খুলনা ডেস্ক:
নওগাঁ শহরের আনন্দনগর এলাকায় বুধবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে সুমন নামের এক ব্যক্তি তার স্ত্রী ময়ূরীকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। হামলায় ময়ূরীর বাম হাত সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং তার গলায়ও কোপের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে ছুটে এসে সুমনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুজনকেই আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমনের মৃত্যু হয়। তার মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্র এবং থানা পুলিশ জানায়, ময়ূরী ও সুমনের বিয়ে হয়েছিল প্রায় ৩-৪ বছর আগে। বিয়ের পর থেকেই তারা ময়ূরীর বাবার বাড়ি আনন্দনগরে বসবাস করছিলেন। সুমনের মাদকাসক্তির কারণে দাম্পত্য জীবনে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিল। ঘটনার দিন রাতে মাদক সেবন করে বাসায় ফেরার পর দুজনের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়, যা পরে ভয়াবহ আকার নেয়।
আহত ময়ূরীকে প্রথমে নওগাঁ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ আহত দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সুমনের মরদেহ বর্তমানে নওগাঁ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ যোগাযোগ করেনি। পরিবারের কেউ এলে আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।