নজরুল শেখ, স্টাফ রিপোর্টার:
ফরিদপুরের চর ভদ্রাসন উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়নের চর শালিপুর মজিদ খার ডাংগী এলাকায় ভুয়া পশু চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে । এ দিকে উক্ত এলাকায় গরু খামারিদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার নামে।
এক ই গ্রামের উজান সালিপুর কলোনির বিল্লাল, খান গত ২৬ জুলাই জানান, আমার একটা গরু অসুস্থ হয়ে গেলে আমি পাশের বাড়ি থেকে ডেকে আনি রায়হান ডাক্তারকে। তিনি বলেন, চারদিন গরু চিকিৎসা দিতে হবে। কিন্তু গরুর চিকিৎসা দেয়ার পরে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। রায়হান ডাক্তারকে ফোন করলে সে আমার ফোন রিসিভ করে নাই। গরুটা প্রতিবন্ধী ব্রাক থেকে আমাকে দেয়। গরুটা যখন মরে যায় যায় ভাব তখন আমার মাথা ঠিক ছিল না। আমি গরুটাকে বাঁচানোর জন্য হাটকৃষ্ণপুর থেকে আমার এক পরিচিত পশু চিকিৎসককে নিয়ে আসি। চিকিৎসক এক দিন চিকিৎসা দেয় ও ১০ দিনের ঔষধ দেয়। এরপর ২৪ ঘন্টার ভিতর আল্লাহ আমার গরুটাকে অনেক সুস্থ করে দেন। পরের দিন ঔ ভুয়া ডাক্তার রায়হান আমার গরুর কাছে আবার আসে বলেন, কি ব্যাপার গরু হঠাৎ করে সুস্থ হয়ে গেল। আপনারা কি অন্য ডাক্তার এনেছিলেন। তার ফোন নম্বর দিন তাকে আমি কৃষ্ণপুর থেকে তুলে নিয়ে আসবো। আমার এলাকায় কেউ এলে আমাকে টাকা না দিয়ে আসতে পারবে না।
ওই ডাক্তারকে আমি আমার এলাকায় আসতে নিষেধ করেছি। সেই চিকিৎসকের সাথে ফোনে অনেক উত্তেজিত কথা বলেন রায়হান। একপর্যায়ে তাকে অনেক হুমকি দেয়া হয়। বিল্লাল খান জানান, আমাকে আমার বাড়িতে গিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে; কিন্তু আমি একটা প্রতিবন্ধী লোক আমার দুটো পা নেই। এ সময় ঘটনার স্থানে ছুটে আসে এলাকার বেশ কয়েকজন।
লোকজন স্থানীয়রা এই পঙ্গু মানুষটার সাথে যে ধরনের বেয়াদবি করেছে রায়হান, তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে সে মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যায়। তার সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা যা পারেন তাই লিখেন, আমার কিছু যায় আসে না। এ ঘটনায় পরিবারসহ এলাকাবাসী চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ ও উপজেলার প্রাণী সম্পদ অফিসারের কাছে কঠিন বিচার প্রত্যাশা করছে।