অনলাইন ডেস্ক:
আগের দিন হতাশ করলেও দ্বিতীয় দিনের সকাল সকাল আশা দেখান বাংলাদেশের পেসাররা। নাহিদ রানা আর হাসান মাহমুদের তোপে ১৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে।
তবে এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন শন উইলিয়ামস আর ক্রেইগ আরভিন। জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ এই দুই ব্যাটার ৯০ বল খেলে গড়েন ৪১ রানের জুটি।
অবশেষে লাঞ্চের ঠিক আগে এই জুটি ভেঙেছেন নাহিদ রানা। টাইগার পেসারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে আরভিন ব্যাট ওপরে তুলে নিলেও বল ছুঁয়ে গিয়েছিল একটু। বাংলাদেশ আবেদন করলে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। রিভিউয়েই বাজিমাত।
দেখা যায়, বল হালকা করে ব্যাট স্পর্শ করে গেছে আরভিনের। ফলে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হন আম্পায়ার। নাহিদ পান তার তৃতীয় উইকেটের দেখা। ৩৯ বলে ৮ রান করে ফেরেন আরভিন।
সবমিলিয়ে ৪ উইকেটে ১৩৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গেছে জিম্বাবুয়ে। এখনও তারা পিছিয়ে ৫৮ রানে। শন উইলিয়ামস ৩৩ আর ওয়েসলে মাদভেরে ৪ রান নিয়ে ব্যাটিং করছেন।
বোর্ডে বেশি রান নেই। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। যা করার বোলারদেরই করতে হবে। তবে সিলেট টেস্টের প্রথম দিনের শেষ বিকেলে বাংলাদেশি বোলাররা হতাশা উপহার দিয়েছিলেন। যার সুযোগ নিয়ে বিনা উইকেটে ৬৭ রান তোলে ফেলে জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয় দিনের সকাল সকাল আশা দেখান নাহিদ রানা-হাসান মাহমুদরা। দিনের শুরুতেই তৃতীয় ওভারে নাহিদ রানার বাউন্সে পরাস্ত হয়ে শর্ট লেগে মুমিনুল হকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন বেন কারেন (১৮)। তার তিন ওভার পর নাহিদের দ্বিতীয় শিকার হাফসেঞ্চুরিয়ান ব্রায়ান বেনেট।
নাহিদের পঞ্চম স্টাম্পে করা শর্ট অব গুড লেহ্নের বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক জাকের আলীর গ্লাভসে ধরা পড়েন বেনেট। ৬৪ বলে ১০ বাউন্ডারিতে তিনি করেন ৫৭।
পরের ওভারেই হাসান মাহমুদের চোখ ধাঁধানো এক ডেলিভারি। অফস্টাম্প উড়ে যায় নিক ওয়েলচের (২)। ৮৮ রানে ৩ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে শন উইলিয়ামস আর ক্রেইগ আরভিনের অনেকটা সময় প্রতিরোধ।