খুলনা ডেস্ক:
শনিবার সকাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের ধারাবাহিকতায় তেহরান থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরের দিকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয়ে শনিবার পর্যন্ত অন্তত পাঁচ দফায় দেড় শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
তেল আবিব, জেরুজালেম, রিশন লেজিওনসহ একাধিক শহরে বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়ায়। সিএনএনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় অন্তত তিনজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৫০ জনের বেশি। বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছেন। উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ইরানের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের একাধিক সামরিক ও বিমান ঘাঁটিতে সরাসরি আঘাত হেনেছে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র। পাশাপাশি তেহরান কড়া বার্তা দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলকে রক্ষার চেষ্টাকারী কোনো দেশের সামরিক ঘাঁটিও তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইরানে বেছে নেওয়া লক্ষ্যবস্তুতে হামলা অব্যাহত রেখেছে। সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে তারা জানায়, ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেসব স্থাপনা হুমকি তৈরি করছে, সেসবকেই তারা টার্গেট করছে।
এর ঠিক আগের দিন, শুক্রবার ভোররাতে ইসরায়েল প্রথমে হামলা চালায় ইরানের সামরিক ও পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর। ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই হামলায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, রেভ্যুলেশনারি গার্ড প্রধান এবং অন্তত ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।
এই পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে।