খুলনা ডেস্ক:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া ২০১৩ সালের রায় বাতিল করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ ১ জুন, রোববার এই রায় দেন। এর ফলে প্রায় এক যুগ আগে হাইকোর্টের যে সিদ্ধান্তে জামায়াতের রাজনৈতিক বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল, তা এখন বাতিল হয়ে গেল।
২০০৯ সালে জামায়াতের নিবন্ধন বৈধ কি না, তা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ জন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন। এরপর জামায়াত নিয়ম অনুযায়ী লিভ টু আপিল করে, যা একই বছর আপিল হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
এরপর নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে। তবে আপিলের প্রক্রিয়া চলমান ছিল। ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষ থেকে কোনো আইনজীবী না থাকায় আপিল বিভাগ তাদের আবেদন খারিজ করে দেন। পরে আদালতে দেরির কারণ ব্যাখ্যা করে আবেদন করলে ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগ সেই আবেদন গ্রহণ করে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করেন।
গত ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া শুনানি শেষে ১৪ মে আপিল বিভাগ রায় ঘোষণার জন্য ১ জুন তারিখ নির্ধারণ করে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ উচ্চ আদালতের রায়ে হাইকোর্টের পুরোনো সিদ্ধান্ত বাতিল হলো এবং জামায়াতের নিবন্ধন সংক্রান্ত আইনি জটিলতায় বড় এক পরিবর্তন এলো।