- বদলেছে শুধু চালক-মহাচালক আর আস্তানা
- আপডেপ হয়েছে ঘুষবাজির নিরাপত্তায়
- বিআরটিএ’র কর্মচারী পরিচয়দানকারী জনৈক কুখ্যাত দালাল ও কয়েকজন সাংবদিক নামধারী দালাল ময়দান পাহারা দিচ্ছে, সুরা খাচ্ছে
কামরুজ্জামান মিল্টন:
বিআরটিএ’র ড্রাইভিং লাইসেন্সিং’র সেই “ফেল-পাশ”গ্যাঁড়াকল বন্ধ হয়নি। বদলেছে শুধু চালক-মহাচালক আর আস্তানা। বরং আপডেট হয়েছে ঘুষবাজির নিরাপত্তায়। আর এ নিয়ে দুটি খণ্ড প্রতিবেদনের এ খণ্ডটি।
যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ’র কেরানিগঞ্জের ইকুরিয়াস্থ ড্রাইভিং লাইসেন্সের ধুরন্ধরির সেই “ফেল-পাশ”র হতদরিদ্র একটি শ্রেণীর রক্তচুষা গ্যাঁড়াকলে ফের যেন ঘুষবাজির মহোৎসব চলছে। এর আগে দীর্ঘ সময় ধরে ওই রক্তচুষা গ্যাঁড়াকলের চালক-মহাচালকেরা সংশ্লিস্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দুই-এক সুদ্ধাচারের মহাগুরু বেশী ঘুষবাজকে বশ করে শক্তপোক্ত সিণ্ডিকেট বানিয়ে অবাধ ঘুষবাণিজ্য করে আসছিল। শত অনুযোগ-অভিযোগ যেন ছিল-আগুনে ঢালা। আর ওই তাতেই ওই গ্যাঁড়াকলের চালক-মহাচালকেরা ঘুষবাজ সিণ্ডিকেটও ছিল-বেপরোয়া। থাকবেই বা না কেন ? প্রতিদিন হতদরিদ্র ওই শ্রেণীটির তিন’শ-চার’শ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশিকে রক্তচুষা গ্যাঁড়াকলে আটকে দুই হাজার-তিন হাজার হিসেবে গড়ে ছয়-আট লাখ টাকা ভাগাভাগির লোভ সমালানো তো সহজ নয়।
তাই ওই বেপরোয়া গ্যাঁড়াকলের ঘুষবাজ সিণ্ডিকেটটিকে ধরাশায়ী করতে গিয়ে তাদের চক্রান্তের জাল ছিড়তে একটু সময় লাগে। তবে দেরিতে হলেও সিণ্ডিকেটটি এক প্রকার লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। দিনের পর দিন মাসের পর মাস সেই “কঙ্কালসার ব্রাহ্মনের পড়া পাঠার থোড়াইকেয়ার মন্ত্রে”র মত পড়ে মুখে ফেনা তুলে ওই সিণ্ডিকেটটির লালিত দালাল চক্রের পাতা চক্রান্তের জাল টপকে বেশ বেগ পেতে হয়।
প্রায় বছর খানেক আগে সিণ্ডিকেটটির চালক-মহাচালকেরা মানে-অন্যতম মূল হোতা এডি (সহকারি পরিচালক), একাধিক ইন্সপেক্টর (মোটরযান পরিদর্শক) গ্যাঁড়াকলের হলারম্যানরূপী (ঘুষ কালেক্টর) উচ্চমান সহকারি ও লালিত গ্যাটিজরূপী দালালরা পর্যন্ত বাট খেয়ে যায়। মানে-মূল হোতার ছিটকে কেউ বঙ্গোপসাগরের কুলে আবার কেউ পাহাড়ি অঞ্চলে পড়ে। সেই সাথে দিন, সপ্তাহ, মাস ও বছর শেষের ওই শত কোটি টাকা ঘুষবাজির আস্তানা কেরানিগঞ্জের ইকুরিয়া থেকে নানান জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। আর এতে ওই বিআরটি’র ড্রাইভিং লাইসেসিং’র গুরু দায়িত্বটি ওই সময়ের ওই ঘুষবাজ সিণ্ডিকেটের তোপে দুরে থেকে লেলাভুলাবেশী বর্তমানের নয়া হোতার হাতে বর্তায়। আর এ সুযোগে ওই লেলাভুলাই এখন নয়া হোতারূপে “ফেল-পাশ”র ওই গ্যাঁড়াকলের মহাপরিচালক সেজে বিতাড়িত হোতাদের দালাল সিণ্ডকেট জড়ো করে ড্রাইভিং লাইসেসিং’র ব্যবস্থাপনায় ধুরন্ধরী আরো আপডেট করে ঘুষবাজির মহোৎসবে মেতে উঠেছেন।
সোজা কথায়-কেরানিগঞ্জের ইকুরিয়াস্থ বিআরটিএ’র জেলার ড্রাইভিং লাইসেন্সের পলীক্ষার মাঠ-গাবতলী বাস ডিপোতে ফের নতুন কায়দায় চলছে- “ফেল-পাশ”র রক্তচুষা ঘুষবাণিজ্য। আর তার মহাপরিচালকের দায়িত্ব পেয়ে আবুল হাসান নামের ওই ইন্সপেক্টর মোটরযান পরিদর্শক) ও বিতাড়িত হোতাদের চেলাপেলাদের সংঘবদ্ধতায় “ফেল-পাশ”র গ্যাঁড়াকলের ঘুষবাজিতে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বাকী আছে...