শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * সেই শিশু পর্নোগ্রাফার টিপু এবার ডিবির জালে   * ৪ মে থেকে শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা   * সাবেক আইজি বেনজীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানে রিট   * গত ১৫ বছরে দেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে : ওবায়দুল কাদের   * গাজা উপত্যকায় এক গণকবরেই ৩০০ লাশ   * মিয়ানমার নৌবাহিনীর এলোপাতাড়ি গুলি, ২ বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ   * খিলগাঁয়ে ট্রেন দূর্ঘটনায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ   * বোটক্লাব কান্ডে পরীমণির বাট খাচ্ছে !   * মালিকদের লুটপাটে বেসরকারি অনেক ব্যাংক ধ্বংসের মুখে   * গুলশানের বারের সামনে হাতাহাতিতে তিন নারী গ্রেফতার  

   বিশেষ সংবাদ
নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই
  Date : 16-05-2023
Share Button

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যারা নিষেধাজ্ঞা দেবে, তাদের থেকে কেনাকাটা করব না জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই মহার্ঘ ভাতা নয়, বেতন বাড়ছে সরকারি চাকরিজীবীদের মোখা মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম

ডেস্ক রিপোর্ট-
বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র‌্যাবের ওপর দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশনের (নিষেধাজ্ঞা) বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞা দেওয়া দেশ থেকে কোনো কিছু কিনবেন না, ইতিমধ্যে দুটি এ ধরনের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের তিনি একথা বলেন। ত্রিদেশীয় সফর শেষে দেশে ফিরে গত শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ৬০তম কনভেনশনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমি আরেকটি সিদ্ধান্ত নিতে বলেছি। নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করি তাদের উপর দেওয়া হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা ! আমি বলে দিয়েছি, যে দেশ স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেবে তাদের কাছ থেকে আমি কিছুই কিনব না। আমি আর কী করব! বাবা-মা-ভাইবোন সবাইকে মেরে ফেলেছে। আমার তো হারানোর কিছু নেই। আমার দেশটিকে আমি এগিয়ে নিতে চাই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কথা পরিষ্কার- যারা আমাদের ওপর সেংশন দেবে, ওসব দেশের কাছ থেকে আমরা কিছুই কিনব না। অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে আমি এই সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছি। তিনি বলেন, যারা আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে, আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু কেনাকাটা করব না। ভয়ের কিছু নেই, আমাদের সব জমি আবাদ করব, আমরা অন্যের ওপর নির্ভর করব না। আমরা নিজেদেরটা দিয়ে নিজেরা চলব। অনাবাদী জমি সব চাষ করে, যা আসে। বিশ্বব্যাপী খাদ্যের অভাব। উন্নয়নশীল না উন্নত দেশেও খাদ্যের সমস্যা। একটার বেশি টমেটো কেনা যাবে না, ছয়টার বেশি ডিম কেনা যাবে না। রোজায় তো কোনো হাহাকার শোনা যায়নি। কেউ কি আসছে, আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাইতে? আসেনি। সবাই ইফতারের জন্য এগিয়ে এসেছে। আমাদের দল ও নেতাকর্মীদের এজন্য ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, কথা নাই বার্তা নাই, আমাদের নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখাবে, আমরা ভয় নিয়ে বসে থাকব। কেন? আমাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, আমাদের দেশের মানুষই নিজের দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। আমি নিজে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছি, বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখায় দেশের যেসব এলাকায় বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দ্রুতই সেগুলো মেরামতের কাজ শুরু হয়ে গেছে। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে আমরা রক্ষা পেয়েছি। তিনি বলেন, আমরা উপকূলীয় ১৩টি জেলায় সাত হাজার ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছিলাম। কেন্দ্রগুলোতে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। আর যেসব এলাকা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দ্রুতই সেগুলো আবার মেরামতের কাজ শুরু হয়ে গেছে। তা ছাড়া খাবার, পানি যা যা দরকার, সব কিছুরই ব্যবস্থা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের আমন্ত্রণে আমি ২৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছাই। যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথম দিনে ২৯ এপ্রিল অপরাহ্ণে আমার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিল ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তিনি অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যোগাযোগ স্থাপন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং কভিড-১৯ মহামারিকালেও বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ব্রিটেনের মহামহিম রাজার পক্ষ থেকে তার এবং রানি ক্যামিলার রাজ্যাভিষেক ও অভ্যর্থনায় অংশগ্রহণ এবং কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেলের পক্ষ থেকে কমনওয়েলথ লিডার্স ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আমি ৪ থেকে ৮ মে যুক্তরাজ্য সফর করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার হারাবার কিছু নেই। আওয়ামীলীগ ভাল কাজ করলেই পেছনে লেগে থাকে। বিদেশে গিয়ে ষড়যন্ত্র করে। একদলের সবসময় দেশের বিরুদ্ধে কাজ করা এজেন্ডা হয়ে দাড়িয়েছে। আমরা জনগনের জন্য কাজ করেছি, জনগণই আমাদের শক্তি। জনগণের জন্য কাজ করেছি, জনগন ভোট দিলে আছি, না থাকলে নাই, “থাকে লক্ষী, যাই বালাই।
