|
বিআরটিএ’র সর্বাঙ্গের ব্যথায়,মলম দিবে কোথায় ? ইকুরিয়ার ফেলের গেড়াকলে কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য |
|
|
|
|
|
কামরুজ্জামান মিল্টন- .ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রহসনমূলক পরীক্ষার বোর্ডের নেপথ্যে ঘুষবাজি .পরীক্ষার বোর্ড থেকে প্রতিমাসের প্রায় কোটি টাকা ঘুষ আদায়কারী পরিদর্শক জমিরের নিযুক্ত বহিরাগত জনৈক মনির ও তার ভাগিনা কম্পিউটার অপারেটর (স্টাফ) মাসুদ .উপ-পরিচালক (ডিডি),সহকারী পরিচালক (এডি) রক্ষাকবজের ভুমিকায় থেকে বসান রাজভাগ .মাসান্তে ও বিভিন্ন খচরবাবদ মোট টাকার অংশ বিশেষ পৌছে সদরের সহকারী পরিচালকের (প্রশাসন) কাছে একদিকে বাংলাদেশ সড়ক ও যোগাযোগ অধিদপ্তর (বিআরটিএ)’র খোদ সদর কার্যালয়ের একটি সিন্ডিকেট অনিয়ম তদন্তের তোপে,অন্যদিকে সার্কেলগুলোতে চলছে-সিন্ডিকেট ভিত্তিক অবাধ হরেক রঙ্গের ঘুষবাজি। আর সুত্রে পাওয়া এ তথ্যমতে একটু ভিন্ন চোখে তাকাতেই দেখা মেলে জনগুরুত্বপূর্ন এ প্রতিষ্ঠানটির সার্কেলগুলোর বরাবরের স্বীকৃতরুপে বহাল হরেক রঙ্গের অনিয়মের রমরমা বাজার। শুরুতেই ঢাকার সন্নিকটে ইকুরিয়া (বিআরটিএ)’তে নানা ছলে চলে আনগোনা। তাতে প্রাপ্ত ঘাটে ঘাটে ঘুষ খাওয়া নামের অনিয়মের খন্ডাংশের তৈরি কয়েকটি পর্বের প্রতিবেদনের একটির অংশ বিশেষ খানেক আগে তুলে ধরা হয়। এতে সংশ্লিস্টদের মধ্যে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া,চলে থমকে দেয়ার নানান কৌশলী তালবাহানাসহ হুমকি-ধমকি। আর তাই সংশ্লিস্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অবগতিসহ নানা দিক বিবেচনায় বিলম্বিত এ পর্বটি। হ্যা,এ যেন সেই কথাই-“সর্বাঙ্গের ব্যথায়,মলম দিবেন কোথায়”? দৃষ্টি দিতেই গোচরে আসে-ঘাটে ঘাটে অনিয়ম-দুর্নীতির অবাধ চত্ত্বর বিআরটিএ’র নিয়ন্ত্রন কেন্দ্র “বিআরটিএ সদর’র দুর্নীতি তদন্তের তোপে থাকা প্রায় ওই এক যুগের পুরানো হোঁতা সহকারী পরিচালক প্রশাসন (এডি এডমিন) রিয়াজুর ওরফে রেজাউর রহমান শাহিন চক্রের দেখভালে গড়া ইকুরিয়ার ওই সিন্ডিকেটটি। ওই এডি এডমিন পদটিতে একজন বিসিএস ক্যাডার থাকার কথা থাকলেও অদৃশ্য ক্ষমতাবলে তা দখলে রেখে সার্কেলের হোঁতা গিরি করে আসছেন প্রায় এক যুগের অধিক সময় ধরে। আর সার্কেলের দায়িত্বরতরা সম্পূর্ন নির্বিঘ্নে সিন্ডিকেটাকারে গ্রাহক ভোগান্তিকে পুঁজি করে সার্কেল সংশ্লিস্ট বড় বাবু (পর্যায়ক্রমিক কর্মকর্তা-কর্মচারি) থেকে কার খালু (গ্যাটিজ বলে পরিচিত বহিরাগত সহকারি) পর্যন্ত স্বস্ব দায়িত্বের সুযোগে পেতে বসে আছেন অবৈধ টাকা হাতানোর নানা কেসেমের গেড়াকল। আর তা যেন বাজারের আদলে পুরোটাই খোলামেলা। তবে ইকরিয়ার অবাধ ঘুষবাজির অসংখ্য গেড়াকলের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্সের (নতুন-পুরনো) পরীক্ষার বোর্ডের নামে প্রহসনের গেড়াকল অন্যতম একটি। যেখানে রয়েছে-ঢাকা জেলা ও মেট্রো-২’র মোটরযান পরিদর্শক জমির উদ্দিনকে “সদস্য সচিব” করে গঠিত নিয়ম মাফিক