বুধবার, অক্টোবর ২২, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ওষুধ উৎপাদনের ক্ষতি ছাড়াতে পারে ৪ হাজার কোটি টাকা   * ফরিদপুর ৪ আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান মোল্লার ব্যাপক জনসমর্থন   * সুপার এনামেল ওয়্যার-এ শতশত কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি !   * বাহুবলে লাল তীর সীড কোম্পানির ধানবীজ ‘সুপার-৬০’ নিয়ে কৃষক সভা অনুষ্ঠিত   * ১ নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকরা: পরিবেশ উপদেষ্টা   * ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন : ইসি আনোয়ারুল   * রূপগঞ্জের বিলে অপরূপ পদ্ম-শাপলার সমারোহ   * ভাঙ্গায় সালিশ বৈঠক চলাকালে সংঘর্ষে নিহত-১ আহত-২০   * ভাঙ্গায় মোটরসাইকেল-নছিমনের সংঘর্ষে নিহত-১   * প্রাণ-আরএফএল’র ভিশন এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪, ব্যবহারকারীরা আতঙ্কে  

   স্বাস্থ্য চিকিৎসা
ছড়িয়ে পড়ছে রাসেলস ভাইপার, অ্যান্টিভেনম নিয়ে শঙ্কা
  Date : 11-06-2024
Share Button

অনলাইন ডেস্ক

সম্প্রতি কয়েক জেলায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জনের
রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম নিয়ে চলছে গবেষণা।
কয়েক বছর ধরে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জনপদে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ। বিশেষ করে পদ্মাবেষ্টিত জেলাগুলোয় এখন রাসেলস ভাইপারের দংশন মানেই নিশ্চিত মৃত্যু। পদ্মা ও মেঘনা হয়ে এই সাপ এখন চাঁদপুর, চট্টগ্রামেও পাওয়া যাচ্ছে। দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করে ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন জায়গায়।

রাসেলস ভাইপারের সংখ্যা বাড়ায় এর দংশনে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যাও বাড়ছে। কিন্তু হাসপাতালগুলোতে এর অ্যান্টিভেনম না পাওয়ায় বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। দেশে উৎপাদিত ওষুধ বিশ্বের ১৫৭টি দেশে রপ্তানি হলেও এখনও বিষধর সাপের অ্যান্টিভেনম তৈরি করেনি দেশীয় কোনো ওষুধ প্রতিষ্ঠান। ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ভারত থেকে অ্যান্টিভেনম আমদানি করে দেশে সরবরাহ করে। কিন্তু প্রয়োজনের সময় হাতের কাছে পাওয়া যায় না।

সাপের দংশনের শিকার চার লক্ষাধিক মানুষ

২০২৩ সালে প্রকাশিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (এনসিডিসি) করা গবেষণায় জানা যায়, দেশে প্রতি বছর প্রায় চার লাখ তিন হাজার মানুষ সাপের দংশনের শিকার হন। এর মধ্যে সাড়ে সাত হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

সম্প্রতি পদ্মার তীরঘেঁষা পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর ডিক্রির চরে রাসেলস ভাইপারের দংশনে মারা যান কৃষক হাফিজুর রহমান সোহেল। ৪২ বছর বয়সি এ ব্যক্তির আত্মীয় হাসান আদিব জাগো নিউজকে জানান, পদ্মার চরের মাঠে সাপে কাটার পর সোহেলকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। কোথাও রাসেলস ভাইপার সাপের অ্যান্টিভেনম পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরেও সঠিক চিকিৎসা পাওয়া যায়নি। বিনা চিকিৎসায় তিনি মারা যান।

হাসান আদিব বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, উত্তরাঞ্চলে শুধু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) অ্যান্টিভেনম রয়েছে। কিন্তু কুষ্টিয়া, পাবনা, নাটোরের ফসলের মাঠে রাসেলস ভাইপার সাপ ছড়িয়ে পড়েছে। এসব জেলা থেকে এ সাপে কামড়ানো রোগী রাজশাহীতে নিতেই আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। চিকিৎসকরা জানান, সাপে কামড়ানোর ১০০ মিনিট অর্থাৎ ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের মধ্যেই ভেনম দিতে হবে। কুষ্টিয়া ও পাবনার হাসপাতালগুলোতে সেই ব্যবস্থাও নেই। অথচ পাবনা, কুষ্টিয়া, নাটোর, রাজশাহী, নওগাঁ ও মেহেরপুরে রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব সবচেয়ে বেশি।’

এ ঘটনার কিছুদিন আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাকিনুর রহমান সাব্বির রাসেলস ভাইপারের দংশনে মারা যান। তার সহপাঠী ও বন্ধুরা জানান, কয়েকজন বন্ধু মিলে পদ্মা পাড়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন সাব্বির। এসময় জিলাপি খেয়ে ফেলে দেওয়া কাগজের প্যাকেট আবার হাত মোছার জন্য নিতে গিয়েই রাসেলস ভাইপারের দংশনের শিকার হন। সঙ্গে সঙ্গে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও বাঁচানো যায়নি তাকে।

চলতি বছর এ পর্যন্ত পদ্মার তীরবর্তী রাজশাহী, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় রাসেলস ভাইপারের দংশনে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মাঝে চলতি বছরের মার্চ থেকে মে, গত তিন মাসে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চরাঞ্চলেই বিষধর রাসেলস ভাইপারের দংশনে প্রাণ হারিয়েছে পাঁচজন।



  
  সর্বশেষ
প্রাণ-আরএফএল’র ভিশন এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪, ব্যবহারকারীরা আতঙ্কে
অপরাধের অভয়ারণ্য গুলশান-বনানী-বারিধারা
শেরপুর সদর ভূমি অফিসে দালাল সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য
কর্পোরেট গ্রুপে বাড়ছে ভ্যাট অব্যাহতির অপব্যবহার

প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান , সম্পাদক: জাকির হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক এসএম আবুল হাসান। সম্পাদক কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২০১৯ ফকিরাপুল , ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: জামান টাওয়ার (৪র্থ তলা) ৩৭/২ পুরাণা পল্টন, ঢাকা ১০০০
ফোন: ০১৫৫৮০১১২৭৫, ০১৭১১১৪৫৮৯৮, ০১৭২৭২০৮১৩৮। ই-মেইল: bortomandin@gmail.com, ওয়েবসাইট: bortomandin.com