মহার্ঘ ভাতা নয়, বেতন বাড়ছে সরকারি চাকরিজীবীদের॥
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা নেই, তবে বেতন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেহেতু মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে, তাই ক্রয় ক্ষমতা অনুযায়ী এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু ইনফ্লেশন বৃদ্ধি পেয়েছে, আমরা সেই জায়গায় আবার কতটুকু পর্যন্ত সুযোগ দেওয়া যায় সেই চিন্তা-ভাবনা করছি। কমিশন কর, এটা কর, সেটা কর, এতে খুব বেশি লাভ হয় না। কিছু লোক বঞ্চিত হয়ে যায়, আর কিছু লোক লাভবান হয়। এ জন্য প্রতি বছরের হিসাব মতে ইনফ্লেশন যত বাড়বে, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা বেতন বাড়াব। তাছাড়া বৈশাখী ভাতা থেকে শুরু করে ফ্ল্যাট কেনার লোন (ঋণ), গাড়ি কেনার লোনসহ অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তাই মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা নেই।
রিজার্ভ নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই॥
প্রধানমন্ত্রী বলেছন, দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ রিজার্ভ আছে তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। দেশে যে ডলার সংকট আছে তা কেটে যাবে। দেশে বর্তমানে ৩১.২২ বিলিয়ন রিজার্ভ রয়েছে। ২০০৬ সালে ছিল এক বিলিয়নেরও কম। সুতরাং রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। কোনো দেশে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ থাকলেই যথেষ্ট। সে হিসাবে আমাদের আরো বেশি রয়েছে। এ জন্য রিজার্ভ কমে যাওয়াকে দুশ্চিন্তার কারণ হিসেবে দেখছে না সরকার। স্যাংশন কাউন্টার স্যাংশন। যার ফলে আজ সারা বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। পরিবহন পরিচালন ব্যয় বেড়ে গেছে। যে কারণে ডলার সংকট এখন সমগ্র বিশ্বেই রয়ে গেছে।
মোখা মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম॥
শেখ হাসিনা বলেন, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। আমি নিজে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছি, বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি। ঘূর্ণিঝড় মোখায় দেশের যেসব এলাকায় বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দ্রুতই সেগুলো মেরামতের কাজ শুরু হয়ে গেছে। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে আমরা রক্ষা পেয়েছি। তিনি বলেন, আমরা উপকূলীয় ১৩টি জেলায় সাত হাজার ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছিলাম। কেন্দ্রগুলোতে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। আর যেসব এলাকা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দ্রুতই সেগুলো আবার মেরামতের কাজ শুরু হয়ে গেছে। তা ছাড়া খাবার, পানি যা যা দরকার, সব কিছুরই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ত্রিদেশীয় সফরে গত ২৫ এপ্রিল জাপানের রাজধানী টোকিও পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে আটটি চুক্তি হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২৯ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছান। যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে আরও কয়েকটি কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও শেখ ফজলুল করিম সেলিম, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



  
  সর্বশেষ
সেই শিশু পর্নোগ্রাফার টিপু এবার ডিবির জালে
সাবেক আইজি বেনজীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানে রিট
সারাদেশে গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুরা ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট
বোটক্লাব কান্ডে পরীমণির বাট খাচ্ছে !

প্রধান সম্পাদক: এনায়েত ফেরদৌস , অনলাইন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত ) কামরুজ্জামান মিল্টন |
নির্বাহী সম্পাদক: এস এম আবুল হাসান
সম্পাদক জাকির হোসেন কর্তৃক ২ আরকে মিশন রোড ঢাকা ১২০৩ থেকে প্রকাশিত ও বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস ২১৯ ফকিরাপুল, মতিঝিল ঢাকা ১০০০ থেকে মুদ্রিত। সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ২/২, ইডেন কমপ্লেক্স (৪র্থ তলা) সার্কুলার রোড, ঢাকা ১০০০। ফোন: ০১৭২৭২০৮১৩৮, ০১৪০২০৩৮১৮৭ , ০১৫৫৮০১১২৭৫, ই-মেইল:bortomandin@gmail.com