রবিবার, মে ১১, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * অমৃতসরে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরলেও রেড অ্যালার্ট বহাল   * চট্টগ্রাম কাস্টমসে নিলামে উঠেছে ৩০ মিক্সার লরি   * খুলনার বাজারে বেড়েছে সবজির দাম   * মোংলা বন্দরের সঙ্গে রেল সংযোগ না থাকায় আগ্রহ হারাচ্ছেন নেপালি ব্যবসায়ীরা: ঢাকায় নিযুক্ত নেপালি রাষ্ট্রদূত   * যুদ্ধ উত্তেজনায় স্থগিত PSL, আজ বিকেলেই দেশে ফিরছেন নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেন   * খুলনায় ছাত্র ও জনতার বিক্ষোভ, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শিববাড়ি মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি   * সুন্দরবনে চোরা শিকারের অভিযান ভেস্তে গেল, ৪২ কেজি হরিণের মাংসসহ নৌকা জব্দ   * এক রাতেই দুই খামারে ভয়াবহ ধ্বংস: লাখো টাকার মাছ ও মুরগির বাচ্চা নিধন   * কলাবাগান থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার   * বাবাকে কুপিয়ে হত্যার পর ৯৯৯-এ ফোন করলেন মেয়ে  

   জাতীয়
গ্রেনেড হামলার সঙ্গে খালেদা, তারেক গং জড়িত: প্রধানমন্ত্রী
  Date : 21-08-2023
Share Button


অনলাইন ডেস্ক
২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার কথা বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তখন তো খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী। কি ভূমিকা পালন করেছিল সে? সেটাই প্রশ্ন। সে কেন বাধা দিল পুলিশকে? সে কেন কোনো রকম উদ্যোগ নিল না আলামত রক্ষা করতে। এতে কি প্রমাণ হয়? গ্রেনেড হামলার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে খালেদা, তারেক গং এরা যে জড়িত তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এবং তদন্তেও সেটা বেরিয়েছে।’
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকী স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২১ আগস্টে নিহতদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিফলকে প্রথমে তিনি এবং পরে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এ ধরনের হামলা করা সম্ভব নয়।’
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হলো। আমরা দুই বোন বিদেশে ছিলাম, তাই বেঁচে গেছি। কিন্তু সেদিন যে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল যেটা ওই খুনি রশিদ-ফারুকের বিবিসির সাক্ষাৎকারেই বেরিয়ে এসেছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছিল সবাইকে শেষ করে দিতে। তারও তো দায়িত্ব ছিল, সে তো উপ সেনাপ্রধান ছিল। সে তো তার ভূমিকা রাখেনি। বরং খন্দকার মোশতাক যে খুনি বেইমান, মোনাফেক, বাংলার আরেক মিরজাফর সে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ওই জিয়াউর রহমানকেই সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়। যেহেতু এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল সেই কারণেই তো তাকে পুরস্কৃত করেছিল মোশতাক। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দিয়ে হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। জিয়াউর রহমান মোস্তাককে সরিয়ে নিজে ক্ষমতায় আসে। নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দেওয়ার পরে সেনাবাহিনীর যত মুক্তিযোদ্ধা অফিসার তাদেরকে হত্যা করে। হাজার হাজার সেনাবাহিনীর সৈনিক অফিসারকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, লাশ গুম করে ফেলেছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির হাতে রক্ত। জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে ২০০৪ সাল খালেদা জিয়া একইভাবে হত্যা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী হত্যা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যখন দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসি তখন ২০১৪ সালে বিএনপির নতুন করে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে বহু মানুষ হত্যা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে অনেকেই দেখি বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে। আমার আপনজনকে হত্যা করার পরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে জিয়াউর রহমান আমাকে ঢুকতে দেয়নি। তখন মানবাধিকার কোথায় ছিল?’ শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে এখন বিদেশে আছে। আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছে বলেই সেই সুবিধা নিয়ে বিদেশে বসে বক্তব্য দেয়। সাহস থাকলে বিদেশে বসে আছে কেন, বাংলাদেশে আসুক। বাংলাদেশের মানুষ তাকে ছাড়বে? বাংলাদেশে খুনিদের রাজত্ব আর চলবে না।’



  
  সর্বশেষ
বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ হলো
ট্রান্সশিপমেন্টের বাইরে: ভারতের মাধ্যমে রপ্তানি কার্গোর প্রকৃত কারণগুলো খতিয়ে দেখা
কেওয়াটখালী সেতু প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে ভয়ানক অনিয়ম
সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন চান পণ্য পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা

প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান , সম্পাদক: জাকির হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক এসএম আবুল হাসান। সম্পাদক কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড, ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত এবং বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২০১৯ ফকিরাপুল , ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: জামান টাওয়ার (৪র্থ তলা) ৩৭/২ পুরাণা পল্টন, ঢাকা ১০০০
ফোন: ০১৫৫৮০১১২৭৫, ০১৭১১১৪৫৮৯৮, ০১৭২৭২০৮১৩৮। ই-মেইল: bortomandin@gmail.com, ওয়েবসাইট: bortomandin.com