খুলনা ডেস্ক:
যশোর-চুকনগর মহাসড়কের এক সময়ের সবুজছায়া হারিয়ে গিয়েছিল সম্প্রসারণকাজের পর। গাছ কাটার পর রোদে পোড়া রুক্ষ সেই সড়ক এখন ধীরে ধীরে ফিরে পাচ্ছে তার প্রাণ, আর সেই পরিবর্তনের পেছনে আছেন মনিরামপুরের একজন নিরব নায়ক, আসাদুজ্জামান মিন্টু।
নিজস্ব অর্থায়নে তিনি রোপণ করেছেন ৫০০ চারাগাছ। কোনো দলীয় প্রচারণা নয়, বরং নিঃস্বার্থ নাগরিক দায়িত্ববোধ থেকেই এই উদ্যোগ। শুধু সড়ক নয়, আশপাশের স্কুল ও কলেজের আঙিনায়ও গাছ লাগিয়েছেন তিনি, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে গড়ে ওঠে পরিবেশ সচেতনতা।
মিন্টুর মানবিক উদ্যোগ নতুন নয়। করোনা মহামারির সময় যখন অনেকেই ভয়ে ঘর থেকে বের হননি, তখন তিনি রাতের অন্ধকারে রোগীর বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন অক্সিজেন সিলিন্ডার। স্থানীয় চিকিৎসকরা জানান, সংকটকালে মিন্টু ছিলেন ভরসার নাম, সাহসের প্রতীক।
সেবার ক্ষেত্রও শুধু স্বাস্থ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তিনি নিজ খরচে নেবুগাতী ও চান্দাডাঙ্গার হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাশ্মশানে ঘাট নির্মাণ করেছেন। জামলা-তেঘরি এলাকায় নদীর ওপর বানিয়েছেন বাঁশের সাঁকো, যেন সাধারণ মানুষের চলাচলে হয় না কোনো কষ্ট।
মিন্টু বলেন, “আমি রাজনীতি করি সেবার জন্য, স্রেফ জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য নয়। এই কাজগুলো করি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, কারণ একদিন জবাব দিতে হবে।”
তাঁর মতো একজন সাধারণ মানুষ যখন নিজের উদ্যোগে গড়ে তোলেন এমন সব সেবামূলক কাজ, তখন সমাজে ফিরে আসে আশা, ফিরে আসে বিশ্বাস, যে এখনো কেউ কেউ নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ান। মিন্টুর গাছগুলো যেমন একদিন ছায়া দেবে ক্লান্ত পথচারীকে, তেমনি তার কাজগুলো ছায়া হয়ে থাকছে অনেক হৃদয়ে।