- প্রধান ঘাটি নবাবপুর, কাপ্তান বাজার, সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেট
- নামীদামী ব্রান্ডের নকল ক্যাবলস’র হোতা
- বিএসটিআই নেই, কেউ ভ্যাট ট্যাক্স দেয় না
- অনলাইনে বিক্রয় হয়, সরাসরিও বিক্রয় হয়
- নিম্নমানের কাঁচামাল দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে তৈরি
স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকার সবচেয়ে বড় ইলেকট্রিক মার্কেট নবাবপুর, কাপ্তান বাজার, সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটগুলোতে এক শ্রেণীর প্রতারক ব্যবসায়ী নামীদামী ব্রান্ডের ক্যাবলস বিক্রয়ের পাশাপাশি ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া ভুয়া নামের ্ন বৈদ্যুতিক ক্যাবলস বিক্রয় করছে। এসব ক্যাবলস অত্যন্ত নিম্নমানের ও বিপদজনক হলেও অনলাইনে, সামাজিক জোগাযোগ মাধ্যম এমনকি ব্লগারদের বিজ্ঞাপনে দেখাচ্ছে অন্যকিছু। কমদামে ক্যাবলস ক্রয়ের চড়কদার প্রলোভনে দোকানের নাম ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে অনেকটা গোপনীয় কৌশলে সারাদেশে কোটি কোটি টাকার ক্যাবলস সরবরাহ দিচ্ছে তারা।
অনলাইনে দেওয়া এসব প্রচারণা কৌশল পর্যবেক্ষণ করলে দেখা এদের মূল প্রলোভন হচ্ছে ক্যাবলসের দাম কম। অন্যান্য নামীদামী ব্রান্ডের ক্যাবলস যেটার দাম দুই হাজার টাকা এরা সেটা দিচ্ছে এক হাজার বা এরও নিচে। শুধু ক্যাবলস নয় বিভিন্ন সুইস, সকেট, হোল্ডার, বোর্ড, ব্রেকার সহ অন্যান্য ইলেকট্রিক প্রডাক্টও বিক্রি করেছে এভাবে। আর কোয়ালিটির কথা বলছে নামীদামী ব্রান্ডের মত যা মূলত এক ধরনের ফাঁকি ও প্রতারণা। এছাড়া একই কায়দায় প্রকাশ্যে ধোলাইখাল এলাকায় জাহাজের ক্যাবলস বিক্রয়ের নামে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ নিম্নমানের ক্যাবলস কেজি দরে বিক্রি করছে একটি অসাধু চক্র। এসব ক্যাবলস এলুমনিয়াম, লোহার তার কপারের কালার করে কম দামে বিক্রি করছে তারা।
অনুসন্ধান করে জানাগেছে, সারাদেশে ই-কমার্সের মাধ্যমে এসব সরাঞ্জাম বেশি বিক্রয় হচ্ছে। অন্যদিকে দোকান থেকে সরাসরি বিক্রয়েরও ব্যবস্থা আছে। দাম কম হবার প্রধান কারণ হচ্ছে এসব সরাঞ্জাম তৈরি হয় নিম্নমানের কাঁচামাল- কপার ওয়্যার রড, প্লাস্টিক দিয়ে। কোম্পানি অনুমোদন নেই, বিএসটিআই নেই, টিআইএন, বিআইএন নেই এবং কোনো ভ্যাট ট্যাক্স দেওয়া লাগে না এদের কাউকে। ঘুপচি কায়দায় গোপনে এসব বানায় এবং গোপন কৌশলে বিক্রয় করে। দাম বেশি কমানোর জন্য এলুমনিয়ামের উপর কপারের রং করে বৈদ্যুতিক সরাঞ্জাম তৈরি করে। এদের কোনো কোয়ালিটি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও নেই। ফলে সর্টসার্কিটে অগ্নিকান্ডসহ জনজীবনে এসব সরাঞ্জাম নানা রকম ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বাড়িয়েই চলেছে।
এসব বানানোর কারখানা সাধারণত আশপাশ দিয়েই। এরা নামী দামী ব্রান্ডের ক্যাবলস নকলও করছে। মাঝে মধ্যে বিশেষ অভিযানে ধরা পড়লেও কিছুদিন পর বের হয়ে আবার শুরু হয় একই কাজ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিএসটিআই, ক্রেতা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, ভ্যাট গোয়েন্দা বিভাগ, সূত্র ধরে অভিযান করলে এদের ধরতে সহ এর সাথে সংশ্লিষ্ঠ সরকারের অন্যান্য দায়িত্বশীল ডিভিশন এদের নিয়ন্ত্রণে কাজ না করলে অবস্থা আরো ভয়াবহ হবে।