ভাংগা, (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মনোনীত ফরিদপুর ৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী (রিক্সা প্রতীক) মাওলানা মিজানুর রহমান মোল্লা বর্তমানে প্রচার প্রচারণা ও গণসংযোগে জনপ্রীয়তায় শীর্ষে অবস্থান করছেন। তিনি ভাঙ্গা উপজেলা আজিমনগর ইউনিয়নের পুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ফরিদপুর জেলা শাখার সহ সভাপতি তিনি। প্রতিনিয়ত তাঁর প্রত্যেকটি গণসংযোগে মানুষের ঢল নামছে। কিশোর থেকে বৃদ্ধ প্রতিটি বয়সের জনসাধারনের কাছে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক আদর্শে পরিণত হয়েছেন তিনি।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ নিজ এলাকাসহ আশপাশের এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে রয়েছেন। সামাজিক নানা কর্মকান্ডেও নিজেকে যুক্ত রেখেছেন তিনি। এছাড়াও নানাবিধ সেবামূলক কর্মকাণ্ডে তাঁর ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসিত। স্থানীয়দের মতে, মাওলানা মিজানুর রহমান মোল্লা শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই নন, তিনি একজন সমাজসেবক ও ন্যায়পরায়ণ মানুষ।
এ আসনের বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক গণসংযোগ ও উঠান বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন তিনি। প্রতিটি সভায় তিনি মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এক কথাই বারবার উচ্চারণ করেন — “আমি এই মাটির সন্তান, আপনাদের অতি আপনজন। আমি আশা করি, আপনারা আপনাদের ঘরের মানুষকে সমর্থন দিবেন। আমি আপনাদের ঘরের মানুষ। যে কোনো বিপদে-আপদে জানাবেন, আমি আপনাদের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।”
তিনি বলেন, আমার নেতা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর আল্লামা মামুনুল হক আগামী পাঁচ বছরের জন্য ফরিদপুর ৪ আসনের জনগণের দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে আমি বিজয়ী হলেও আপনাদের পাশে আছি না হলেও আপনাদের পাশে আছি। নির্বাচনে কে বিজয়ী হবে তা আল্লাহই জানেন। আল্লাহ যতদিন হায়াত রেখেছেন আমি আপনাদের পাশে থেকে আপনাদের ভালোবেসে যেতে চাই এবং আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে আপনাদের খেদমত করে যেতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আলেমগন কখনও জনগণের হক মারেন না।জনগনের হোক নিশ্চিত করে থাকেন। এজন্য একমাত্র আলেমদের কাছেই দেশ ও দেশের জনগণ, দেশের সম্পদ নিরাপদ। জনগণের দোয়া ও ভালোবাসাই আমার শক্তি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—এই এলাকার উন্নয়ন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষায় সর্বাত্মক ভূমিকা রাখব।
স্থানীয়রা তার এই মানবিক কর্মকান্ডে উচ্ছ্বসিত। এলাকাবাসীর মতে, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি ইতোমধ্যে জনগণের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন। তার মানবিক কর্মকাণ্ড ও সেবামূলক মনোভাবের কারণে সাধারণ মানুষ তাকে “নিবেদিত প্রাণ নেতা” বলে আখ্যায়িত করছেন। তারা জানান, তিনি রাস্তা-ঘাট, মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য সহযোগীতা করে থাকেন। এমনকি কারো যদি মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকে, চিকিৎসার খরচ বহন করতে না পারে, লেখা পড়ার খরচ না থাকে সেখানেও মিজানুর রহমান মোল্লাকে পাওয়া যায়। তার কাছে যেয়ে কেউ কখনও খালি হাতে ফিরেনি। তিনি যদি আমাদের এমপি হন তাহলে আমাদের দুঃখ অনেকটাই দুর হবে। বিগত দিনে অনেক এমপি আমাদের মাঝে ছিলেন। আমাদের দুঃখের দিনে কাউকে পাশে পাইনি। যাকে আমরা দুঃখের দিনে পাশে পাবো আগামী নির্বাচনে তাকেই আমরা ভোট দিবো।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তাঁর এই জনসম্পৃক্ততা, জনগণের সাথে সেবামূলক মনোভাব আগামী নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি সাধারণ মানুষের সাথে মুহুর্তেই মিশে যেতে পারেন এবং মানুষও তাকে আপন ভাবে। নির্বাচনে বিজয়ী হতে এই গুণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। তার সভা- সমাবেশে মানুষের উপস্থিতি দিন দিন বেড়েই চলেছে, যা তার জনপ্রিয়তারই বহিঃপ্রকাশ।
মাওলানা মিজানুর রহমান মোল্লা এখন ফরিদপুর ৪ সংসদীয় আসনের রাজনীতিতে আশা ও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।