাড়া সোনাডাঙ্গা সহ বেশ কয়েকটি স্থানে তার বহু নারী কেলেঙ্কারের ঘটনা এখন গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। খুলনার ডিসি সাউথ তাজুল এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন খুলনাবাসী।
এ বিষয়ে মতামত জানতে খুলনার ডিসি সাউথ তাজুল এর সাথে যোগাযোগের চেস্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।