- মূল হোতা-সাবেক মেয়র তাপস, নেপথ্য সুবিধাভোগী ছিল দায়িত্ববানদের অনেকে।
- আগুন বহিনীও পুলিশের নামটা আগে।
- আগুন নাটকের সুষ্ঠ তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থায় সোচ্ছার বিভিন্ন মহল।
- হতে পারে ওই “আগুন বহিনী” তদন্তের সুত্রপাত।
কামরুজ্জামান মিল্টন:
চোখ আছে, দেখ। কান আছে, শোন। সবারই বোবার বেশ। জুলুমবাজির শিকার হয়েও শুধুই ঘুমরে কাদা ছাড়া,কিছুই যাবে না বলা। কারণ-মুখ খুললেই হামলা-মামলা,খুন-গুম’র ভয়। যেন এক রক্ষকবেশি ভক্ষণকারী ‘যমের রাজ্যে বাসিন্দা’ নীরিহ-ভুক্তভোগী সবাই। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ের ফেরে ওই সব ভয়-ভীতি আপাতত আর নেই। আর তাই বোবার মুখে ফুটছে-বুলি। এখন আর কোন আতচিৎকার নয়,বরং ধিক্কারের সুরে বলে উঠছে-তাদের সর্বস্ব ‘পুড়ে ছাই’ হওয়ার সেই ধারাবহিক অগ্নিকাণ্ড নামের নাটকের আড়ালের নানা কথা। আর সে পথে এ খোজ-খবেরের বাহুল্য প্রয়াস। তাতে মেলে-গত এপ্রিল মাসের সিরিজ অগ্নিকাণ্ড’র কিছু রোমহর্ষক দিক।
জানা যায়,পাচ মাস আগে রাজধানীর দুটি বড় মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে প্রায় একই সময়ে, ভোররাতের দিকে। অনেক মার্কেটে রাতেও আগুন লেগেছে। এ যেন সজানো এক সিরিজ। তাও ঈদের আগে আগুনে নিঃস্ব হয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী। তবে গত ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজারে আগুন লাগে ভোর ৬টা ১০ মিনিটের দিকে। এ নিয়ে ছিল-অনেক প্রশ্ন। কিন্তু তা ছিল-নাটকীয়তার পুরু দেয়াল ভেদ করার অযোগ্য। যেমনটি এখন শোভা পাচ্ছে-এত দিনে সব ভুলে টেকার লড়াইয়ে ব্যস্ত ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিবদী কণ্ঠে। এপ্রিল মাসের ধারাবহিক অগ্নিকাণ্ড’র নেপথ্যে রক্ষকবেশি ভক্ষনকারীদের লালসার নাটক। তার মানে- তৎকালিন দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তাপস ও তার সিণ্ডিকেট বঙ্গবাজারসহ বেশ কয়েকটি ভক্ষনের জন্য সুপরিকল্পিতভাবে অগ্নিকাণ্ড ঘটায়। আর এগুলোর সোজা-সাপটা তোলপাড় ঢাকতে ওই যত্রতত্র অগ্নিকাণ্ডের ধারাবাহিক নাটক চালানো হয়। বঙ্গবাজার ওই জায়গায় বহুতল ভবনের নামে হজমের সাথে আরো কয়েকটি মার্কেটে টার্গেট করেন তারা। আর তার সিদ্ধির জন্য বঙ্গবাজার ও আরো এক-দুটিতে অগ্নিকাণ্ড নাটকের মহড়া চালায় তারা। তবে এ নিয়ে অতিমাত্রায় তোলপাড় দেখা দিলে-“চুরি গরু জঙ্গলে ছেড়ে দেয়া” হয়।
অর্থাৎ-মানুষের দৃষ্টি অনির্দিস্ট পরিসরে ছড়িয়ে দিতেই ওই ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ড নাটক রচনা করা হয়। এর মূল হোতা-সাবেক মেয়র ফজলে নুর তাপস হলে ও নেপথ্য সুবিধাভোগী ছিল দায়িত্ববানদের অনেকে। তার মধ্যে “আগুন বহিনী”র শীর্ষকর্তাদের সাথে বরাবরের উচ্ছিস্টাভোগী পুলিশের নামটা আগের ভাগে এসেছে। কিন্তু মূল হোতা চেলাপেলাসহ যেমন-পালিয়ে গেছে,তেমনি-পুলিশ পচেগলে অস্তিত্ব সংকটের মুখে রয়েছে। তাই তীরটা এখন ওই “আগুন বহিনী”র উপর অর্থাৎ-ফায়ার সার্ভিসের তৎকালিন শীর্ষ ব্যক্তিদের দিকে। সোজা কথায়-এখনই সময় ভেবে, ওই ধারাবাহিক আগুন নাটকের সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থার সোচ্ছার হয়ে উঠছে-ওই সব ভুক্তভোগীদের সাথে বিভিন্ন মহল। আর তাতে ওই “আগুন বহিনী” থেকে তা তদন্তের সুত্রপাত হতে পারে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ বিভিন্ন মহল। ওই সময় ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বিষয়টি নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অনুরোধ জানান। আর সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদল্লাহ আল মামুন বলেছিলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের প্রতিটি ঘটনাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যা খতানোর পর্যন্তই শেষ। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধারাবাহিক ওই আগুনের ঘটনা ষড়যন্ত্র বা নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশের সাথে বিএনপি-জামায়াতের কাধে চাপানোর চেস্টার মধ্যে দিয়ে আগুনের ছাই পর্যন্ত ঠান্ডা হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর মহা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন এর সাথে যোগেযোগ করা হলে তিনি বলেন, কি বিষয় আমাকে আগে পাঠান। দেখে মন্তব্য করবো।
এ বিষয়ে এখোনো অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। এই অগ্নিকান্ডে কেকে জড়িত, কি ধরনের কারসাজি ছিলো এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যবহল সংবাদ আসছে পরবর্তী পর্বে..