দিলীপ গোয়ালা, ময়মনসিংহ:
টাকা পেলে সব পারেন আনোয়ার কাদির মিন্টু ও মোহাম্মাদ আলী। দুজন দুর্নীতির মানিক জোড় হিসেবে পরিচিত। আবার সব কিছুর জন্য টাকা নিয়েও নয়ছয় করার মাস্টারও তারা। এভাবেই দুজন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠেছেন অল্প সময়ে। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের সনদ লেখক আনোয়ার কাদির মিন্টু ও সহযোগী মোহাম্মাদ আলীকে নিয়ে এমন বুলি এখন লোকমূখে ঘুরে চলেছে। শিক্ষাবোর্ডের ওপেন সিক্রেট তারা।
একটি সূত্র থেকে জানাগেছে, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান থেকে সব লেভেলেই এদের রয়েছে রহস্যজনক সখ্যতা। সবাইকে ম্যানেজ করে ও ভাগ দিয়েইে তারা বিভিন্ন কর্ম করেন বলে জানাগেছে। এই মানিক জোড়কে পাকড়াও করে আইনের আওতায় আনলে দুর্নীতির সব তথ্য বেরুবে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা। আর এজন্যে প্রয়োজন দুদকে তদন্ত এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় রিমান্ড।
সাধারণ ভুক্তভোগী কেউ কেউ এদের ফাঁদে পড়ে অনেক সময় সর্বসান্তও হয়েছে। চাকরি দেওয়ার নামে তারা টাকা নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দিনের পর দিন ঘুরিয়েছেন। এধরনের প্রতারণায় শেষমেষ শিক্ষা বোর্ডে তার বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করতে হয়েছে ভুক্তভোগীকে। শিক্ষা বোর্ডের উর্ধ্বতনরাও রহস্যজনক কারণে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি এদের বিরুদ্ধে। একটি সূত্র থেকে জানাগেছে, রকম ফেরে সার্টিফিকেট জালিয়তি, একজনের সার্টিফিকেট অন্যজনের নামে দেওয়া, নকল সার্টিফিকেট, সরকারি চাকরি দেওয়া, পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়া, বিশেষ তদবির সহ কোন কাজের পারদর্শীতার নকশা নেই তাদের আমলনামা জুড়ে ? এজন্য এই দুজন অপকর্মের সিন্ডিকেট করে ফেলেছেন বলে নির্ভিযোগ্য সূত্র জানিয়েছে ।
বিষয়টি দুদকের সংশ্লিষ্ঠ বিভাগর সূত্রে জানাগেছে, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা বোর্ডের আইন বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারী মো: মোহিউল আলমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমার তেমন কিছু জানা নেই। চেয়ারম্যান সাহেব হয়তো জানাতে পারবেন। ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে চেয়ারম্যন জনাব প্রফেসর মো: আবু তাহের’র মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জানাগেছে, এদের আমলনামায় নকশা আকার জন্য রয়েছে বিশ্বস্ত মধ্যস্ততাকারী শ্রেণী। অন্যদিকে লিয়াজো করা, ভয় দেখানো আর জুৎসই ফন্দিফিকিরের জন্যও রয়েছে তাদের নির্ভযোগ্য লোক। এ বিষয়ে মতামত নিতে আনোয়ার কাদির মিন্টু ও মোহাম্মাদ আলী’র অফিসে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি এবং একাধিকবার মোবাইল ফোন নম্বরে কল করলেও ফোন রিসিভ করেননি।