.এডি ও তার একান্ত সহযোগী উঃ সহকারীর বলেই তিনি এতটা বেপরোয়া
.গার্ড মনির মূলতঃ নিজস্ব দালাল সিন্ডিকেট গড়ে ওই দফতরে বসে কতৃত্বের ভাগ হাতান
.কারণ সব ধান্ধার অংশীদার তারাও
জস্ব প্রতিবেদক
বিআরটিএর মিরপুরের জনৈক গার্ডের বেপরোয়া দৌরােত্বের নেপথ্যে কারা ? এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সংশ্লিস্ট অনেকের মধ্যে ক্ষোভের পথ ধরে নানা গুঞ্জন বেড়েই চলছে। যদিও
সরকারি প্রতিষ্ঠানের গার্ড বা এই শ্রেণীর কতিপয় কর্মচারীর বেপরোয়া অনিয়ম বা বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ড নতুন কিছু নয়। তবে সদ্য বিআরটিএর চাকরি প্রাপ্তি নিয়ে বিতর্কে ঘেরা ষাটের কোটার এক গার্ডের বেপরোয়া অনিয়ম ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সেবা প্রত্যাশীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বলে সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রে আরো জানা গেছে,বিআরটিএ’র মিরপুর কার্যালয়ের মনির হোসেন নামের ওই গার্ড সদ্য চাকরি পেয়েই পুরনো লাইসেন্স ডেলিভারি (কক্ষ নং-৮) নিজ দখলে নিয়ে তা ব্যক্তিগত দফতর বানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, দায়িত্বগত বিষয়ের তোয়াক্কা না সেখানে নিজে বহিরাগত লোকজন মোতায়েন করে প্রকাশ্যে দালাল বাণিজ্যে রয়েছেন বেপরোয়া। সেই সাথে তিনি ওই কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারি মোমিনের বলে বলিয়ান হয়ে অবৈধভাবে গার্ড মনির হোসেন ডোপ টেস্ট এন্ট্রি, ভেরিভিগেশন এন্ট্রির নামে চালাচ্ছেন ঘুষ বাণিজ্যে। মনির চক্র গ্রাহকদের জিম্মি করে অবাধে ঘুষ আদায় তো করছেনই,সেই সাথে তার বিরুদ্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে দাপটি আচরনের অভিযোগও অনেকের। আর এতে চলছে সংশ্লিস্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয় জানানোর প্রস্তুতি।
এ ব্যাপারে গার্ড মনির হোসেনের কাছে এ বিষয়ে একাধিক বার মোবাইলে ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। আর তার আশ্রয়দাাতা এডি মোবারক হোসেনের কাছে মনির সম্পর্কে জানতে চা্বেইলে তিনি এড়িয়ে যান। পরিচালক প্রশাসন জানান, এধরনের কোন অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, মিরপুর সার্কেলের ডিডি ভুইয়ার বদৌলতে উক্ত মনির হোসেনের বয়স ষাটের কোটায় হলেও বছর দুই-তিনেক আগে গার্ড পদে নিয়োগ পান। আর এ নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্কও । কিন্তু ওই মনির এসবের তোয়াক্কা তো করেনই না। বরং নীতিগত দায়িত্বের কথাও ভুলে এডি মোবারক হোসেনের আস্কারায় নিজে রীতিমত দফতর খুলে ধান্ধাবাজিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। শুধু তাই নয়,মোমিন নামের ওই উচ্চমান সহকারীর দায়দায়িত্ব নিয়ে ব্যস্ত থাকেন গার্ড মনির হোসেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন বহিরাগত সহযোগী দিয়ে তার ওই দফতরে বসে তিনি প্রকাশ্যে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সাথে তিনি অদৃশ্য ক্ষমতার বলে মিরপুর কার্যালয়ের অনেকের সাথেই খারাপ ব্যবহার করে আসছেন। যাতে ক্ষুব্ধ অনেকেই তার বিরুদ্ধে সংশ্লিস্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ করেও কোন সুফল হয়নি বলেও জানান। এরপর