স্টাফ রিপোর্টার
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার কাচারী ডাঙ্গী গ্রামের মন্টু মালোর মেয়ে কনিকা রানী মালো মুসলিম পরিবারের এক ছেলেকে ভালোবেসে নিজ সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে কলেমা পড়ে বিয়ে করেন। মুসলিম পরিবারে ৮ বছর স্বামীর সংসার জীবনে ৬ বছর বয়সী এক সন্তান রেখে গত ১২ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের পিপরুল গ্রামের বলাই বিশ্বাসের ছেলে এক সন্তানের জনক বিস্ন এর হাতধরে তার বাড়িতে এসে ঘরসংসার শুরু করে। গ্রামবাসী বিষয়টি জানতে পারে এবং ১ সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী এক শালিস- দরবারের সিদ্ধান্ত নেয় গ্রাম মাদবররা।এরই মধ্যে বিস্ন কনিকা কে ফরিদপুর নোটারী পাবলিক কার্যালয় ফরিদপুর গিয়ে ১৯ জানুয়ারী শালিসের দিন বিকালে বিবাহের এফিডেভিট করেন।
একসপ্তাহ ঘরসংসার করার পর তথ্য গোপন করে বিয়ের বয়স ১৮ বছর দেখিয়ে বিয়ে করেন কনিকা।মুসলিম পরিবারের স্বামী ফরহাদ ও সন্তান গোপন রেখে কনিকা ফের সনাতন ধর্মের ছেলেকে বিয়ে করেন।কনিকার প্রথমে বিয়ে করেন বরিশালে এক মুসলিম পরিবারের ছেলেকে সেখানে ৮ বছর সংসার জীবনে এক পুত্র সন্তান রয়েছে। এদিকে বউ এর খোঁজে তার স্বামী বরিশাল থেকে নগরকান্দায় বিস্ন বিশ্বের বাড়িতে এসে হাজির হয় বলে স্হানীয় লোকজন জানান। বিস্ন বিভিন্ন এলাকায় কাঠমিস্ত্রীর কাজ করেন।তবে বিস্ন বিশ্বাস এর প্রথম স্ত্রী সেও এক সন্তান নিয়ে অন্যের হাত ধরে চলে গেছে বলে বিস্নের বাবা বলাই বিশ্বাস বলেন।এব্যাপারে বিস্ন বিশ্বাস বলেন আমি জানি সে হিন্দুর মেয়ে তার মুসলমানের সাথে বিয়ে হয়েছে বা তার একটি সন্তান রয়েছে আমি জানিনা আমরা নোটারী করে বিয়ে করেছি আজ।স্হানীয় মাতুব্বর মোক্তার ও রহমান শালিসের দায়িত্ব নিলেও এখনো শালিস হয়নি বলে স্হানীয় আরেক মাতুব্বর বাবলু বলেন।বাবলু মাতুব্বর আরও বলেন যার বউ বের হয়ে আইছে তাকে বউ ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলে সে বাড়িতে ফিরে যায় এবং পরে তাকে ফোন দিলে সে যেন চলে আসে এবং তার বউ নিয়ে যায়।
হিন্দু থেকে মুসলিম আর মুসলিম থেকে ধর্ম এফিডেভিট এর মাধ্যমে পরিবর্তন না করে এবং তথ্য গোপন করে অন্যের ঘরসংসার করায় এলাকায় মুসলিম ও হিন্দুদের মাঝে এ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।