খুলনা ডেস্ক:
খুলনায় ছাত্র-জনতার তীব্র বিক্ষোভের মুখে এসআই সুকান্ত দাশকে গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। ২৫ জুন দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) হেডকোয়ার্টারের সামনে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করে। তাদের দাবি, এসআই সুকান্ত দাশকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ২৪ জুন বিকেল সোয়া ৪টার দিকে খুলনার ইস্টার্ন গেট এলাকায় জনতার হাতে আটক হন এসআই সুকান্ত দাশ। দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীরা তাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু খানজাহান আলী থানা পুলিশ রাতে তাকে ছেড়ে দেয়, যা বিক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালে।
জানা গেছে, এসআই সুকান্ত দাশ বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানায় কর্মরত থাকলেও বিগত সময়ে খুলনায় কর্মরত অবস্থায় সাধারণ ছাত্র ও নাগরিকদের ওপর গুরুতর নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারীদের দাবি, তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভিন্নমতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে নির্যাতন করতেন এবং পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করতেন। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হলেও তিনি এখনো দাপটের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এসআই সুকান্ত দাশকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেনকে পাওয়া যায়নি। এদিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার জানিয়েছেন, এসআই সুকান্ত দাশের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে এবং সেগুলো তদন্তাধীন। তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা চাইলে প্রতিনিধি পাঠিয়ে আলোচনা করতে পারেন, পুলিশ তাদের বক্তব্য শুনতে প্রস্তুত।
ছাত্র-জনতার দাবি এখন স্পষ্ট: ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। সুশাসন ও মানবাধিকারের প্রশ্নে দেশজুড়ে চলমান আন্দোলনে এই ঘটনাটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।