নজরুল ইসলাম, নগরকান্দা থেকে :
২২ সালে ২৫ নভেম্বর ঘটনা উল্লেখ করে বরগুনা বিজ্ঞ আদালতে মারপিট ও হত্যার চেষ্টা মামলা করেন রুবি আক্তার নামে এক নারী। অভিযোগ নং ৮২ তারিখ ৩১/০৩/২০২৩। বরগুনা থানার মামলা নং ২০/৪০৬ তারিখ ১৯/১২/২০২২ খ্রীঃ ধারা - ৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৫৪/৩৭৯/৫০৬+২) পেনাল কোড। আশ্রয়ণে (আবাসন) মসজিদ গড়ার কাজে বাধা দিলে তার স্বামী সুমন মিয়া তাকে ধাক্কা দিলে পড়ে গিয়ে আহত হয় তা আবাসন বাসী সবাই জানে এবং মামলার আইও পবিত্র কুমার এর কাছে স্ত্রীকে মারার কথা স্বামী সুমন মিয়া স্বীকার করেন।
মামলার আসামীরা হলেন ১। আজমল হুদা মিঠুন বরগুনা,২। মিজানুর রহমান ফরিদপুর নগরকান্দা ৩। জাকির মাতুব্বর বরগুনা ৪। মজিবর বরগুনা। মামলার আসামীরা বলেন, আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। এছাড়া জাকির মাতুব্বর বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পবিত্র কুমার আমাদের ভয়ভিতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন এবং নগদ ১২ হাজার টাকা নিয়ে সঠিক তদন্ত না করে আমাদের নামে মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট দিয়ে মামলায় আসামী করেন। মামলার ২ নং আসামী মিজানুর রহমান পিতা- মৃত সামচুল হক তারামিয়া গ্রাম - জুঙ্গুরদী, থানা নগরকান্দা, জেলা- ফরিদপুর তিনি একজন সংবাদকর্মী। মিজানুর রহমান বলেন, বরগুনা জেলার নাম শুনেছি কিন্তু কোনদিন সেখানে যাইনি। কি কারণে এই মামলায় আসামী করা হয়েছে তাঁর তা বোধগম্য নয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পবিত্র কুমার আদালতে মিথ্যা মনগড়া চার্জসিট দাখিল করেছে যে কারণে আদালতে ন্যায় বিচার দাবি করেন তিনি।
স্থানী সাংবাদিকদের কাছে এলাকাবাসী রুবির ব্যপারে যে তথ্য দেন তাতে বেরিয়ে আসে রুবির বিভিন্ন কৃতকর্মের ফিরিস্তি। রুবি ১ নং বদরখালী ইউনিয়নের দঃ পাতাকাটা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ কাদের তালুকদার এর পুত্র বধু। তার স্বামী সুমন তালুকদার ফুলঝুড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠের পাশে বসতবাড়ী। ১৬০ শতক জমি আছে যার বাজার মুল্য প্রায় ২ কোটি টাকা হবে। জানাগেছে, রুবি আক্তার সাংবাদিক ও মানবাধিকার পরিচয় দিয়ে এলাকায় আনাকাঙ্খিত কার্যকলাপ করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জনের নামে মামলার মাধ্যমে হয়রানি করায় ঐ এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান তাকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়।
গত ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর তারিখে রুবি আক্তার এর বিরুদ্ধে আবাসন এর শতাধিক বাসিন্দা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। মামলার ১ নং আসামী খাজুর তলা বহুমুখী বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজমল হুদা মিঠুনকে আসামী করায় অত্র স্কুলের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান ২০২৩ সালের ৩০ মে বরগুনা জেলার সাংবাদিক ইউনিয়ন গিয়ে রুবি আক্তার এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। ২০২৩ সালের ১ জুন দৈনিক আলোকিত বরিশাল পত্রিকায় প্রকাশ হয়।
স্কুলের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, রুবি স্কুলের কোন শিক্ষক ছিলোনা, তার নিকট থেকে টাকা কেউ নেয়ার প্রশ্নই আসেনা এই রুবি এক ভয়ংকর নারী। তাদের চক্রের সদস্যদের নিয়ে যা খুশি তাই করে বেড়াচ্ছে। জায়গায় জমিন থাকা সত্বেও সম্পদ গোপন করে খেজুর তলা আবাসনে সরকারি ঘর নিয়েছে সে। এখন রুবির অত্যাচার আর মামলার ভয়ে গোটা আবাসনের বাসিন্দা ভয়ে আতংকে আছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পবিত্র কুমারকে তার মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া মাত্রই তিনি ফোন কেটে দেন এবং ফোন বন্ধ করে রাখেন যে কারণে তার বক্তব্য জানা যায়নি। মামলার বাদী রুবি আক্তার এর ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে মামলাবাজ রুবির হাত থেকে বাচতে প্রশাসনিক ভাবে তদন্ত করে তার বিচার দাবি করেন এলাকাবাসী।