রেগুলেশন বোর্ড সমেত নজরকাড়া নানা আয়োজন। আসলে সবই সবার চোখে ধোকা দেয়ার কৌশল ছাড়া আর কিছু নয়। বেশ লম্বা সময় ধরে এ নিয়ে খোজ-খবর চলাকালে মেলেনি একজন ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রার্থী মেলেনি,যিনি ঘুষ ছাড়া পাশ করেছেন। অধিকন্ত খোজ মিলেছে-ঘুষ না দেয়ায় ভোগান্তিময় ফেলের গেড়াকলে অটকে থাকা অসংখ্য পরিক্ষার্থীর। অর্থাৎ-ঘুষের টাকা না দিলে, সেখানে পাশের কোন সুযোগ নাই। আছে দিনের পর দিন ওই মনির,মাসুদের পিছে ঘুরে জুতা ক্ষয়সহ ভোগান্তির সময় ক্ষেপনের সুযোগ। আর সপ্তাহে চার-পাঁচ দিন চলা পরীক্ষার বোর্ডটা নিতান্তই লোক দেখানো এবং ওই সব প্রার্থীদের গেড়াকলে আটকের কৌশল মাত্র। যা নতুনও নয়, চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে আগে টাকার পরিমান কম ছিল। এখন সব কিছুর সাথে ঘুষের টাকাও বেড়েছে কয়েকগুন,পরীক্ষার্থী প্রতি পাশের ঘুষ ১৫’শ থেকে দুই হাজার টাকায় দাড়িয়েছে। আর এ টাকা আদায়ের গুরুদায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে মনির হোসেন নামের ২০-২২বছরের যুবক। তারই ভাগিনা কম্পিউটার অপারেটর মাসুদ (স্টাফ) ওই ঘুষের টাকার নিশ্চয়তা না পেয়ে ডাটা এন্ট্রিসহ অন্যান্য কাজ আটকে রাখেন। মনির হোসেন বহিরাগত হলেও ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষার বোর্ডের ‘ক্যাশিয়ার’ বলে উপর থেকে নীচ (্ডিডি থেকে গ্যাটিজ) পর্যন্ত সবার কাছে সমাদৃত। তিনিই ঢাকা জেলা ও মেট্রা-২’র ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় প্রতি বোর্ডে প্রায় ৩০০-৪০০জন প্রার্থীর পরিক্ষা নেয়া হয়। পাশ করানো হয় ঘুষের বদলে। গড়ে সপ্তাহে চার-পাঁচটি বোর্ডে প্রায় ১৫০০-১৬০০ জন ও মাসে ১৬-২০টি বোর্ডের প্রায় ৪৫০০জন-৫০০০জনের অধিক প্রার্থীর পরীক্ষা নেয়া হয়। এরপর ফেলের গেড়াকলে আটকে সুযোগমত নাটাই সুতার টান টেনে আদায় করা হয় ওই ঘুষের টাকা। যা বোর্ড প্রতি গড়ে চার-পাঁচ লাখ হিসাবে সপ্তাহে ১৬-২০ লাখ ও মাসে গিয়ে দাড়ায় ৮০ লাখ- এক কোটি টাকায়। আর কছরের হিসাব বাদই থাক। এসব টাকা দৈনিক,সাপ্তাহিক ও মাসিক হিসেবে উপর থেকে নীচ পর্যন্ত আনুপাতিক হারে হয় ভাগাভাগি। আর পরীক্ষার্থী প্রতি ঘুষ আদায়ের এসব নিরব,অধাব কৌশলটি হস্তগত করার জন্য ইকুরিয়ার প্রায় ৩০জন পরীক্ষার্থীর সাথে কৌশলে যোগাযোগ রেখে যথা সম্ভব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রাহ করা হয়। এতে ওই ঘুষ ছাড়া পাশ নাই বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে অন্তত ১০-১৫জনের কাছ থেকে ওই ঘুষ সংক্রান্ত বিষয়ে সাক্ষী দেয়ার সম্মতিসহ প্রয়োজনীয় কাগজ সংরক্ষন করা হয়। আর তাদের মধ্যে রয়েছেন-জাহাঙ্গীর আলম,রোল-৩০৮,সোলেমান সেখ,রোল-৩১৯,রফিকুল আলম,রোল-৭০,শাহিন মিয়া,রোল-২০২,মোঃ তৌফিকুর রহমান,রোল-২৫২। আরো রয়েছে-মোখলেছুর রহমান, হারুনুর রশিদ,আলমগীর হোসেনসহ কয়েকজন পাশ করলেও ফেল আবার ফেলের আটকে এধরনের ঘুষবাজি সম্পর্কে তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান এবং এসবের প্রতিকার দাবি করেন। আর নাম না প্রকাশ করার শর্তে সেখানকার জনৈক কর্মকর্তা জানান,ওই বোর্ডের সদস্যরা শুধু কাগজে কলমে নিয়ম মাফিক সক্রিয় থাকলেও প্রকৃতপক্ষে চলছে ধোকাবাজির ঘুষবাজি । এভাবেই প্রতিমাসে কোটি টাকারও বেশী ঘুষ আদায় করা হচ্ছে পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। আর এর প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রক ঢাকা জেলা ও মেট্রো-২’র মোটরযান পরিদর্শক জমির উদ্দিন। পরিদর্শক জমিরের নির্দেশে ও সংশ্লিস্ট উর্ধ্বতনদের আস্কারায় ওই মনির হোসেন,মাসুদরা লাইসেন্সের বোর্ডের নামে নির্বিঘ্নে ঘুষ আদায়ের ক্যাশিয়ারি করে যাচ্ছেন। আর ওই জড়ো করা ঘুষের টাকা নিয়োমিত ভাগাভাগি হচ্ছে ইকুরিয়ার উপর থেকে নীচসহ সদরের মূল হোঁতা সহকারি পরিচালক,প্রশাসন (এডি-এডমিন) পর্যন্ত। এসব সবারই জানা,কিন্তু নানা কারণে কেউ কিছুই বলে না। ওই কথিত ক্যাশিয়ার মনির হোসেনের সাথে মোবাইলে এব্যাপারে কথা তুলতেই ফোন কেটে দেন। আর ঢাকা জেলা ও মেট্রো-২’র মোটরযান পরিদর্শক জমির উদ্দিনের মোবাইলে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেন নি। ইকুরিয়া সার্কেলের সর্বসের্বা উপ-পরিচালক (ডিডি) সানা উল্যাহ’র সাথে কথার এব্যাপারে কথার বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। সংশ্লিস্ট মন্ত্রনালয় এ ব্যাপারেও তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। আর এসব অনিয়মেরও নেপথ্য কুশিলব বিআরটিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের আস্থাভাজন তৎকালিন উচ্চমান সহকারি,বর্তমান সহকারি পরিচালক প্রশাসন (এডি-এডমিন)। যিনি ওই সময় থেকেই কোটা জালিয়াতির নিয়োগপ্রাপ্ত গাড়ি চালক আলমগীর,তাহের,ফোরকান,কবির চক্রের হোঁতা বনে খোদ সদর কার্যালয়ে বসে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমের অবৈধ সম্পদ অর্জনে বেপরোয়া ছিলেন। সম্প্রতি তা নিয়ে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনের সূত্র ধরে সংশ্লিস্ট মন্ত্রনালয়ের একটি তদন্ত কমিটির খতিয়ে দেখা প্রকৃয়াধীন রয়েছে। অবশ্য এর আগে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ‘বিআরটিএ’র ৬ নম্বর আদালতের নির্বাহী ম্যাজিট্রেড এসব অভিযোগ একতরফা তদন্ত করে একটা রায়ও দেন। শেষ নয় . . .
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক: এনায়েত ফেরদৌস
, অনলাইন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত ) কামরুজ্জামান মিল্টন
|
নির্বাহী সম্পাদক: এস এম আবুল হাসান
সম্পাদক জাকির হোসেন কর্তৃক ২ আরকে
মিশন রোড ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত ও বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ২/২, ইডেন কমপ্লেক্স (৪র্থ তলা) সার্কুলার রোড, ঢাকা ১০০০।
ফোন: ০১৭২৭২০৮১৩৮,
০১৪০২০৩৮১৮৭
,
০১৫৫৮০১১২৭৫, ই-মেইল:bortomandin@gmail.com
|
|
|
|